একটি বৈদ্যুতিন চ্যানেল ও তার সম্পাদকের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস দিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। লোকসভায় নিজের প্রথম ভাষণের কিছু অংশ মহুয়া মৈত্র এক মার্কিন প্রকাশনা থেকে নিয়েছেন। তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলে টুইট করেন ওই চ্যানেলের সম্পাদক। তারই প্রতিবাদে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস দেন মহুয়া। অধ্যক্ষ ওম বিড়লা নোটিসটি গ্রহণ করে জানান, বিষয়টি তাঁর বিবেচনাধীন। কিন্তু যেহেতু ওই সম্পাদক সংসদের সদস্য নন, তাই তাঁর নাম উল্লেখ করার পরেই বিষয়টি নিয়ে মহুয়া মৈত্রকে সবিস্তার বলার অনুমতি দেননি অধ্যক্ষ।
লোকসভায় ২৫ জুন প্রথম ভাষণ দেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র। সেই বক্তব্যে তিনি তীব্র আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। বিরোধীদের প্রচুর প্রশংসা পান মহুয়া মৈত্র। কিন্তু এরপরেই অভিযোগ ওঠে, ২০১৭-র জানুয়ারিতে ওয়াশিংটন মান্থলি আর্টিকলে প্রকাশিত মার্টিন লংম্যানের ‘দ্য ১২ আর্লি ওয়ার্নিং সাইনস অব ফ্যাসিজম’ থেকে বেশ কয়েকটি পয়েন্ট তুলে নিয়েছেন মহুয়া। আর সেগুলিতে ট্রাম্পের জায়গায় মোদীর নাম বসিয়ে দিয়েছেন।
একই অভিযোগ তুলে টুইট করেন একটি চ্যানেলের সম্পাদক। মহুয়া মৈত্র স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন তাঁর বক্তব্যের তথ্যের সূত্র। তা হল ওয়াশিংটন ডিসি-র হলোকস্ট মিউজিয়ামের একটি পোস্টার। তাঁর পুরো বক্তব্যটি তিনি হৃদয় থেকে রেখেছেন। দেশের মানুষ যাঁরা এটি ছড়িয়ে দিয়েছেন, তাঁরাও হৃদয় থেকে তা করেছেন।
— Mahua Moitra (@MahuaMoitra) July 3, 2019
একটি মার্কিন ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনের উল্লেখ করে ওই সম্পাদক টুইট করেন, লোকসভায় মহুয়া মৈত্রের ভাষণ এই প্রতিবেদন থেকে নকল করা। প্রতিবেদনের শব্দগুলিও ধার করেছেন তিনি। এর ফলে সাংসদের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়েছে। বিজেপি নেতা বিজয় চৌথাইওয়ালে সোমবার মূল প্রতিবেদনের লিঙ্ক টুইট করে বলেন, মৈত্রর ভাষণ পুরোটাই ধার করা।
আরও পড়ুন : মজার মন্তব্যে ভরে গেল সচিন-পিচাইয়ের ছবি
আরও পড়ুন : ‘মাদক খাইয়ে গাড়ির মধ্যে আমাকে ধর্ষণ করে, ছবি তুলে রাখে আদিত্য পাঞ্চোলি’
মহুয়া মৈত্রকে নিয়ে উদ্ভূত বিতর্ক নজরে আসে মার্টিন লংম্যানেরও। বুধবার তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন, তাঁর লেখা নকল করা হয়নি। লংম্যান টুইট করে বলেন, আমি এখন ভারতে ইন্টারনেটে বিখ্যাত হয়ে গিয়েছি। কারণ সাংসদের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ আনা হচ্ছে যে তিনি আমার লেখা চুরি করেছেন। এটা খুবই হাস্যকর।
Whether they reach out to me or not, this is ridiculous. She didn’t steal or plagiarize anything.
— Martin Longman (@BooMan23) July 3, 2019