প্রতীকী ছবি।
বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনতে বলে স্ত্রীর উপর লাগাতার শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন তো ছিলই, তাতে কাজ না হলে এ বার স্ত্রীর শরীরে এইডস্-এর ভাইরাস ঢুকিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল ডাক্তার স্বামীর বিরুদ্ধে।
স্ত্রীর অভিযোগ, তাঁর অসুস্থতার সুযোগে ডাক্তার স্বামী স্যালাইন দেওয়ার সময়ই ওই ভাইরাস তাঁর শরীরে ঢুকিয়ে দেন। অভিযোগ পেয়ে নড়ে বসেছে পুলিশ। স্ত্রীর রক্তের নমুনা পরীক্ষা করে তাতে এইচআইভি-র উপস্থিতির প্রমাণও পেয়েছে চিকিৎসকেরা। স্বামীরও রক্তের নমুনা পরীক্ষা করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ওই মহিলা পুলিশকে জানিয়েছেন, ২০১৫ সালে পুণের এক হোমিওপ্যাথ চিকিৎসকের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ২৭ বছরের ওই তরুণীর। তার পর থেকেই পণ চেয়ে তাঁর উপর চাপ দিতে শুরু করেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। উদ্দেশ্য ছিল ওই টাকা নিয়ে নিজের আলাদা একটা ব্যবসা চালু করা। প্রথম প্রথম কিছু টাকা এনেওছিলেন তিনি। কিন্তু পরে টাকা আনতে অস্বীকার করেন। মূলত এর পর থেকেই তাঁর উপর নির্যাতন বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন: স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তি করে নিজেরই শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করল ব্যক্তি!
তাঁর অভিযোগ, ২০১৭ সালে তিনি একবার অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তখন বাড়িতেই তাঁর চিকিৎসা করেন স্বামী। স্যালাইনও দেন। স্ত্রীর অভিযোগ, স্যালাইনের মাধ্যমেই তাঁর শরীরে এইচআইভি ঢুকিয়ে দেন তিনি। পরে তিনি ঘন ঘন অসুস্থ হয়ে পড়লে রক্ত পরীক্ষা করে জানতে পারেন তিনি এইচআইভি পজিটিভ।
এইভাবে কী একজনের শরীরে ভাইরাস ঢোকানো সম্ভব?
সংক্রমণজনিত রোগ বিশেষজ্ঞ ভারত পুরান্দারে জানিয়েছেন, সংক্রামিত রক্ত বা সূচ দিয়ে একজনের শরীরে এই ভাইরাস বাসা বাঁধতে পারে। ওই মহিলা যদি কারও পরিচয় দিতে পারেন যার থেকে তাঁর স্বামী এই সংক্রামিত রক্ত বা সূচ দিয়ে তাঁর চিকিৎসা করেছেন, তাহলে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তা যাচাই করাও সম্ভব।
আরও পড়ুন: মৃতের হাতে লেখা নম্বরই ধরিয়ে দিল ধর্ষক খুনীকে
অভিযোগ পেয়ে পুলিশও স্ত্রীর রক্ত পরীক্ষা করিয়েছে। তাতে এইচআইভি-র প্রমাণ মিলেছে। স্বামীকে এখনও গ্রেফতার করেনি পুলিশ। তাঁরও রক্তের নমুনা পরীক্ষা করে দেখছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy