পকেটে যথেষ্ট টাকা না থাকলে সোনায় টাকা ঢালতে না পেরে হাত কামড়ান। কিন্তু তার আর দরকার নেই। কিনুন ডিজিটাল সোনা।
সোনা কিনতে চান। পরার জন্য নয়। বিনিয়োগের জন্য। অথচ তা করতে গিয়ে আপনি গয়না কেনেন। কিন্তু লাভ ক্ষতির হিসাবের মধ্যে আর যান না। আবার পকেটে যথেষ্ট টাকা না থাকলে সোনায় টাকা ঢালতে না পেরে হাত কামড়ান। কিন্তু তার আর দরকার নেই। কিনুন ডিজিটাল সোনা।
ভাবছেন এ আবার কী? এক সময় বাজারে ডিজিটাল শাড়ি বেরিয়েছিল। না। তা মোবাইলে ধরে রাখার জন্য। সেটা ছিল শাড়ির ডিজাইন। আর বাজারে চলছিল ডিজিটাল নামে। এটাও কিন্তু আসল সোনা। কিন্তু তা আপনি কিনতে পারবেন পেটিএমের মতো ওয়ালেট বা আপনার ব্যাঙ্কের মোবাইল অ্যাপ থেকে। বিনিয়োগ করতে পারবেন এক টাকাও!
অবাক হচ্ছেন? না। হবেন না। চাইলে আপনার কেনা সোনা আপনি বাড়িতেও আনিয়ে নিতে পারবেন। আর না চাইলে আপনার নামেই সংশ্লিষ্ট সংস্থা তা ভল্টে রাখার ব্যবস্থা করবে।
ভাবুন তো! এতদিন গয়না কিনে যে টাকা খরচ করতেন তার একটা বড় অংশ যেত বানানোর খরচে। তার উপর চোর ডাকাতের চোখ এড়াতে তা রাখতে হত আপনার নিজের টাকা গচ্চা দিয়ে ব্যাঙ্কের ভল্টে। আর নতুন এই ব্যবস্থায় কোনও ঝামেলা নেই। সত্যিকারের সোনা কিনছেন শুধু মোবাইলের বোতাম টিপেই।
এই ২৪ কারাটের সোনা ৯৯.৫ শতাংশ খাঁটি। প্রয়োজনে বোতাম টিপেই বিক্রি করতে পারবেন বা চাইলে গয়নার জন্য ব্যবহার করতে পারবেন। সোনার গয়না কিনে রেখে দিয়ে প্রয়োজনে তা বিক্রি করার ঝামেলা আর আপনার থাকবে না। প্রয়োজনে সহজেই এই সোনা বন্ধক রেখে ঋণ করতেও অসুবিধা নেই। বাড়ির সোনা বন্ধক রাখার সেই ঝঞ্ঝাটও আপনার থাকছে না।
এই সোনা যে কতটা খাঁটি তা আপনাকে পরীক্ষা করাতে হবে না। এটাও একটা বড় সুবিধা। তার উপর বাড়িতে সোনা রাখলে তা বিমা না করিয়ে রাখলে সমস্যা। কিন্তু সেই সোনা বিমা করিয়ে রাখার ঝক্কিও কম নয়। ডিজিটাল সোনার ক্ষেত্রে সেই চাপ নেই। সংশ্লিষ্ট সংস্থাই আপনার সোনা বিমা করিয়ে নিজেদের ভল্টে রাখবে।
তবে একেবারেই যে ঝামেলা নেই তাও নয়। অনেকেই ডিজিটাল সোনায় বিনিয়োগের ঊর্ধসীমা ২ লক্ষ টাকায় বেঁধে রেখেছে।
ভারতে এই সোনা বিক্রি করার জন্য তিনটি সংস্থা রয়েছে। ব্যাঙ্ক বা ডিজিটাল ওয়ালেটগুলো এই তিনটি সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে সোনা বিক্রি করছে। এই তিনটি সংস্থা হল এমএমটিসি-পাম্প ইন্ডিয়া, অগমন্ট গোল্ড আর ডিজিটাল গোল্ড ইন্ডিয়া।
সমস্যা হল, এই সোনা কেনা বেচা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সেই ভাবে সেবি অথবা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মতো কোনও সংস্থার এখনও কোনও হস্তক্ষেপ নেই। উল্টে গত অগস্ট মাসে সেবি স্টক মার্কেটে এই সোনার কেনাবেচা বন্ধ করতে নির্দেশ দেয়। তার পরই শেয়ার বাজারগুলো ব্রোকারদের বলে এই সোনা কেনাবেচা বন্ধ করতে। তবে অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের মতো ব্যাঙ্ক এবং কতগুলি ওয়ালেট এই সোনায় কেনাবেচা করছে এবং এমএমটিসি-র মতো সংস্থা ডিজিটাল সোনা বিক্রির দায় নিয়েছে।
তাই এর ঝুঁকিটাও কিন্তু মাথায় রাখতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy