ছবি: পিটিআই।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে লকডাউনের মেয়াদ সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি অবধি বাড়ানো হতে পারে এ দেশে। মার্কিন উপদেষ্টা সংস্থা বস্টন কনসাল্টিং গ্রুপ (বিসিজি)-এর একটি সমীক্ষায় এমন পূর্বাভাসের কথা জানানো হয়েছে বলে দাবি করেছে একটি সংবাদমাধ্যম। বিসিজি-কে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ভারতে জুনের চতুর্থ সপ্তাহ থেকে সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে দেশ জুড়ে লকডাউন ধাপে ধাপে প্রত্যাহার করা হতে পারে।
দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পরিকাঠামো এবং জনসংখ্যা বিশ্লেষণ করে এই সমীক্ষা রিপোর্টটি তৈরি করেছে বিসিজি। ওই রিপোর্টে আশঙ্কা করা হয়েছে, এ বছর জুনের তৃতীয় সপ্তাহ নাগাদ ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা শীর্ষে পৌঁছতে পারে। এর আগে চিকিৎসকেরাও নানা সময়ে দাবি করেছিলেন, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ভারতের মতো দেশে দীর্ঘ সময়ের জন্য লকডাউন করা জরুরি। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, ১৪ এপ্রিল প্রস্তাবিত লকডাউন পর্ব শেষ হওয়ার পরে কি ফের তার মেয়াদ বাড়াবে কেন্দ্রীয় সরকার? এর আগে কেন্দ্রের তরফে তেমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া হলেও চিকিৎসকদের একাংশের বক্তব্য, দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা যে ভাবে বাড়ছে, তাতে বিপুল প্রাণহানি ঠেকাতে দীর্ঘমেয়াদি লকডাউন করা ছাড়া উপায় নেই।
এমনিতেই ভারতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সক্রিয়তা দেরিতে শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তার উপরে রয়েছে ভারতে উপযুক্ত চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং পরিকাঠামোর ঘাটতি। ভারতে জনঘনত্বও বেশি। এর সঙ্গে রয়েছে কম পরীক্ষার বিপদ। বিসিজি-র এক মুখপাত্র অবশ্য দাবি করেছেন, তাঁদের সংস্থা বিভিন্ন ভাবে প্রাপ্ত পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে রিপোর্ট তৈরি করে। এই অভূতপূর্ব অতিমারির পরিস্থিতিতে সব কিছুই চূড়ান্ত অনিশ্চিত। এই অবস্থায় লকডাউনের মেয়াদ, আক্রান্তের সংখ্যা কবে শীর্ষে পৌঁছবে বা স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর দক্ষতার মতো বিষয় বা সামাজিক ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে কোনও পূর্বাভাস দেয়নি বিসিজি।
আরও পড়ুন: করোনা লড়াইয়ে ১৮ দেশের টাস্ক ফোর্সের নেতা নরেন্দ্র মোদী?
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy