Advertisement
E-Paper

আমেজ এল শেষ পর্বে

‘রবি ও রজনী’ দেখে এলেন বারীন মজুমদাররবি ও রজনী’ নাম শুনে মনে হতে পারে রবীন্দ্রনাথের গানে বুঝি বা রাত্রির কথা বা রাত্রির রাগের কথা। ব্যাপারটা তা নয়- জানা গেল নৃত্যগীতি আলেখ্যটির বিষয়বস্তু রজনীকান্তের গান। ‘প্রয়াস’ ও ‘আদিকলা তীর্থম’-এর এক সাধারণ মানের অনুষ্ঠানে এই নৃত্যগীতি আলেখ্যটি নিবেদিত হল। প্রয়াসের স্রষ্টা অভিরূপ সেনগুপ্ত প্রায়শই নিজের সংগঠনের অনুষ্ঠান করে থাকেন। এ দিনও তাই হল।

শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০১৫ ০০:০৩

রবি ও রজনী’ নাম শুনে মনে হতে পারে রবীন্দ্রনাথের গানে বুঝি বা রাত্রির কথা বা রাত্রির রাগের কথা। ব্যাপারটা তা নয়- জানা গেল নৃত্যগীতি আলেখ্যটির বিষয়বস্তু রজনীকান্তের গান। ‘প্রয়াস’ ও ‘আদিকলা তীর্থম’-এর এক সাধারণ মানের অনুষ্ঠানে এই নৃত্যগীতি আলেখ্যটি নিবেদিত হল। প্রয়াসের স্রষ্টা অভিরূপ সেনগুপ্ত প্রায়শই নিজের সংগঠনের অনুষ্ঠান করে থাকেন। এ দিনও তাই হল। শিশুদের নৃত্য সমেত বড়দের নাচগানের যে দীর্ঘ অনুষ্ঠান পরিবেশিত হল তার মধ্যে পরিকল্পনার অভাব প্রকট ভাবে পরিলক্ষিত হল। প্রথম পর্বের শেষার্ধে কৃষ্ণের প্রেমলীলা নিয়ে যে নৃত্যনাট্যটি মঞ্চস্থ হল সেখানেও পরিচালক অভিরূপ নিজেকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে নৃত্যনাট্যটিকে ঠিক ভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারলেন না। সবচেয়ে বড় কথা, নৃত্যে মুদ্রার পুনরাবৃত্তির প্রতি আরও সচেতন হতে হবে অভিরূপকে। কেবলমাত্র রাধার সংক্ষিপ্ত মঞ্চাবতরণে দেবলীনা কুমার ও মা যশোদা রূপে সঙ্গীতা সরকার আলাদা করে নজর কাড়লেন।
দ্বিতীয়পর্বে ‘রবি ও রজনী’ রবীন্দ্রনাথের ও রজনীকান্তের গানের সংকলনটিকে যেন জোর করে মেলাবার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু সামগ্রিকতার নিরিখে তা তেমন ভাবে দানা বাঁধেনি। শেষটাও হয়েছে হঠাৎ করে।
তবুও গ্রন্থনায় যেহেতু রায়া ভট্টাচার্য ও রাজা ছিলেন, দুজনেই তাঁদের আত্মিক নিবেদনের মাধ্যমে মন কেড়ে নেন। বিশেষ করে কিছু জায়গায় রায়ার আবৃত্তির অংশগুলি অনুষ্ঠানের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রাপ্তি।

রাজার রোম্যাণ্টিক কণ্ঠ ও পরিষ্কার উচ্চারণ বুঝিয়ে দিয়েছে তাঁরা দুজনেই ছিলেন এই অনুষ্ঠানের প্রাণ। অপর প্রান্তে কোরক বসুর পাঠ ভীষণ উচ্চকিত রাজনৈতিক ভাষণের ন্যায়। রবীন্দ্রসঙ্গীতগুলিতে শৌনক চট্টোপাধ্যায় তাঁর সুস্থির নিবেদনের মাধ্যমে মন ভরিয়েছেন। বিশেষ করে ‘না বাঁচাবে আমায় যদি’ অত্যন্ত পরিশীলিত নিবেদন।

ঋদ্ধি বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাওয়া রজনীকান্তের গানগুলিতে আলাদা কোনও বৈশিষ্ট্য পাওয়া গেল না। সুরে গেয়েছেন এই পর্যন্ত।

বিক্ষিপ্ত ভাবে নাচ এসেছে কোনও কোনও গানের সঙ্গে যার কোনও প্রয়োজনই ছিল না। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।

নয়ন ভরা জল

সম্প্রতি রবীন্দ্রভবনে শোনা গেল মামণি চট্টোপাধ্যায়, পায়েল দাশ চৌধুরীর রবীন্দ্রসঙ্গীত। নজরুলগীতি গাইলেন জয়শ্রী সেন, অভীক দাশ চৌধুরী। এর পরে ছিল সুজন সেন রায়ের পরিচালনায় নৃত্যনাট্য ‘ঋতু রঙ্গে নব সাজে’। সুন্দর প্রযোজনা।

দ্বিতীয় পর্বে পুবালী দেবনাথ সাতটি রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশন করলেন। উল্লেখযোগ্য ‘চক্ষে আমার তৃষ্ণা’। তবে এ দিন অনুষ্ঠানে নজর কাড়লেন শ্যামল বন্দ্যোপাধ্যায়, কিছু নির্বাচিত গান শুনিয়ে। সেরা গান ‘গঙ্গা সিন্ধু নর্মদা’, ‘নয়ন ভরা জল’। তবে শ্রোতাদের চোখে জল এল ‘চিরদিন কাহোরো সমান নাহি যায়’ গানটি শোনার পর। শিল্পীর সার্থক প্রয়াস।

এসেছি আবার

সুতানুটি পরিষদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হল ‘স্মরণে, মননে ও গানে – মান্না দে’। জ্যোতিপ্রকাশ চট্টোপাধ্যায় শোনালেন ‘ও চাঁদ সামলে রাখো’, ‘কে তুমি তন্দ্রাহরনী’ প্রভৃতি গানগুলি। পরিবেশনার গুনে শ্রোতাদের মন ছুঁয়ে যায়। সৈকত মিত্র শোনালেন ‘এ তো পুতুল খেলা’, ‘হৃদয়ের গান শিখে’। জ্যোতি-সৈকতের দ্বৈত কণ্ঠে ‘অভিমানে চলে যেয়ো না’ অন্য মাত্রা এনে দেয়। সঞ্চালনায় ছিলেন সৃতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও জয়িতা বসু।

এসেছে আষাঢ়

সম্প্রতি আইসিসিআর-এ নবনীতা সেনের কণ্ঠে শোনা গেল ‘মেঘ ছায়ে সজল বায়ে’, ‘আজি গোধূলিলগনে’ প্রভৃতি গান। সুরেলা কণ্ঠ ও ভাবাবেগ এক অন্য আমেজ এনে দেয়। স্বল্পশ্রুত ‘নিবিড় মেঘের ছায়া’য় গানটি ছিল এ দিনের বিশেষ প্রাপ্তি। কীবোর্ড-এ সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও তবলায় দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়।

নাচে নাচে

নবীন কালচারাল অ্যাকাডেমির আয়োজনে কলামন্দিরে অনুষ্ঠিত হল এক অভিনব নৃত্যানুষ্ঠান। রবীন্দ্রনাথের বিভিন্ন গানের সঙ্গে ভারতনাট্যমের অপূর্ব কোলাজে অনুষ্ঠানটি হয়ে উঠেছিল অতি মনোরম। প্রতিটি উপস্থাপনাই ছিল নিখুঁত।

rajanikanta sen song dance drama robi o rajani barin majumdar drama revie abp patrika latest news adikala tirtham prayas
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy