সংসদ ভবন। —ফাইল চিত্র।
এ বার বড়দিনের আগেই শেষ হয়ে যাবে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামী ১৮ নভেম্বর থেকে ১৩ ডিসেম্বর, মাত্র ২৫ দিনের জন্য সংসদের শীতকালীন অধিবেশন বসবে।
মোদী সরকার প্রথম দফায়, গত দু’বছর ২১ নভেম্বর থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত সংসদের শীতকালীন অধিবেশন চলেছে। এ বছর অধিবেশনের সময়সীমা নিয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে আলোচনা চলছিল। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহের সঙ্গে একদফা আলোচনাও হয় মন্ত্রিসভার সংসদ বিষয়ক কমিটির। তার পরেই সোমবার লোকসভা ও রাজ্যসভা— সংসদের দুই কক্ষের সচিবালয়কে নিজেদের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেয় কেন্দ্রীয় সরকার।
চলতি বছরের ১৭ জুন থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত সংসদের বাদল অধিবেশন হবে প্রথমে ঠিক হয়েছিল। পরে তা ৭ অগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়। তাতে বিরোধীদের আপত্তি উড়িয়ে, শুধুমাত্র সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে লোকসভায় ৩৭০ ধারা বাতিল, তিন তালাক বিল-সহ মোট ৩৬টি বিল পাশ করানো হয়। রাজ্যসভায় পাশ করানো হয় ৩২টি বিল, যা গত ১৭ বছরে এই প্রথম বলে সেইসময় জানান রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডু।
আরও পড়ুন: নজরে চিন, শব্দের পাঁচ গুণ বেশি গতির ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির পথে ভারত
আরও পড়ুন: ‘বিজেপির সবচেয়ে সৎ মানুষ’, ইভিএম নিয়ে হরিয়ানার বিধায়কের বিতর্কিত মন্তব্যে খোঁচা রাহুলের
এর মধ্যে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপের বিলটি পাশ হয় অধিবেশনের শেষ দু’দিনে। ৫ অগস্ট বিলটি রাজ্যসভায় পাশ করিয়ে নেওয়ার পরের দিন লোকসভাতেও সেটি পাশ করিয়ে নেওয়া হয়। পর দিন অর্থাৎ ৭ অগস্ট প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের মৃত্যুতে অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যায়। যে কারণে কাশ্মীর সিদ্ধান্ত নিয়ে বিরোধিতার সুযোগ পর্যন্ত পায়নি বিরোধীরা।
শীতকালীন অধিবেশনে জম্মু-কাশ্মীর এবং অর্থনৈতিক সঙ্কট নিয়ে সরকারকে কোণঠাসা করতে এক রকম মুখিয়ে রয়েছে বিরোধী সব দলই। তার মধ্যেই এ বারের অধিবেশনে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল, কর্পোরেট করে ছাড় দেওয়া এবং ই-সিগারেট নিষিদ্ধকরণ-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশ করানোয় জোর দেবে কেন্দ্র। কিন্তু এনডিএ-২ সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতার সামনে তাদের আপত্তি কতটা খাটবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy