Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
National News

অফিসারদের দায়ী করল দিল্লি পুলিশ

দিল্লির হিংসায় নিহতের সংখ্যা পঞ্চাশের বেশি।

ছবি: রয়টার্স।

ছবি: রয়টার্স।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০২০ ০৪:৩১
Share: Save:

রাজধানীতে গত সপ্তাহে হিংসার পিছনে উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে কর্মরত আধিকারিকদেরই দায়ী করল দিল্লি পুলিশ। শীর্ষ কর্তাদের রিপোর্টে বলা হয়েছে, পরিস্থিতি আগেভাগে আঁচ করে যথেষ্ট পুলিশ মোতায়েন করা হয়নি। এমনকি, সংঘর্ষ শুরুর পরও আধিকারিকেরা পর্যাপ্ত বাহিনী মোতায়েন না-করায় এত প্রাণহানি হয়েছে। হাঙ্গামা বাধাতে যারা উত্তরপ্রদেশ থেকে এসেছিল, তাদের রুখতেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সব মিলিয়ে বেশ কিছু পদস্থ আধিকারিকের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতি, পরিস্থিতি আঁচ করতে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে ব্যবস্থাগ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।

দিল্লির ওই হিংসায় নিহতের সংখ্যা পঞ্চাশের বেশি। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে মারা যান এক কনস্টেবল, গুরুতর আহত হন ডিসিপি পদমর্যাদার এক অফিসার-সহ একাধিক পুলিশকর্মী। সূত্রের খবর, পুলিশ কেন হিংসা থামাতে পারল না, তা নিয়ে রিপোর্ট চায় কেন্দ্র।

সূত্রের খবর, রিপোর্টে বলা হয়েছে, অশান্তির সূত্রপাত হয় গত ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে। সে দিন থেকে শাহিন বাগের ধাঁচে জাফরাবাদেও রাস্তা অবরোধ করে মঞ্চ তৈরি করেন স্থানীয় মুসলিম মহিলারা। শুরুতে মহিলাদের সংখ্যা খুবই কম ছিল। সে সময়েই পুলিশের উচিত ছিল তাঁদের সরিয়ে দেওয়া। কিন্তু তা করা হয়নি। রিপোর্টে দাবি, ২৩ ফেব্রুয়ারির পর থেকে বাইরের বেশ কিছু সংগঠন ওই এলাকায় সক্রিয় হতে শুরু করে। তাদের উদ্যোগে দিল্লির বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুসলিম মহিলারা ওই এলাকায় জড়ো হন। জমায়েতে প্রচুর লাঠি, ইট, পেট্রল বোমা মজুত করা হলেও তা নিয়ে তথ্যই ছিল না পুলিশের কাছে।

ভুয়ো খবর ছাঁকছেন ‘ভুক্তভোগী’ মোদী

রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই জমায়েতের বিরুদ্ধে বিজেপি পাল্টা নামলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। কিন্তু পরিস্থিতি যে হাতের বাইরে চলে যাবে, তা নিয়ে ধারণাই ছিল না উত্তর-পূর্ব দিল্লির পুলিশ আধিকারিকদের। সে কারণে যথেষ্ট সংখ্যক পুলিশ মোতায়েনের প্রয়োজনই বোধ করেননি তাঁরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE