এক বার কলকাতার ডোভার লেন মিউজিক কনফারেন্সে ভীমসেন জোশীর গান ছিল। রাশিদ ভেবেছিলেন, খুব কাছ থেকে ভীমসেনের গান শুনবেন। মঞ্চের পাশে এক জায়গায় বসেছিলেন। সে সময় এক উদ্যোক্তা তাঁকে সেখান থেকে উঠে যেতে বলেন। সেই ঘটনা রাশিদের মনে গভীর রেখাপাত করেছিল। ভেবেছিলেন, ‘‘ঠিক আছে, আমি এক দিন এমন জায়গায় পৌঁছব যে, তোমাদের দৌড়তে হবে আমার পিছনে!’’
রাশিদের লক্ষ্যপূরণ হয়েছিল খুব শীঘ্রই। পরে সেই ডোভার লেড মিউজিক কনফারেন্সেই গান গেয়েছিলেন তিনি। ডোভার লেন থেকে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য গিয়েছিলেন উদ্যোক্তারা। যে দিন ডোভার লেনে অনুষ্ঠান, তার আগেই প্যারিসে রাশিদের অনুষ্ঠান। রাশিদ সেই অনুষ্ঠানের কথা উল্লেখ করে উদ্যোক্তাদের বলেছিলেন, ‘‘আপনারা যদি প্যারিস থেকে আমাকে উড়িয়ে আনতে পারেন, তা হলে আমি আপনাদের অনুষ্ঠানে গাইব।’’
অনুশীলন বা ‘রিয়াজ’ তো তাঁর ছিলই। পাশাপাশি, আবেগকেও নিজের গানে তুলে ধরার চেষ্টা করতেন রাশিদ। অতীতে একটি সাক্ষাৎকারে রাশিদ এই প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘‘জীবনের যে ছোট ছোট দুঃখ, অপ্রাপ্তি— সেই সব রং আমি গানের মধ্যে আনার চেষ্টা করি।’’ আজ সেই রং মলিন। স্তব্ধ হয়েছে কণ্ঠ। অনন্ত সুরলোকের পথে পাড়ি দিয়েছেন শিল্পী। রেখে গিয়েছে সুর-শিল্প।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy