Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
National news

ছেলেধরা ভেবে গাড়ি থেকে নামিয়ে তিন কংগ্রেস নেতাকে বেধড়ক পেটালেন গ্রামবাসীরা!

ওই তিন কংগ্রেস নেতা হলেন, ধর্মেন্দ্র শুক্লা, ধার্মু সিংহ এবং ললিত বারাসকর।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
ভোপাল শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০১৯ ১৫:৩৮
Share: Save:

রাতে গাড়িতে চেপে যাওয়া তিন কংগ্রেস নেতাকে ছেলেধরা ভেবে বেধড়ক পেটালেন গ্রামবাসীরা। ভাঙচুর চালানো হল তাঁদের গাড়িতেও। বৃহস্পতিবার রাতে মধ্যপ্রদেশের বেতুল জেলার নাভালসিন গ্রামের ঘটনা। ওই তিন কংগ্রেস নেতা হলেন, ধর্মেন্দ্র শুক্লা, ধার্মু সিংহ এবং ললিত বারাসকর।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই মধ্যপ্রদেশ জুড়ে শিশু চোর সন্দেহে গণপিটুনির ঘটনা সামনে আসছে। যে বেতুলে ওই তিন কংগ্রেস নেতাকে পেটানো হয়েছে, সেখানেও এর আগে দু’জন ব্যক্তি শিশু চোর সন্দেহে গণপিটুনির শিকার হয়েছেন। এই নিয়ে গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক ছিলই। সম্প্রতি তাঁরা খবর পান, বৃহস্পতিবার রাতে বেতুলে কয়েকজন ছেলেধরা ঢোকার কথা। গ্রামবাসীরা তাদের ধরতে আগে থেকে তাই ফাঁদ পেতে রেখেছিলেন।

বেতুলের নাভালসিন গ্রামে ঢোকার মূল রাস্তার উপর গাছের গুড়ি ফেলে রাস্তা বন্ধ করে দেন তাঁরা। তার পর আশেপাশে লুকিয়ে পড়েন। যাতে ছেলেধরার দল গ্রামে ঢুকতে গেলেই তাদের সহজে ধরে ফেলতে পারেন, এমনই পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে এই রাতে ওই তিন কংগ্রেস নেতা গাড়ি নিয়ে ওই রাস্তা দিয়েই যাচ্ছিলেন। রাস্তার মধ্যে গাছের গুঁড়ি দিয়ে রাস্তা বন্ধ করা হয়েছে দেখে তাঁদের মনে হয়েছিল, ডাকাতির উদ্দেশে হয়তো এরকম করা হয়েছে। তাই তড়িঘড়ি গাড়ি ঘুরিয়ে চলে যেতে যান তাঁরা। কিন্তু সেই সময়ই গ্রামবাসীরা তাড়া করে তাঁদের ধরে ফেলেন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাঁদের তিনজনকে গাড়ি থেকে টেনেহিঁচড়ে নামিয়ে বেধড়ক পেটাতে শুরু করেন উত্তেজিত গ্রামবাসীরা। ভাঙচুর চালানো হয় তাঁদের গাড়িতেও। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে। তিন কংগ্রেস নেতা বেতুল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

আরও পড়ুন: বেহালা-কাণ্ড: কাজ করতে এসে রেকি! লুঠের পর বৃদ্ধাকে খুন, জালে কাঠমিস্ত্রি

এক সিনিয়র পুলিশ কর্তা রাম মিশ্র বলেন, ‘‘ছেলেধরা ভেবে তাঁদের মারধর করেছেন গ্রামবাসীরা। গাড়িটাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মামলা দায়ের হয়েছে। তদন্ত চলছে।’’

আরও পড়ুন: বিহারে আকাশ থেকে খসে পড়ল রহস্যজনক পাথর! তৈরি হল বিশাল গর্ত

বেতুল থেকে এই নিয়ে শিশু চোর উপলক্ষে গণপিটুনির তিনটি ঘটনা সামনে এল। এ ছাড়াও ইনদওর, ভোপাল, হোসাঙ্গাবাদ, সেহোর, নীমুচ এবং দিওয়াসেও গণপিটুনির ঘটনা সামনে এসেছে। গত শনিবারই দিওয়াসে ঠিক সময়ে পুলিশ পৌঁছে গিয়ে এক মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলাকে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE