দিল্লিতে সাময়িক ভাবে উঠল ১৪৪ ধারা। ছবি: রয়টার্স।
দিল্লির পরিস্থিতি কতটা নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে তা পর্যালোচনা করার জন্য সাময়িক ভাবে ১৪৪ ধারা শিথিলের সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। আজ, শুক্রবার ১০ ঘণ্টার জন্য নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সোম ও মঙ্গলবার টানা সংঘর্ষের পরে বুধবার কাল থেকে উত্তর-পূর্ব দিল্লি জুড়ে পুলিশ, র্যাফ, আধাসেনার টহলদারি শুরু হয়। জাফরাবাদ, মৌজপুর, গোকুলপুরীর অনেক এলাকা আগের তুলনায় অনেকটাই শান্ত বলে দাবি পুলিশের। ১৪৪ ধারার নিষেধাজ্ঞা শিথিল করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক দেখতে চায়, পরিস্থিতি সত্যিই শান্ত হয়েছে কি না। শুক্রবার ভোর ৪টে থেকে সকাল ১০টা আর তার পর বিকেল ৪টে থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দু’দফায় এই ১৪৪ ধারা শিথিল করা হবে।
এই নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুলিশের কর্তা এবং সরকারি অফিসারদের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন অমিত শাহ। স্বরাষ্ট্রসচিব অজয়কুমার ভাল্লা, পুলিশ কমিশনার অমূল্য পট্টনায়েক এবং স্পেশাল কমিশনার (আইনশৃঙ্খলা) এসএন শ্রীবাস্তব সেই বৈঠকে ছিলেন। দিল্লির আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ে বিশদে আলোচনা হয় বৈঠকে। তারপরই দিল্লির যে সমস্ত এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে, সেখানে সেখানে তা সাময়িক ভাবে শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
আরও পড়ুন: নিহত বেড়ে ৩৮, এফআইআর হবে কি? পুলিশ পেল ৪ সপ্তাহ
রবিবার থেকে সিএএ বিরোধী এবং সিএএ সমর্থকদের মধ্যে যে ভাবে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে, তার ফলে এখনও পর্যন্ত প্রাণ গিয়েছে ৩৮ জনের। আহত অন্তত ৩০০ জন। এত বড় হিংসার ঘটনা কী ভাবে বাড়তে পারল, তা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে দিল্লি পুলিশ। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৪৮টি এফআইআর হয়েছে। সন্দেহভাজন ৫০০ জনকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়েছে। অথচ, উস্কানিমূলক মন্তব্য করেও পার পেয়ে গিয়েছেন বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র, অনুরাগ ঠাকুর এবং প্রবেশ বর্মারা। তা নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে মুখ পুড়েছে পুলিশের।
আরও পড়ুন: ‘এ যেন ইন্ডিয়া-পাকিস্তান বর্ডার’! ‘নরক হয়ে গেল চেনা রাজধানী’
গত রবিবার সন্ধ্যার পর থেকে সংঘর্ষ ছড়াতে থাকে উত্তর-পূর্ব দিল্লির জাফরাবাদ, মৌজপুর, গোকুলপুরী এলাকায়। সোম ও মঙ্গলবার তা চরম আকার নেয়। ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার উদ্দেশে রওনা হতেই দিল্লি সামলানোর দায়িত্ব ডোভালের হাতে তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। দায়িত্ব নিয়ে রাতেই প্রথমে উত্তর-পূর্ব দিল্লির ডিসিপির সঙ্গে বৈঠক করেন ডোভাল। বৈঠক শেষে বেরিয়ে পড়েন উপদ্রুত এলাকা পরিদর্শনে। দিল্লি পুলিশের দাবি, রাত থেকে পদস্থ আধিকারিকদের উপস্থিতিতে উপদ্রুত এলাকাগুলিতে ফ্ল্যাগ মার্চ, মাইকে করে প্রচার চালানোয় ধীরে ধীরে পরিস্থিতি শান্ত হতে থাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy