Advertisement
E-Paper

ছত্তীসগঢ়ে সিআইএসএফ-এর বাসে বিস্ফোরণ, মাওবাদীদের হানায় হত ৫

গত ১৫ দিনে এ নিয়ে তৃতীয় মাওবাদী হামলা হল রাজ্যে।

সংবাদ সংস্থা 

শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০১৮ ০৩:১২
ধ্বংসাবশেষ: মাওবাদী হামলায় গুঁড়িয়ে গিয়েছে সিআইএসএফ-এর বাস। বৃহস্পতিবার ছত্তীসগঢ়ের দন্তেওয়াড়ায়। ছবি: পিটিআই।

ধ্বংসাবশেষ: মাওবাদী হামলায় গুঁড়িয়ে গিয়েছে সিআইএসএফ-এর বাস। বৃহস্পতিবার ছত্তীসগঢ়ের দন্তেওয়াড়ায়। ছবি: পিটিআই।

প্রথম দফার নির্বাচনের ঠিক চার দিন আগে ছত্তীসগঢ়ে সিআইএসএফ-এর বাসে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এক জওয়ান-সহ পাঁচ জনকে হত্যা করল মাওবাদীরা। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে রয়েছেন সিআইএসএফ-এর প্রধান কনস্টেবল দীনাঙ্কর মুখোপাধ্যায়। তিনি বর্ধমানের বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার সকালে দন্তেওয়াড়া জেলার বস্তার এলাকার আকাশনগর চকে এই হামলায় আহত হয়েছেন সাত জন। গত ১৫ দিনে এ নিয়ে তৃতীয় মাওবাদী হামলা হল রাজ্যে।

নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে আগামিকাল দন্তেওয়াড়ার ১০০ কিলোমিটার দূরে জগদলপুরে যাওয়ার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। তার আগেই এই হামলা। পুলিশ জানিয়েছে, শক্তিশালী বিস্ফোরণে বাসের ইঞ্জিন ও বাকি অংশ কয়েক টুকরো হয়ে উড়ে যায়। বাসে থাকা জওয়ান ও বাকি আরোহীরা ছিটকে এসে রাস্তায় পড়েন। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যায় সেনা ও পুলিশ। দন্তেওয়াড়ার পুলিশ সুপার অভিষেক পল্লব জানিয়েছেন, মাওবাদীদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে।

১২ তারিখ এবং ২০ তারিখ দু’দফায় ভোটের ঘোষণা হয়েছে মাওবাদী অধ্যুষিত রাজ্যটিতে। প্রথম দফায় ভোট হবে বস্তার প্রদেশের ১৮টি কেন্দ্রে। দ্বিতীয় দফায় ৭২টি কেন্দ্রে। ভোট বয়কটের ডাক দিয়ে আগেই হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল মাওবাদীরা। অশান্ত এলাকাগুলিতে তাই নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। তার পরেও ভোটের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে গত ৩০ অক্টোবর মাওবাদীদের হাতে মৃত্যু হয় তিন পুলিশ কর্মী ও দূরদর্শনের এক ক্যামেরাম্যানের। তারও তিন দিন আগে বিজাপুর জেলায় সিআরপিএফ-এর একটি বুলেটপ্রুফ বাঙ্কার উড়িয়ে দেয় মাওবাদীরা। নিহত হন চার জওয়ান।

আরও পড়ুন: মন্দির-মসজিদ নয়, বিতর্কিত জমিতে শিশুদের জন্য মাঠ চাইছে অযোধ্যা

অভিষেক পল্লব জানিয়েছেন, আজ সকালে বাজার থেকে জিনিসপত্র কিনে একটি বাসে আকাশনগর এলাকায় তাঁদের শিবিরে ফিরছিলেন জওয়ানরা। সেই সময়ে বাচেলির পাহাড়ি এলাকায় ৬ নম্বর বাঁকের কাছে হামলা চালায় মাওবাদীরা। ভোটের ডিউটিতে ছত্তীসগঢ়ে আসা ওই জওয়ানদের ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয়েছিল বাসটি। অভিষেক জানিয়েছেন, বাইলাডিলায় ন্যাশনাল মাইনিং ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের লৌহ আকরিক খনিগুলি পাহারার দায়িত্বে ছিল জওয়ানদের ওই দল। নিহত কনস্টেবল দীনাঙ্কর মুখোপাধ্যায় ৫০২ নম্বর ব্যাটেলিয়ন ‘বি’ কোম্পানির সদস্য। ভোটের কাজে কলকাতা থেকে দন্তেওয়াড়ায় গিয়েছিলেন তিনি। তা ছাড়াও নিহতদের তালিকায় রয়েছেন বাসচালক রমেশ পাটকর, হেল্পার রোশন কুমার শাহু, জোহান নায়েক ও সুশীল বানজারে নামে এক ট্রাক চালক। জানা গিয়েছে, ট্রাকচালক সুশীলকে বাসে লিফট দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: সঙ্কট নেই মিউচুয়াল ফান্ডে, লগ্নিকারীদের আশ্বাস কর্তৃপক্ষের

পল্লব জানান, নিরাপত্তা বাহিনীকে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, বাজার থেকে কিছু কেনার প্রয়োজন হলে যেন স্থানীয় কোনও লোককে পাঠানো হয়। জওয়ানদের দল কোথাও গেলে সুরক্ষার জন্য যেন আগে ‘রোড ওপেনিং পার্টি’ যায়। পল্লবের কথায়, ‘‘তার পরেও এই হামলায় প্রমাণ হয়, আমাদের তরফেই গলদ ছিল।’’

Maoist Maoist Attack Crime Violence
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy