তরুণীকে গ্রেফতারের সময়ে মারধর এবং তাঁর উপর যৌন হেনস্থার কিছু অভিযোগও উঠে এসেছে। সেই অভিযোগগুলিরও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি উঠেছে। ইরানে আন্তর্জাতিক অসরকারি সংস্থা অ্যামনেস্টি ইতিমধ্যে বিবৃতি দিয়ে তরুণীর মুক্তির দাবি জানিয়েছে। সেই সঙ্গে পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন তরুণীর উপর যাতে কোনও রকম অত্যাচার না হয়, তা-ও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ অনুযায়ী, এর পরই রেগে আগুন হয় পুলিশের দল। হিজাব না পরার ‘শাস্তি’ হিসাবে গাড়ি থেকে হিড়হিড় করে টেনে নামানো হয় মাহশাকে। মাটিতে লুটিয়ে পড়লেও তাঁকে টেনেহিঁচড়ে নিজেদের গাড়িতে তোলে পুলিশ। ভাই কিয়ারেশকে পুলিশ জানায়, মাহশাকে ‘সহবত’ শেখাতে কিছু সময়ের জন্য আটকে রাখা হবে। কিছু ক্ষণ পরেই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে।
মাহশার মৃত্যুর পরেই সরকার-বিরোধী বিক্ষোভের আগুনে পুড়তে শুরু করেছিল ইরানের রাজধানী তেহরান-সহ কমপক্ষে ৮০টি শহর। মানবাধিকার এবং মৌলিক অধিকার ফিরে পাওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন সে দেশের বহু মানুষ। শুরু হয় হিজাব-বিরোধী আন্দোলন। প্রকাশ্যে হিজাব পুড়িয়ে, মাথার চুল কেটে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন ইরানের মেয়েরা। সেই আন্দোলন ইরানের নানা শহর ছাড়িয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছিল।
এর পর আবার ২০২৪। শনিবার ইরানের একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল। তাতে দেখা গিয়েছিল, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের মধ্যে শুধু অন্তর্বাস পরে হাঁটছেন এক তরুণী। হিজাব তো বটেই, পরনের পোশাকের অধিকাংশই তিনি খুলে ফেলেছেন। ওই ভিডিয়োটিতে অন্য যে মহিলাদের দেখা গিয়েছিল, তাঁরা সকলেই আপাদমস্তক হিজাব পরে ছিলেন।
যদিও প্রাথমিক ভাবে পুলিশ এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দাবি করেছিলেন, ওই তরুণী মানসিক ভারসাম্যহীন। তাঁকে নিরাপত্তারক্ষীরা আটক করে নিয়ে গিয়েছিল। বলা হয়েছিল, তরুণীকে মানসিক হাসপাতালে পাঠানো হতে পারে। কিন্তু পরে জানা যায় তাঁকে গ্রেফতার করেছেন ইরান কর্তৃপক্ষ। তরুণীর হদিস মিলছে না বলেও খবর। যার জেরে ইরান এমনকি সারা বিশ্বে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। পাশাপাশি, তরুণীর ঘটনাতে ইরানে নতুন করে হিজাব বিরোধী আন্দোলন ছড়িয়ে পড়তে পারে বলেও মনে করছেন অনেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy