—ফাইল চিত্র।
কোভিড-১৯ অতিমারিতে থমকে যাওয়া আন্দোলন ফের মাথা তুলছে। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)-এর বিরুদ্ধে ফের ধর্নায় বসতে চলেছেন শাহিন বাগের ‘দাদি’রা। আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন বেঙ্গালুরুর প্রতিবাদীরা। এই আইনের প্রতিবাদ করায় যাঁরা এখন ‘রাজনৈতিক বন্দি’ হয়ে রয়েছেন, তাঁদের মুক্তি চেয়ে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন আজ পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, দিল্লি-সহ নানা রাজ্যে বিক্ষোভ দেখিয়েছে।
সাধারণত নতুন আইনের নিয়মকানুন ছ’মাসের মধ্যে তৈরি করে ফেলা হয়। সিএএ-র ছ’মাস হবে আগামী ১১ জুন। কিন্তু এখনও এর নিয়মকানুন তৈরি না-হওয়ায় আজ প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। তাদের এক সাংসদের মন্তব্য, ‘‘মনে হচ্ছে, দিল্লির ভোটে হেরে যেতেই সিএএ নিয়ে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছে শাসক শিবির। বোঝাই যাচ্ছে, ফেব্রুয়ারিতে দিল্লির ভোটে ধর্মীয় মেরুকরণ ঘটিয়ে বিজেপিকে ফায়দা করে দিতেই তড়িঘড়ি ডিসেম্বরে নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের বিল এনেছিল সরকার। কৌশল ব্যর্থ হওয়ায় সরকারও এখন গা-ছাড়া।’’
বিজেপির তরফে কেউ মুখ খোলেননি এ নিয়ে। তবে অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, ছ’মাসের সময়সীমা শেষ হতে এখনও এক সপ্তাহ বাকি। তার মধ্যে বিধিনিয়ম তৈরি হতে পারে। একান্ত সম্ভব না-হলে সংসদীয় ‘সাবঅর্ডিনেট লেজিসলেশন’ কমিটির কাছে সরকার বাড়তি সময় চাইবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের মতে, অতীতেও একাধিক আইনের বিধিনিয়ম তৈরি করতে ছ’মাসের বেশি লেগেছে। এই ক্ষেত্রে তো ছ’মাসের আড়াই মাসই গিয়েছে করোনাভাইরাস মোকাবিলায়। বাড়তি সময় লাগাটা স্বাভাবিক।
আরও পড়ুন: পৃথক ফল কেন মহুয়ার ক্ষেত্রে, প্রশ্ন বিজেপির
আরও পড়ুন: আমপানের শক্তি ছিল না, ১ প্রাণ কেড়ে স্তিমিত নিসর্গ
ধর্মের ভিত্তিতে শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার বিল ও আইনকে ঘিরে দীর্ঘদিন ধরেই প্রতিবাদ-আন্দোলন হচ্ছিল দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। সিএএ-বিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে হিংসাও ছড়ায় উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে। মারা যান পঞ্চাশ জনের বেশি। করোনার হানাদারিতে থমকে যায় সেই আন্দোলন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy