গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।
মুম্বইয়ের কটন গ্রিন রেল স্টেশনে তাঁর ফোন চুরি গিয়েছিল। ট্রেন থেকে এক পকেটমারফোন নিয়ে পালিয়ে যায়। ফোন কোথায় আছে,তা বুঝতেই ফোন করা হয়। কিন্তু যখন সেই ফোনরিসিভ হল, চমকে গেলেন ফোনের মালিক।
অন্যদিনের মতোই মুম্বইয়ের ভাসি থেকে ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ টার্মিনাসগামী একটি ট্রেনে ওঠেন বছর ছত্রিশের চিরাগ গুপ্ত। চিরাগ ঘাটকোপরের বাসিন্দা। সারাদিন কাজের পর সন্ধ্যায় ট্রেনে সিট পেয়ে বসে যান। কিছুটা ঝিমুনি এসে গিয়েছিল। সেই সুযোগে এক পকেটমার, ট্রাউজার্সের পকেট কেটে প্রায় ৫০ হাজার টাকার ফোন নিয়ে পালায়।
ট্রেন বডালা ঢোকার আগে তিনি খেয়াল করেন, পকেট কাটা, ফোন নেই। সঙ্গে সঙ্গে বডালায় নেমে যান। রেলপুলিশের কাছে অভিযোগ জানান। চিরাগ কর্তব্যরত রেলপুলিশ কর্মীকে অনুরোধ করেন তাঁর মোবাইলে ফোন করতে। কয়েকবার রিং হওয়ার পর এক ব্যক্তি ফোন তোলেন। যিনি তুললেন, তিনি একজন কনস্টেবল।
আরও পড়ুন: মাদক পাচারকারীদের ‘গুপ্তধন’ জঙ্গলে ছড়িয়ে দিল এক দল শুয়োর
সেই কনস্টেবল জানান, তিনি কটন গ্রিন স্টেশনে টহল দিচ্ছিলেন। সেই সময় রেল লাইনে এক আহত ব্যক্তিকে দেখতে পান। তার পাশেই পড়েছিল ফোনটি। আহতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিত্সকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: মহিলা আইনজীবীর শিশুকে কোলে নিয়ে আদর করলেন বিচারক, কেন জানেন?
অভিযুক্তের পকেট থেকে উদ্ধার হওয়া সামগ্রীর মধ্যে ছিল একটি কাগজের টুকরো। তাতে যে নম্বরগুলি লেখা ছিল সেগুলি থেকে অভিযুক্তের এক বন্ধুকে ডেকে পাঠানো হয়। সেই দেহ সনাক্ত করে বলেন, এর নাম আরিফ শেখ (২২), বাড়ি ঝাড়খণ্ডে। ওই নম্বরগুলির মধ্যে এক পুলিশ কর্মীর নম্বরও ছিল। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে আরিফ পুলিশের ইনফর্মার ছিল কিনা।
আরও পড়ুন: সরকারি উদ্যোগে মানুষের জীবন বাঁচাতে পথে নামলেন ‘যমরাজ’!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy