Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Viral video

পিলিভিতে বাঘিনিকে পিটিয়ে মারলেন গ্রামবাসীরা, দেখুন ভয়ঙ্কর সেই ভিডিয়ো

বুধবার দুপুরে উত্তরপ্রদেশের একটি গ্রামে ঢুকে পড়ে একটি পূর্ণবয়স্ক বাঘিনি। বছর ছয়েকের ওই বাঘিনিকে বাঁশ, লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মারেন গ্রামের মানুষ

লাঠি, বাঁশ নিয়ে বাঘিনীর ওপর চড়াও গ্রামবাসীরা। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।

লাঠি, বাঁশ নিয়ে বাঘিনীর ওপর চড়াও গ্রামবাসীরা। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।

সংবাদ সংস্থা
লখনউ শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০১৯ ১৪:৩০
Share: Save:

উত্তরপ্রদেশের পিলিভিতে এক বাঘিনিকে পিটিয়ে মেরে ফেললেন একদল গ্রামবাসী। সেই ঘটনা গ্রামবাসীরা মোবাইলে রেকর্ড করেন। ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পরই সমালোচনা শুরু হয়েছে। বাঘিনিটিকে মারার অভিযোগে কয়েক জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল প্রশাসন। তাঁদের মধ্যে ৪ জন গ্রেফতার হয়েছেন।

উত্তরপ্রদেশের পিলিভিত ব্যাঘ্র প্রকল্পের কাছে মাতাইনা গ্রাম, লখনউ থেকে প্রায় ২৪০ কিলোমিটার দূরে, সেখানেই বুধবার দুপুরে ঢুকে পড়ে একটি পূর্ণবয়স্ক বাঘিনি। বছর ছয়েকের ওই বাঘিনিকে বাঁশ, লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মারেন গ্রামের মানুষ। তাঁদের দাবি সকালে বাঘটি কয়েকজন গ্রামবাসীকে জখম করে। পরে বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বাঘিনিটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান। কিন্তু তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

ভিডিয়োটি সামনে আসার পরই সেটি দেখে ৩১ জন গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। অভিযুক্তদের মধ্য়ে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাঘিনির দেহটি পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে।

আরও পড়ুন : বাড়ল শাস্তির মাত্রা, ট্রাফিক নিয়ম ভাঙলে কোথায় কত জরিমানা দেখে নিন

আরও পড়ুন : চাকা লাগানো গোটা বাক্স নিয়ে গেল ‘চোর’ ভাল্লুক!

পিলিভিত ব্যাঘ্র প্রকল্পের ডিরেক্টর এইচ রাজামোহন জানিয়েছেন, বাঘিনিটির শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। এমনকি মারের চোটে পাঁজরের চারটি হাড় পর্যন্ত ভেঙে গিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পিলিভিতের জেলাশাসক বৈভব শ্রীবাস্তব।

ওই ব্যাঘ্র প্রকল্প-সহ পিলিভিত জেলায় ২০১২ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৬টি বাঘ ও ৩টি লেপার্ডের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE