Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
National News

ভারতের স্বাধীনতা, উন্নয়নে অবদান ছিল জিন্নারও, বললেন শত্রুঘ্ন সিন্‌হা

দেশের স্বাধীনতার জন্য রাহুল গাঁধীরও পরে উল্লেখ করলেন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর নাম! মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়ারায়, একটি নির্বাচনী জনসভায়।

ছবি টুইটারের সৌজন্যে।

ছবি টুইটারের সৌজন্যে।

সংবাদ সংস্থা
ছিন্দওয়াড়া (মধ্যপ্রদেশ) শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০১৯ ১৪:৪২
Share: Save:

ভারতের স্বাধীনতা ও উন্নয়নে অবদানের জন্য মহাত্মা গাঁধী, সর্দার বল্লভভাই পটেল, জওহরলাল নেহরু ও ইন্দিরা গাঁধীর সঙ্গে পাকিস্তানের জনক মহম্মদ আলি জিন্নারও নামোল্লেখ করলেন বিজেপি ছেড়ে সদ্য কংগ্রেসে যোগ দেওয়া সাংসদ-অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিন্‌হা। আর দেশের স্বাধীনতার জন্য রাহুল গাঁধীরও পরে উল্লেখ করলেন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর নাম! মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়াড়ায়, একটি নির্বাচনী জনসভায়।

ছিন্দওয়াড়া লোকসভা আসনে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের ছেলে নকুল নাথ। তাঁর সমর্থনে এক জনসভায় শত্রুঘ্ন বলেন, ‘‘মহাত্মা গাঁধী, সর্দার বল্লভভাই পটেল, মহম্মদ আলি জিন্না থেকে শুরু করে জওহরলাল নেহরু, ইন্দিরা গাঁধী, রাজীব গাঁধী, রাহুল গাঁধী, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু পর্যন্ত সকলেই কংগ্রেস পরিবারের সদস্য। এটা তাঁদের দল। আমাদের দেশের স্বাধীনতা ও উন্নয়নের জন্য ওঁদের যথেষ্টই ভূমিকা রয়েছে। অবদান রয়েছে। আর সে জন্যই আমি এই দলে এসেছি।’’

ভোটের মুখে বিহারের পটনা সাহিব কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ শত্রুঘ্ন কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর থেকেই খবরের শিরোনাম হতে শুরু করেছেন। এ বার পটনা সাহিবে বিজেপি তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী করেছে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদকে। উত্তরপ্রদেশে তাঁর দল কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও জোট বা আসন সমঝোতা হয়নি অখিলেশ যাদবের দল সমাজবাদী পার্টি (সপা)-র। কংগ্রেস প্রার্থী দেওয়া সত্ত্বেও লখনউয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী সপা প্রার্থী, স্ত্রী পুনমের হয়ে নির্বাচনী প্রচার করেছেন শত্রুঘ্ন। পরেও সেখানে কংগ্রেস প্রার্থীর সঙ্গে দেখা করা তো দূরের কথা, যাননি কংগ্রেসের নির্বাচনী কার্যালয়েও।

আরও পড়ুন- সাইকেলে সওয়ার শত্রুঘ্ন-পত্নী পুনম​

আরও পড়ুন- সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দিলেন শত্রুঘ্ন জায়া পুনম, লড়বেন রাজনাথের বিরুদ্ধে​

বছরের গোড়ায় বহুজন সমাজ পার্টি (বসপা) নেত্রী মায়াবতী স্পষ্টই জানিয়েছিলেন, কোনও মতেই জোট সম্ভব নয় কংগ্রেসের সঙ্গে। দেশের দুর্নীতির জন্য আগের কংগ্রেস সরকারগুলিরও কড়া সমালোচনা করেন তিনি। কিন্তু তার পরেও মায়াবতীকে ‘প্রধানমন্ত্রী হওয়ার মতো ব্যক্তিত্ব’ বলে উল্লেখ করেন শত্রুঘ্ন। কংগ্রেসে আসার পর। সপা নেতা অখিলেশ যাদবেরও প্রশংসা করেন সাংসদ-অভিনেতা। তা নিয়ে বেশ কিছুটা হইচই কংগ্রেসের অন্দরে।

তবে এমন অভ্যাস আগেও ছিল শত্রুঘ্নের। যখন বিজেপিতে ছিলেন, তখন আগাগোড়াই সমালোচনা করে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE