Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
India-China Clash

গলওয়ানে ফের ভারত-চিন সামরিক পর্যায়ের বৈঠক, অবস্থানে অনড় বেজিং

বুধবারও একই ভাবে মেজর জেনারেল পর্যায়ের বৈঠক করেন দু’দেশের সেনা অফিসাররা। কিন্তু ওই বৈঠকে কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি।

লাদাখ সীমান্তে প্রহরায় ভারতীয় জওয়ানরা। ছবি: পিটিআই

লাদাখ সীমান্তে প্রহরায় ভারতীয় জওয়ানরা। ছবি: পিটিআই

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৮ জুন ২০২০ ১৩:১৩
Share: Save:

মঙ্গলবার বৈঠকে সমাধানসূত্র মেলেনি। গলওয়ান উপত্যকায় সেনা সরানো নিয়ে বৃহস্পতিবার ফের সেনার মেজর জেনারেল পর্যায়ের বৈঠকে বসল ভারত-চিন। গলওয়ানে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে যে জায়গায় দু’দেশের সেনার সংঘর্ষ হয়েছিল, সেই এলাকাতেই বৈঠক চলছে বলে সেনা সূত্রে খবর মিলেছে। তবে চিন এখনও সেনা সরাতে নারাজ অবস্থানেই অনড় রয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।

সোমবার রাতে পূর্ব লাদাখের গলওয়ান উপত্যকায় ভারত-চিন সেনার মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে। ভারতের পক্ষে এক কর্নেল-সহ ১৯ জন সেনা জওয়ান নিহত হন। চিনের দিকে ৪৩ জন হতাহত বলে ভারতীয় সেনা সূত্র উদ্ধৃত করে একাধিক সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে। তবে চিন হতাহতের কথা স্বীকার করলেও সেই সংখ্যা সঠিক কত, তা এখনও স্পষ্ট করেনি।

এই সংঘর্ষের আগে থেকেই দু’দেশের মধ্যে সামরিক পর্যায়ের আলোচনা চলছিল। সোমবার সংঘর্ষের দিনও একপ্রস্থ আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু তার পর সংঘর্ষের জেরে প্রাথমিক ভাবে আলোচনা স্থগিত হয়ে গিয়েছিল। তবে বুধবার দুপুরের পর কিছুটা জট খোলে। বিকেলের দিকে আলোচনায় বসেন দু’পক্ষের মেজর জেনারেল পর্যায়ের সেনা অফিসাররা। কিন্তু বুধবার কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি।

আরও পড়ুন: লাদাখে সেনা বাড়াচ্ছে দুই দেশই || আমরা জবাব দিতে তৈরি: মোদী

আরও পড়ুন: ‘‘লাদাখ সীমান্তে গোলমাল চলছে, মিটে গেলে বৌ-বাচ্চাকে নিয়ে বাড়ি যাব’’

এর পর আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ফের বৈঠক চলছে। ভারতের দাবি, ভারতের দিকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কয়েক কিলোমিটার ভিতরে ঢুকে পড়েছে চিনের সেনা। সেই সেনাবাহিনী সরিয়ে নেওয়ার জন্যই দু’পক্ষের মধ্যে দর কষাকষি চলছে বলে সেনা সূত্রে খবর মিলেছে।

গলওয়ানের পরিস্থিতি নিয়ে বুধবার চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে কথা বলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। চিনের এই আগ্রাসন পূর্ব পরিকল্পিত বলে ওয়াং ই-কে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু তার পরেও এ দিন গালওয়ানের এই বৈঠকে চিনের অনড় অবস্থানের জেরে বেজিংয়ের আগ্রাসী মনোভাবই স্পষ্ট হচ্ছে বলে মনে করছে কূটনৈতিক শিবির।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE