Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
Viral

সৌদি আরব থেকে ধর্ষককে তুলে আনছেন ‘লেডি সিঙ্ঘম’

তিন মাস ধরে কিশোরীকে ধর্ষণ করে সুনীল। প্রথমে ভয়ে কিছু না বললেও পরে পরিবারের লোকেদের সব জানায়। পুলিশে অভিযোগ দায়েরের পরই সৌদি আরব পালিয়ে যান সুনীল। তারপরই অবসাদে আত্মহত্যা করে ওই কিশোরী

আইপিএস মেরিন জোসেফ। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।

আইপিএস মেরিন জোসেফ। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।

সংবাদ সংস্থা
কোল্লাম, কেরল শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০১৯ ১৭:০৮
Share: Save:

বছর তেরোর এক কিশোরীকে ২০১৭ সালে ধর্ষণ করে সৌদি আরব পালিয়ে যান এক ব্যক্তি। এতদিন পর সেখান থেকে তাঁকে ধরে আনছেন কেরলের কোল্লামের পুলিশ কমিশনার। আর যার জেরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই তাঁকে ‘বাস্তবের সিঙ্ঘম’ তকমা দিয়েছে।

বছর দু’য়েক আগে কেরলের কোল্লামে এক বন্ধুর বাড়িতে যান সুনীল কুমার ভদ্রন নামে এই অভিযুক্ত। সুনীলের ওই বন্ধুর ভাইয়ের ১৩ বছরের একটি মেয়ে ছিল। বাড়িতে যাতায়াতের সুযোগে প্রায় তিন মাস ধরে কিশোরীকে ধর্ষণ করে সুনীল। প্রথমে ভয়ে কিছু না বললেও পরে পরিবারের লোকেদের সব জানায়। পুলিশে অভিযোগ দায়েরের পরই সৌদি আরব পালিয়ে যান সুনীল। তারপরই অবসাদে আত্মহত্যা করে ওই কিশোরী। কিশোরীর যে কাকুর সূত্রে সুনীল ওই বাড়িতে যাতায়াত করতে, তিনিও আত্মহত্যা করেন।

এই ঘটনার পর ইন্টারপোল নোটিস জারি করা হয়। কিন্তু মামলাটির কোনও অগ্রগতি হয়নি। এরপর চলতি বছরে জুনে কোল্লামের পুলিশ কমিশনারের পদে বসেন আইপিএস মেরিন জোসেফ। দায়িত্ব নিয়েই নারী ও শিশু নির্যাতন সংক্রান্ত ঝুলে থাকা মামলাগুলি দ্রুত নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করেন। হাত দেন দু’ বছর পুরনো এই ধর্ষণের মামলাটিতেও। যোগাযোগ করা হয় রিয়াধের ইন্টারপোলের সঙ্গে। নতুন করে শুরু হয় তত্পরতা। ইন্টারপোল রিয়াধে গ্রেফতার করে সুনীলকে।

আরও পড়ুন : তুমি যে এ ঘরে কে তা জানত...কাজিরাঙায় ঘরে ঢুকে সোজা বিছানায় বাঘ

আরও পড়ুন : খেতে পারতেন না, ওজন কমেছিল ২৬ কেজি, এবার ঘরে ফিরতে চাইছেন ঋষি কপূর

ভারত ও সৌদি আরবের মধ্যে ২০১০ সালে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি হয়। কিন্তু এ পর্যন্ত কোনও বন্দিকে সৌদি আরব থেকে ভারতে আনা হয়নি। সুনীলই প্রথম ব্যক্তি যাঁকে ভারতে অপরাধ করার অভিযোগে সৌদি আরব থেকে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।

সুনীলকে দেশে ফেরাতে পুলিশের একটি দল নিয়ে নিজেই রিয়াধ গিয়েছেন কোল্লামের পুলিশ কমিশনার। প্রচুর নথি আদান-প্রদান ও আইনি প্রক্রিয়া রয়েছে। সেই সব নিজের তত্বাবধানে সারতেই তিনি এই প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন মেরিন।

এই ঘটনা সামনে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশংসার বন্যায় ভেসে যাচ্ছেন কমিশনার মেরিন। ইতিমধ্যেই তাঁকে ‘বাস্তবের সিঙ্ঘম’ নাম ডাকা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE