Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
National News

গাড়ি ঘিরে লুঠপাট চালাল ‘ঠক ঠক’ গ্যাং, অসুস্থ মনোজ প্রভাকরের স্ত্রী

ফারহিন যখন বচসায় ব্যস্ত সেই সুযোগেই গ্যাংয়ের অন্য সদস্যরা তাঁর হাতে থাকা ব্যাগটি ছিনিয়ে নেয়। ফারহিন প্রতিরোধ করার চেষ্টা করলে তাঁকে মারধরও করে ওই দুষ্কৃতীরা। রাস্তার উল্টো দিকেই ওই গ্যাংয়ের একটি দাঁড় করানো ছিল। তাতে চেপেই চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।

মনোজ প্রভাকরের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী ফারহিন প্রভাকর। ফাইল চিত্র।

মনোজ প্রভাকরের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী ফারহিন প্রভাকর। ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০১৯ ১৩:০২
Share: Save:

শপিং মলে যাওয়ার পথে ‘ঠক ঠক’ গ্যাংয়ের খপ্পরে পড়ে গুরুতর অসুস্থ বলিউডের প্রাক্তন অভিনেত্রী তথা ক্রিকেটার মনোজ প্রভাকরের স্ত্রী ফারহিন প্রভাকর। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

শনিবার দুপুরে দক্ষিণ দিল্লির একটি শপিং মলে যাচ্ছিলেন ফারহিন। নিজেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন তিনি। ডেপুটি পুলিশ কমিশনার বিজয় কুমার জানিয়েছেন, ফারহিন যখন একটি সিগন্যালে গাড়ি দাঁড় করান, সে সময় ‘ঠক ঠক’ গ্যাংয়ের চার দুষ্কৃতী গাড়িটি ঘিরে ধরে ভাঙার চেষ্টা করে। কিন্তু সে সময় খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি তারা। ফারহিনের গাড়িকে তারা অনুসরণ করা শুরু করে। গাড়িটিকে মলের সামনে পার্ক করিয়ে যখন তিনি যাওয়ার উপক্রম করছিলেন, সে সময় ফের ওই চার জন তাঁকে ঘিরে ধরে। গাড়ি ঠিকঠাক না চালানোর অভিযোগ তুলে ফারহিনের সঙ্গে বচসা শুরু করে দেয় তারা। ফারহিন যখন বচসায় ব্যস্ত সেই সুযোগেই গ্যাংয়ের অন্য সদস্যরা তাঁর হাতে থাকা ব্যাগটি ছিনিয়ে নেয়। ফারহিন প্রতিরোধ করার চেষ্টা করলে তাঁকে মারধরও করে ওই দুষ্কৃতীরা। রাস্তার উল্টো দিকেই ওই গ্যাংয়ের একটি গাড়ি দাঁড় করানো ছিল। তাতে চেপেই চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।

ফারহিন হাঁপানি রোগী। আচমকা এই রকম একটা আক্রমণের মুখে পড়ে রাস্তাতেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে অসুস্থ অবস্থায় দেখে এক সেনা অফিসার এগিয়ে আসেন। তিনি পুলিশকে খবর দেন। এর পর পুলিশ এসে ফারহিনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।পুলিশ জানিয়েছে, ফারহিনের ব্যাগে নগদ ১৬ হাজার টাকা, কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি, গয়না এবং মোবাইল ফোন ছিল। সব কিছুই লুঠ করে নিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা।

আরও পড়ুন: লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের টিকিটে লড়বেন করিনা?

কী এই ঠক ঠক গ্যাং?

পুলিশ জানিয়েছে, খুব সাধারণ কায়দায় শিকারকে ফাঁদে ফেলে লুঠপাট চালাতে দক্ষ এই গ্যাং। শুধু দিল্লিই নয়, এই গ্যাংয়ের নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে রয়েছে কলকাতা, গুজরাত, ওডিশা এবং তামিলনাড়ুতে-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে। তবে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় এরা দিল্লিতে। একের পর এক লুঠপাট চালিয়ে গিয়েছে এই গ্যাং। এদের ধরতে দুঁদে পুলিশ অফিসারদের রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছিল। অবশেষে ২০১৮-র মার্চে নানা ভাবে ফাঁদ পেতে গ্যাংয়ের মাস্টারমাইন্ড ‘গুরুজি’কে গ্রেফতার করে পুলিশ। মাদুরাইয়ের বাসিন্দা এই ‘গুরুজি’।

কী ভাবে কাজ করে এই গ্যাং?

জেরায় ‘গুরুজি’র কাছ থেকে পুলিশ জানতে পারে দিল্লির ইন্দ্রপুরীতেই তাদের গ্যাংয়ের জন্ম। গাড়ির কাচে টোকা দিয়ে চালকের নজর ঘুরিয়ে ফাঁদে ফেলে তারা। অনেক সময় গাড়ির টায়ার পাংচার করে দেওয়া, সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ির নীচে তেলের মতো পিচ্ছিল পদার্থ ফেলে তাতে চালকের দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়ে লুঠ করা, পার্ক করা গাড়ির কাচ গুলতি ছুড়ে ভেঙে লুঠপাট চালানোর মতো কৌশল অবলম্বন করে তারা। শুধু পুরুষই নয়, মহিলারাও এই গ্যাংয়ে রয়েছে।

আরও পড়ুন: ‘ভাগ্যিস ঘুমোইনি, দাউদাউ করে জ্বলছিল, ন’মাসের বাচ্চা কোলে নিয়েই ছুটলাম’

(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরাবাংলা খবরপেতে পড়ুন আমাদেরদেশবিভাগ।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE