রমজানের সময় ‘আল্লাকে খুশি’ করতে গিয়ে নিজে হাতে ৪ বছরের মেয়ের নলি কাটলেন বাবা! আর তার পর ‘নিশ্চিন্তে’ ঘুমোতে গেলেন রাতে!
আজগুবি গল্প নয়, একুশ শতকের ভারতে এই ঘটনা ঘটেছে রাজস্থানের পীপাড়সিটি গ্রামে। বৃহস্পতিবার রাতে।
জোধপুর (গ্রামীণ)-এর পুলিশ সুপার রাজন দুষ্যন্ত বলেছেন, ‘‘শুক্রবার সকালে ৪ বছরের ওই শিশুটির দেহ উদ্ধার করা হয় তার বাড়ির এক তলার একটি ঘর থেকে। আর শনিবার গ্রেফতার করা হয় তার বাবা নবাব আলিকে।’’ জেরায় শিশুটির বাবা তাঁর অপরাধের কথা কবুল করেছেন বলে দুষ্যন্ত জানিয়েছেন।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, বৃহস্পতিবার রাতে স্ত্রী ও তাঁর দুই শিশুকন্যাকে নিয়ে বাড়ির ছাদে ঘুমোতে গিয়েছিলেন নবাব। ৪ বছরের রিজওয়ানাই তাঁদের বড় মেয়ে। পরের দিন সকালে তন্নতন্ন খুঁজে বড় মেয়ে রিজওয়ানাকে না পেয়ে নবাবের স্ত্রী পুলিশে খবর দেন।পুলিশ নবাবের বাড়িতে গিয়ে তাঁর বাড়ির এক তলার একটি ঘর থেকে রিজওয়ানার নলি কাটা দেহটি উদ্ধার করে। তখনই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা রিজওয়ানাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন- বধূকে খুনে ধৃত দেওর
আরও পড়ুন- কসবার ফ্ল্যাটে মহিলা অফিসার খুন, আততায়ী কি ঘনিষ্ঠ কেউ?
পুলিশ জানাচ্ছে, বাড়ির এক তলার ঘর থেকে রিজওয়ানার দেহ উদ্ধারের পর নবাব তাঁর স্ত্রীকে বোঝানোর চেষ্টা করেন, বেড়ালে তাঁর মেয়ের নলি কেটে দিয়েছে।
নবাবের বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পেরেছে, বৃহস্পতিবার সকালেই ৪ বছরের মেয়ে রিজওয়ানাকে নিয়ে বাজারে গিয়েছিলেন নবাব। তার পর রিজওয়ানাকে অনেক খেলনাপাতি আর মিষ্টি কিনে দেন তিনি। মাঝ রাতে ছাদ থেকে মেয়ে রিজওয়ানাকে নিয়ে নীচে নেমে আসেন তিনি। তাকে কোলে বসিয়ে কোরান শোনাতে শোনাতে ধারালো ছুরি দিয়ে তার নলি কেটে দেন নবাব। তার পর শিশুটিকে এক তলার ঘরে রেখে নবাব ছাদে উঠে যান ঘুমোতে।