দলকে বার্তা সনিয়ার। ছবি: পিটিআই
লোকসভা ভোটে বিপুল পরাজয়। সেই ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে কংগ্রেস। সভাপতির পদ থেকে রাহুল গাঁধী সরে যাওয়ার পর কংগ্রেসের অন্তর্বর্তিকালীন দায়িত্ব সনিয়া গাঁধীর কাঁধেই। সেই দায়িত্ব নেওয়ার পর বৃহস্পতিবার প্রথম বৈঠকে দলীয় নেতাদের কড়া বার্তা দিলেন সনিয়া। দেশের গণতন্ত্র বিপন্ন বলে মন্তব্য করেছেন সনিয়া। একই সঙ্গে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অর্থনীতি নিয়েও। এই ইস্যুগুলিকে সামনে রেখে দলকে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।
এ দিনের বৈঠকে বিজেপিকেই টার্গেট করেন সনিয়া। তিনি বলেন, ‘‘জনতার রায়কে বিপজ্জনক ভাবে অপব্যবহার করা হচ্ছে ও অপমান করা হচ্ছে। মহাত্মা গাঁধী, সর্দার বল্লভভাই পটেল বা বিআর অম্বেডকরের মতো স্বাধীনতা সংগ্রামীদের যথাযথ সম্মান দেখানোর বদলে, ঘৃণ্য উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে তাঁদের শিক্ষাকে ভুল ভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।’’
বিজেপির কর্মপদ্ধতি নিয়ে দলীয় ব্যাখ্যার পাশাপাশি, কম সংখ্যা নিয়েও বিজেপির বিরুদ্ধে কোন পথে কংগ্রেস পাল্টা আক্রমণে নামবে তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন সনিয়া। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেসের অবশ্যই বিক্ষোভ কর্মসূচি থাকা উচিত। এ নিয়ে শুধু মাত্র সোশাল মিডিয়াতেই সক্রিয় হওয়া যথেষ্ট নয়।’’
আরও পড়ুন: লাদাখে ফের মুখোমুখি দুই দেশ, ভারতীয় সেনার রাস্তা আটকাল চিন, আলোচনায় কমল উত্তেজনা
ধুঁকছে দেশের জিডিপি। গাড়ি-সহ নানা শিল্প ক্ষেত্রে জোরাল ধাক্কা। গত কয়েকদিনেই দেশের অর্থনীতি নিয়ে এমন একের পর এক তথ্য বিরোধীদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছে। এ দিনের বৈঠকে স্বাভাবিক ভাবেই সেই সব কথাও উঠে আসে। তা নিয়ে সনিয়া বলেন, ‘‘দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ভয়াবহ। ক্ষতির পরিমাণ ক্রমশ বাড়ছে। সাধারণ মানুষ আত্মবিশ্বাস হারাচ্ছে। আর সে দিক থেকে নজর ঘোরানোর জন্য সরকার অভূতপূর্ব ভাবে প্রতিহিংসার রাজনীতি চালিয়ে যাচ্ছে।’’ বৈঠকে দেশের ‘দুর্বল’ অর্থনীতির কথা তুলে ধরেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহও।
চলতি বছরে মহাত্মা গাঁধীর ১৫০ তম জন্মজয়ন্তী পালনকে সামনে রেখে এগোচ্ছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। কিন্তু তা নিয়ে বিজেপিকে একা ময়দান ছেড়ে দিতে রাজি নন সনিয়া। তা নিয়ে দেশ জুড়ে বিশাল পদযাত্রা ও সেমিনার করার মতো কর্মসূচি নিয়েছে হাত শিবির।
এ দিনের বৈঠকে অবশ্য উপস্থিত ছিলেন না রাহুল। ছিলেন না মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথও। উপস্থিত ছিলেন গুলাম নবি আজাদ, মল্লিকার্জুন খড়গে, প্রিয়ঙ্কা-সহ অনেকেই।
আরও পড়ুন: টাইমসের সমীক্ষা, বিশ্বের প্রথম তিনশোয় নেই ভারতের কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy