শেল্ফ
আপনার বাড়ির আয়তন যেমনই হোক, একটি ছোট বা বড় শেল্ফ নিশ্চয়ই আছে। কিন্তু সেটির সাজ আপনার মাঝেমধ্যেই পছন্দ হয় না। আসলে শেল্ফ বলুন বা ক্যাবিনেট, সাজানোর কয়েকটি বেসিক নিয়ম আছে। সেগুলো মেনে চললে তা মাঝেমধ্যে নতুন ভাবে সেজে উঠবে।
বিভিন্ন জিনিসে শেল্ফ সাজানোর সময়ে মনে মনে একটা ত্রিভুজ কল্পনা করে নেবেন। সেই মতো রাখবেন নানা শো-পিস, ফুলদানি, মোমবাতি ইত্যাদি। এতে জিনিসগুলোর উচ্চতায় তারতম্য থাকার কারণে বৈচিত্রময় লাগবে। সবচেয়ে ছোট জিনিস থাকবে সামনে, সবশেষে থাকবে লম্বা আইটেম। সাজ সাদামাঠা লাগলে, লম্বা কোনও আইটেম বা ফুলদানি, ছবির ফ্রেম, সুন্দর আয়না, টেব্ল ল্যাম্প বা লম্বালম্বি ভাবে রাখা যায়, এমন কিছু রাখুন।
বুকশেল্ফেও শুধু বই নয়, পাশে রাখুন মিনিয়েচার ক্যাকটাস, ছোট খেলনা, ক্রিস্টাল আইটেম... যা কিছু হতে পারে। বইও থাকবে ছক ভেঙে, আড়াআড়ি এবং লম্বালম্বি ভাবে।
একই ধরনের জিনিসে শেল্ফ ভর্তি করবেন না। কাঠের জিনিসের সঙ্গে থাকুক উজ্জ্বল কিছু, তার পাশে পোড়া মাটির কোনও জিনিস বা ছোট সফ্ট টয়... এ ভাবেই নানা রঙের বিভিন্ন মেটিরিয়ালের সমাহারে শেল্ফ প্রাণবন্ত লাগবে।
শেল্ফ, বইয়ের তাক বা টেবিল, আপনি যেটিই সাজাতে চান, পিছনে যদি লম্বালম্বি স্পেস থাকে, তাকে ব্যবহার করুন। আয়না বা কোনও সুন্দর ছবি রাখুন। দেওয়ালে অ্যাটাচ করতে না পারলে কোনও কিছুতে হেলান দিয়ে রাখুন।
একই রকম জিনিস দিয়ে ঘর সাজানোর এখন খুব চল। তবে খেয়াল রাখবেন, টেক্সচার ও উচ্চতায় যেন ফারাক থাকে। একই রঙের জিনিস পাশাপাশি রাখতে পারেন, আবার অন্য রঙের সঙ্গে মিশিয়েও রাখতে পারেন।
এ বার এই বেসিক গাইডলাইন মনে রেখে আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে সাজিয়ে ফেলুন শেল্ফ বা ক্যাবিনেট। তবে নিয়মিত তা পরিষ্কার করতে ভুলবেন না। রং, প্যাটার্ন ও জিনিসের মধ্য দিয়ে যেন আপনার মনের পরিচয় ফুটে ওঠে। ব্রিদিং স্পেস অবশ্যই রাখবেন, এটা ছাড়া সাজ দমবন্ধকর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy