দেশের সর্বত্র ধর্ষণের ঘটনা ঘটেই চলায় প্রবল ক্ষোভ প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর রিপোর্ট উল্লেখ করে ক্ষুব্ধ শীর্ষ আদালতের তিন সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ আজ বলেন, এই অপরাধ কঠোর হাতে মোকাবিলা করতেই হবে। বিচারপতি এম বি লোকুর, বিচারপতি দীপক গুপ্ত ও বিচারপতি কে এম জোসেফের বেঞ্চ বলে, ‘‘কী করণীয়? নাবালিকা ও মহিলারা চারদিকে ধর্ষিত হচ্ছেন! ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো বলছে ২০১৬ সালেই ৩৮ হাজার ৯৪৭টি ধর্ষণের মামলা নথিভুক্ত হয়েছে!’’
মুজফ্ফরপুরের হোমে ধর্ষণের ঘটনার পর পটনার এক ব্যক্তির পাঠানো একটি চিঠির ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট নিজের থেকেই এই মামলা শুরু করে। আজ বিহার সরকারকে ভর্ৎসনা করে শীর্ষ আদালত বলে, এই হোমটিকে সরকার অর্থ বরাদ্দ করত! কাদের টাকা দেওয়া হচ্ছে, সেখানে কী হচ্ছে তা সরকার দেখবে না! বিহার সরকারের আইনজীবী অবশ্য জানায়, বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গেই সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে।
ঘটনার সিবিআই তদন্তে কোনও রকম হস্তক্ষেপ আদালত করতে চায়নি। তবে জানিয়েছে, ২ অগস্ট শুনানির সময় বেঞ্চ যে নির্দেশ দিয়েছিল তদন্তকারী সংস্থা যেন তা মাথায় রাখে। উল্লেখ্য, সেদিনের নির্দেশে সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, মুজফ্ফরপুরের ঘটনার তদন্তের ক্ষেত্রে পেশাদার কাউন্সেলর বা শিশু বিষয়ক মনোবিদদের সাহায্য যেন নেওয়া হয়। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড নিউরোসায়েন্সেস (নিমহানস), টাটা ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল সায়েন্সেস (টিস) ও এইমসের সঙ্গে কথা বলে কাউন্সেলর ও মনোবিদদের যাতে নিয়োগ করা হয়, তা-ও কোর্ট সে-দিনই বলে দেয়।
এ দিন ডিভিশন বেঞ্চের তিন বিচারপতিই বলেন, ‘‘প্রতি ৬ ঘণ্টায় দেশে একটি করে ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। সাঙ্ঘাতিক উদ্বেগের বিষয়। এর প্রতিরোধে কাউকে ব্যবস্থা নিতেই হবে!’’ এই ধরনের ঘটনার রিপোর্টে সাংবাদিকদের জন্যও কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে শীর্ষ আদালত।
আজ উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়ার ঘটনায় যোগী আদিত্যনাথ সরকারের বিরুদ্ধে সরব হল বিরোধীরা। প্রথমে সংসদ চত্বরে গাঁধী মূর্তির সামনে, পরে লোকসভা ও রাজ্যসভায় এ নিয়ে বিক্ষোভ দেখান এসপি, আরজেডি, তৃণমূল সাংসদরা। জবাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ বলেন, ‘‘দেওরিয়ার ঘটনা নিন্দনীয়। দোষীদের শাস্তি হবে। যারা হোমটি চালচ্ছিল তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সরকারি অফিসারদেরও সাসপেন্ড করা হয়েছে।’’ ঘটনাটি জানাজানির পরেই যে ভাবে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন তদন্ত শুরু করেছে তাতে মুখ্যমন্ত্রী যোগীর প্রশংসা করেন রাজনাথ। যা শুনে প্রতিবাদ জানায় সপা ও তৃণমূল। এ দিন রাহুল গাঁধী বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী সবেতেই মুখ খোলেন। কিন্তু মুজফ্ফুরপুর ও দেওরিয়া নিয়ে তিনি চুপ!’’ রাতে দেওরিয়ার তদন্ত সিবিআইকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় উত্তরপ্রদেশ সরকার।
দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা বাংলা খবর পেতে পড়ুন আমাদের দেশ বিভাগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy