বম্বে হাইকোর্টের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের সাজা খারিজ করে ধ্যানেশ্বরকে যাবজ্জীবন দিল সুপ্রিম কোর্ট।
প্রায় দু’দশকের বন্দিদশায় একটি কবিতা লিখেছিল সে। যার ছত্রে ছত্রে ছিল অতীতে করা অপরাধের জন্য অনুতাপ। এই কবিতাই বাঁচিয়ে দিল খুনের আসামি ধ্যানেশ্বর সুরেশ বরকারের জীবন। বম্বে হাইকোর্টের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের সাজা খারিজ করে ধ্যানেশ্বরকে যাবজ্জীবন দিল সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চ বলেছে, ‘‘জেলে থাকাকালীন ওই আসামি যে কবিতা লিখেছে, তা থেকেই বোঝা যায় ও নিজের ভুলটা বুঝতে পেরেছে। তা ছাড়া তখন ওর বয়স অল্প ছিল। এখন ও বদলে গিয়েছে।’’ ধ্যানেশ্বরের লেখা কবিতা পড়েই মন বদলেছেন বিচারপতি একে সিক্রি, বিচারপতি এস আবদুল নজ়ীর ও বিচারপতি এম আর শাহ। সম্প্রতি এক নির্দেশে খারিজ করেছেন তার ফাঁসির সাজা।
আদালত জানিয়েছে, হৃষীকেশ নামে এক কিশোরকে মুক্তিপণের জন্য অপহরণ করে খুন করেছিল ধ্যানেশ্বর। তখন তার ২২ বছর বয়স। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২, ৩৬৪ এবং ২০১ ধারা অনুযায়ী ফাঁসির সাজা হয় তার। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ইতিমধ্যেই ১৮ বছর জেলে কাটিয়ে ফেলেছে সে। বন্দিদশায় ওর আচার-ব্যবহারও ছিল খুব ভাল। সর্বোপরি ও পেশাদার খুনি নয়। বিচারপতিরা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত জেলে থাকাকালীন লেখাপড়া করে স্নাতক হয়েছে। সমাজের মূলস্রোতে ফেরার জন্য নিজেকে আগাগোড়া বদলেছে। বেঞ্চের কথায়, ‘‘এই সব থেকে স্পষ্ট, অভিযুক্ত ফের একই অপরাধ করবে না। সমাজের জন্য সে আর ক্ষতিকর না। ফলে তার মৃত্যুদণ্ডের সাজা রদ করা হল।’’
আরও পড়ুন: স্বাভাবিক হচ্ছে ভারত, পাক ট্রেন
হৃষীকেশ খুনে ধ্যানেশ্বরকে ফাঁসির সাজা দিয়েছিল বম্বে হাইকোর্ট। যার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল সে। সেখানে ধ্যানেশ্বরের লেখা একটি কবিতা বেঞ্চের সামনে পেশ করেন তার আইনজীবী আনন্দ গ্রোভার। তিনি জানান, গাঁধী রিসার্চ ফাউন্ডেশন থেকে গাঁধীজির চিন্তাভাবনায় অনুপ্রাণিত হয়েছে ধ্যানেশ্বর। বদল এসেছে তার চরিত্র ও ভাবনায়। সব দিক বিচার করে অভিযুক্তের মৃত্যুদণ্ড খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়ুন: লোকসভায় প্রার্থী করতে চেয়ে বৈশাখীকে ফোন মুকুলের, শোভনের বাড়িতে তৃণমূল
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy