এই মরসুমে যে দিকেই তাকানো যাক, রংবেরঙের ফুলের ঘ্রাণ আর রূপ মন মাতাবেই। গাঁদা, চন্দ্রমল্লিকা, ডালিয়া, পিটুনিয়া, গ্ল্যাডিয়োলাস, রঙিন গোলাপের পসরা সাজিয়ে বসে প্রকৃতি। আর যে সমস্ত মানুষ গাছ ভালবাসেন, সারাটা বছর জুড়ে যাঁদের অনেকটা সময় কাটে গাছের পরিচর্যায়, এখনই তাঁদের খাটনির ফল মেলে। কিন্তু বাড়িতে এই সব গাছে ফুল ফোটানো মোটেও সহজ কথা নয়। গাছ বাঁচিয়ে রাখার অন্যতম রহস্য কিন্তু লুকিয়ে আছে সারে। শীতকালে সার তৈরি কিন্তু আরও সহজ। কী ভাবে বানাবেন এই সার?
বাড়িতে নানা রকম আনাজের খোসা ফেলে দেওয়ার পরিবর্তে একটি জায়গায় জড়ো করুন। কাঁচকলা, আলু, লাউ, ফুলকপির পাতা, বাঁধাকপি, ওলকপি, কড়াইশুঁটি থেকে কমলালেবু... সমস্ত রকম খোসাই তার তালিকায় থাকতে পারে। একটি বড় ঝুড়ি বা কাঠের বাক্সে সমস্ত খোসা রেখে দিন। সেটি যেন অবশ্যই রোদে থাকে। সূর্যের আলোয় খোসা তাড়াতাড়ি শুকোবে। তবে প্রত্যেক রাতে ঝুড়ি বা বাক্সটি অবশ্যই চাপা দিয়ে দেবেন। মাঝেমাঝে সরু লাঠি দিয়ে শুকনো খোসা নেড়ে নিতে পারেন। খোসা তাড়াতাড়ি শুকোনোর জন্য সামান্য মাটিও তাতে দিয়ে দিতে পারেন। কিছু দিন পরে খোসা একেবারে শুকিয়ে যাবে। হাত দিয়ে ধরে সামান্য চাপলেই তা গুঁড়ো হয়ে যাবে। এ বার বড় পাত্রে সেই জৈব খোসার গুঁড়ো দিন। তাতে শুকনো গোবর কিংবা ঘুঁটে মিশিয়ে নিন। গাছের মাটি খুঁচিয়ে সার মিশিয়ে নিতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন, কোনও মিষ্টি ফলের খোসা না ব্যবহার করাই শ্রেয়।
আবার রোজকার চায়ের পাতাও সার হিসেবে খুব ভাল। তবে সে ক্ষেত্রে খেয়াল রাখুন, চায়ের লিকারে যেন মোটেও চিনি না থাকে। চিনি-সহ চায়ের পাতা যদি গাছের গোড়ায় দেওয়া হয়, তা হলে পিঁপড়ে গাছের ক্ষতি করতে পারে। এ ছাড়া চায়ের লিকার-সহ পাতা গাছের গোড়ায় দেবেন ঘরোয়া তাপমাত্রায় এনে।
বাড়িতে আনাজ ও ফলের খোসা দিয়ে কম্পোস্ট বানানোর আদর্শ সময় হল গরমকালের শেষ এবং শীতের সময়টাই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy