কাশ্মীর নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্ট খারিজ কেন্দ্রের।
কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্ট খারিজ করে দিল দিল্লি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ভাষায়, ‘‘ওই রিপোর্ট উদ্দেশ্যপূর্ণ এবং প্ররোচনামূলক।’’
সাম্প্রতিক কালে রাষ্ট্রপুঞ্জের কোনও রিপোর্ট নিয়ে এত কড়া সমালোচনা করেনি দিল্লি।কিন্তু একেই তো কাশ্মীরের মতো সংবেদনশীল বিষয়।তার উপর সেই কাশ্মীর নিয়েই রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার সংস্থার কড়া বক্তব্য।দু’য়ে মিলে ক্ষোভ গোপন রাখেনি দিল্লি।কিন্তু কী রয়েছে ওই রিপোর্টে? কাশ্মীরে আন্দোলনকারীদের উপর ছররা বুলেট প্রয়োগ করা নিয়ে রিপোর্টে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার সংস্থার প্রধান জেইদ রাদ আল হুসেন জানিয়েছেন, ২০১৬ সালের পর থেকে কাশ্মীরে যত মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, তার নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া উচিত।বিষয়টি নিয়ে যাতে ‘কমিশন অব এনকোয়ারি’ গঠন করা হয়, সে জন্য তিনি ‘হিউম্যান রাইটস কাউন্সিল’-এর কাছে আর্জি জানাবেন।
কিন্তু প্রশ্ন হল, ‘কমিশন অব এনকোয়্যারি’ তো গঠন করা হয় সিরিয়ায় সাধারণ মানুষের উপর হামলার মতো ঘটনা নিয়ে। তবে কি কাশ্মীরকেও সিরিয়ার সঙ্গে তুলনা করার চেষ্টা চলছে? এই প্রশ্নেই দিল্লি ক্ষুব্ধ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কথায়, ‘‘জম্মু-কাশ্মীর হল ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। অসমর্থিত তথ্যের উপর দাঁড়িয়ে রিপোর্টটি তৈরি করা হয়েছে।’’
আরও পড়ুন: ইদের পরেই কাশ্মীরে সেনা অভিযান, ডোভালের কথায় ইঙ্গিত
আরও পড়ুন: দীপিকার পর ফের নাক-কান কাটার হুমকি করণী সেনার, কাকে জানেন?
একই সঙ্গে পাক অধিকৃত কাশ্মীরেও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে বলে রিপোর্টে জানিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। পাক প্রশাসনকে কাঠগড়ায় তুলে রাষ্ট্রসঙ্ঘের অভযোগ, পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাস বিরোধী আইন রয়েছে নাম কা ওয়াস্তে। নেই মত প্রকাশের স্বাধীনতা। ফলে সেখান থেকে প্রকৃত তথ্য পাওয়া সম্ভব নয় বলে মনে করছে রাষ্ট্রপুঞ্জ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy