Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

আড়ি পাতার পাক যন্ত্র নেই অভিনন্দনের শরীরে, মারের চোট পাঁজরে-মেরুদণ্ডে

উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান বায়ুসেনার শীর্ষ অফিসারদের জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি দ্রুত ককপিটে ফিরতে চান। ফের সুখোই বা মিরাজের ককপিটে চেপে উড়ে যেতে চান আকাশের পানে।

‘কেমন আছেন’: অভিনন্দন বর্তমানের খোঁজ নিতে হাসপাতালে প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ ভামরে। নিজস্ব চিত্র

‘কেমন আছেন’: অভিনন্দন বর্তমানের খোঁজ নিতে হাসপাতালে প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ ভামরে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০১৯ ০৩:৩১
Share: Save:

নীল আকাশ হাতছানি দিচ্ছে অভিনন্দনকে।

এখনও পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেননি। ডান চোখে এখনও আঘাতের চিহ্ন স্পষ্ট। মেরুদণ্ড ও পাঁজরে চোট রয়েছে। আর মানসিক আঘাত তো রয়েইছে।

তাতে কী?

উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান বায়ুসেনার শীর্ষ অফিসারদের জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি দ্রুত ককপিটে ফিরতে চান। ফের সুখোই বা মিরাজের ককপিটে চেপে উড়ে যেতে চান আকাশের পানে।

একটি সরকারি সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত অভিনন্দনের শরীরে কোনও রকম ‘বাগ’ বা আড়ি পাতার জন্য চিপ-এর সন্ধান মেলেনি। পাকিস্তান এই ধরণের ‘বাগ’ তাদের হাতে বন্দিদের শরীরে ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে বলে সন্দেহ করা হয়। তাই নিয়ম মেনে অভিনন্দনের শরীরে এমআরআই স্ক্যান ও অন্য পরীক্ষা করা হয়েছে।

সরকারি সূত্রের বক্তব্য, স্থানীয় পাকিস্তানিদের হাতে পড়ে মারধর খাওয়ার ফলে অভিনন্দনের পাঁজরে চোট লেগেছে। তাঁর মেরুদণ্ডের নিচের অংশেও চোট রয়েছে। অভিনন্দন যে মিগ যুদ্ধবিমান নিয়ে পাকিস্তানের এফ-১৬ বিমানের পিছনে ধাওয়া করেছিলেন, তা পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্রের নিশানায় পড়ায় তাঁকে বিমানের ককপিট থেকে বেরিয়ে পড়তে ‘ইজেক্ট’ করতে হয়। সেই সময় মেরুদণ্ডে চোট লেগে থাকতে পারে বলে চিকিৎসকদের ধারণা। আজ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী সুভাষ ভামরে সেনা হাসপাতালে অভিনন্দনকে দেখতে যান। অভিনন্দন তাঁর সঙ্গে হাসি মুখেই কথা বলেন।

আরও পড়ুন: ‘আর ৭৩ সিলেক্টেড’, পাক যুদ্ধবিমানকে ধ্বংস করার আগে এই বার্তাই দিয়েছিলেন অভিনন্দন

শুত্রবারই ওয়াঘা থেকে ভারতের মাটিতে পা রাখেন অভিনন্দন। অমৃতসর থেকে দিল্লিতে নিয়ে আসার পর প্রথমে তাঁকে বায়ুসেনার সেন্ট্রাল মেডিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্টে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর তাঁকে আর্মি রিসার্চ অ্যান্ড রেফেরাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অভিনন্দন দ্রুত ককপিটে ফিরতে চাইলেও, সেনা সূত্রের খবর, আগামী ১০ দিন অভিনন্দনের নানারকম পরীক্ষা ও চিতিৎসা চলবে। অভিনন্দনের উপর পাকিস্তানি সেনা শারীরিক অত্যাচার না চালালেও, মানসিক চাপ তৈরি করেছিল। তাঁকে জেরাও করা হয়েছিল।আজ কয়েক দফায় গোয়েন্দা, সেনা ও বায়ুসেনার কর্তারা অভিনন্দনের সঙ্গে কথা বলেছেন। এই ‘ডিব্রিফিং’ প্রক্রিয়ায় তাঁর সঙ্গে পাকিস্তানে কী ধরণের আচরণ করা হয়েছে, তিনি কী বলেছেন, তা জানার চেষ্টা হয়েছে। একইসঙ্গে এ বিষয়ে তিনি পরিবার ও সহকর্মীদের সামনে কতখানি মুখ খুলবেন, তাঁকে ভবিষ্যতে কী ভাবে চলতে হবে, তা বোঝানোর কাজ শুরু হয়েছে। বায়ুসেনার কর্তারা বলছেন, সুস্থ হয়ে ওঠার পাশাপাশি অভিনন্দনের মানসিক ভাবে ধাতস্থ হওয়াও প্রয়োজন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE