ছবি: পিটিআই।
কংগ্রেসের সভাপতি পদে কি শীঘ্রই প্রত্যাবর্তন ঘটতে চলেছে রাহুল গাঁধীর? তেমনই ইঙ্গিত দিয়ে আজ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের একটি মন্ত্রণা কমিটি গঠন করেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী। কমিটির সদস্যদের তালিকায় মনমোহনের পরেই দ্বিতীয় নাম রাহুলের। তার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ, এই কমিটিতে আহমেদ পটেল, এ কে অ্যান্টনি বা গুলাম নবি আজাদের মতো ‘প্রবীণ ব্রিগেড’-এর নেতারা নেই। পি চিদম্বরম, জয়রাম রমেশরা রয়েছেন অবশ্য। কমিটিতে রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা, কে সি বেণুগোপাল, মণীশ তিওয়ারি, প্রবীণ চক্রবর্তী, গৌরব বল্লভ, সুপ্রিয়া শ্রীনেত, রোহন গুপ্তর মতো ‘তরুণ ব্রিগেড’-এর সদস্যদেরই ভিড়।
এআইসিসি জানিয়েছে, এই কমিটি প্রতি দিন নিজেদের মধ্যে ভিডিয়ো সম্মেলন করে সাম্প্রতিক উদ্বেগজনক বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করবে। বিভিন্ন বিষয়ে দলের অবস্থান ঠিক করবে। কংগ্রেস নেতাদের মতে, করোনাভাইরাসের মোকাবিলা ও লকডাউনের ফলে উদ্ভুত আর্থিক সঙ্কটের পরিপ্রেক্ষিতে নরেন্দ্র মোদী সরকারের গাফিলতি দেখিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি কংগ্রেসের বিকল্প নীতি ও পরামর্শের মোড়কে গঠনমূলক সমালোচনাও তুলে ধরতে হবে।না হলে অতিমারির সময় কংগ্রেস ‘সস্তার রাজনীতি’ করছে বলে অভিযোগ উঠবে।
শুক্রবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ছোট-মাঝারি শিল্পের জন্য ঋণের জোগান অব্যাহত রাখতে এক গুচ্ছ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তা নিয়ে কংগ্রেসের অবস্থান ব্যাখ্যা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রণদীপ ও গৌরবকে। তাঁদের যুক্তি, শীর্ষ ব্যাঙ্ক চেষ্টা করছে, ব্যাঙ্কগুলির হাতে যাতে যথেষ্ট নগদ থাকে। যাতে তারা ঋণ দিতে পারে। বাস্তব হল, এখন নগদের অভাব নেই। কিন্তু এখন কেউ লগ্নির ঝুঁকি নিতে চাইবেন না। এখন বাজারে চাহিদা ভেঙে পড়েছে। এখন উচিত, চাহিদা বাড়ানোর চেষ্টা করা। যাতে অর্থনীতি চাঙ্গা হয়।
আরও পড়ুন: কিছু জায়গায় কাল থেকে মিলবে কিছু ছাড়
আরও পড়ুন: শেনইয়াংয়ে ‘বন্দি’ সুন্দরবনের সৈকত
চলতি সপ্তাহেই রাহুল গাঁধী সাংবাদিক বৈঠক করে দলের নীতি স্পষ্ট করে দিয়ে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর নানা বিষয়ে মতভেদ থাকলেও এখন চাপান-উতোরের বদলে একসঙ্গে করোনার মোকাবিলা করা প্রয়োজন। ওই সাংবাদিক বৈঠকে রাহুল যথেষ্ট প্রাজ্ঞতার পরিচয় দিয়েছেন বলে কংগ্রেস নেতাদের দাবি। এর পরেই নতুন করে তাঁকে সভাপতি পদে ফেরানোর দাবি উঠেছে।
এই পরিপ্রেক্ষিতেই আহমেদ পটেল, অ্যান্টনিদের কমিটি থেকে বাদ রাখা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে কংগ্রেস শিবির। কারণ সনিয়া জমানায় এর আগে এমন কোনও কমিটি তৈরি হয়নি, যেখানে এই দু’জন ছিলেন না। লোকসভা হারের পরে প্রবীণ নেতারা দলের পরিসংখ্যান সেলের প্রধান ‘টিম রাহুল’-এর সদস্য প্রবীণ চক্রবর্তীর দিকে আঙুল তুলেছিলেন। তাঁর সঙ্গে সাংবাদিকতা ছেড়ে রাজনীতিতে আসা সুপ্রিয়া শ্রীনেত, সোশ্যাল মিডিয়া বিভাগের প্রধান রোহনকে মন্ত্রণা কমিটিতে রাখার পিছনে রাহুলেরই সিলমোহর দেখছে কংগ্রেস শিবির।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy