Advertisement
E-Paper

স্বাধীনতা তুমি...

সুকুমারের কথাটা পছন্দ হয় দীপায়ন সেনগুপ্তের। উনিও খুব নামকরা ডাক্তার, খুব সৎ মানুষ। আর ডাক্তার বলেই গুলিগোলা-বন্দুক সম্বন্ধে খুব একটা ধারণা তাঁর থাকার কথা না!

সঞ্জয় দাশগুপ্ত

শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০১৭ ০০:০০
ছবি: ওঙ্কারনাথ ভট্টাচার্য

ছবি: ওঙ্কারনাথ ভট্টাচার্য

বন্দুকটা তুলসীর ঘর থেকে সরিয়ে আর সেই চৌহদ্দির মধ্যেই রাখেনি আসলামভাই। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার কোন এক পাগলা গারদে নাকি তার ছোটবেলার এক বন্ধু কম্পাউন্ডারের কাজ করে। সেখানে অনেকটা জমি ফাঁকা জঙ্গল হয়ে পড়ে আছে। সেই ক্যাম্পাসে কোনও একটা গাছের তলায় জিনিসটা পুঁতে রেখে এসেছিল আসলামভাই আর ইয়াসিন মিলে। তারা গিয়েছিল রাতের অন্ধকারে, কিন্তু কী ভাবে যেন সেখানকার এক আধপাগল রুগি তাদের দেখে ফেলে। পর দিন সেই পাগলটা নাকি কোথা থেকে একটা শাবল নিয়ে মাটি খুঁড়ে বন্দুকটা বার করে নিয়েছিল!

এই অবধি শুনে মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়েছিল গৌরাঙ্গ।

কিন্তু আসলামভাইয়ের বন্ধু সুকুমারের উপস্থিত বুদ্ধির প্রশংসা করতে হয়। সে-ই যেহেতু আসলামভাই আর ইয়াসিনকে সে রাতে ঢুকিয়েছিল, ধরা পড়লে তার ভয়টাই সবচেয়ে বেশি। সে সকলকে বুঝিয়েছিল, বন্দুকটা তখনই পুলিশের হাতে তুলে দিতে গেলে নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে। আর সে সব প্রশ্নের সদুত্তর তাদের হাতে নেই, কারণ বন্দুকটা কী ভাবে ওখানে এল তা কেউই জানে না। পাগল লোকটি নানা অসংলগ্ন কথা বলছে বটে, তবে সে সব ধর্তব্যের মধ্যে নয়। তা ছাড়া, সামনেই স্বাধীনতা দিবস। এই সময় একটা বেওয়ারিশ বন্দুক নিয়ে পুলিশের কাছে গেলে তারা তিলকে তাল করতে পারে। তাই সুকুমারের মতে, বন্দুকটা এখন একটা নিরাপদ জায়গায় তালা বন্ধ করে রাখা হোক। বড়সাহেব, অর্থাৎ ডক্টর রাও, জার্মানি থেকে ফিরবেন আর এক সপ্তাহ পরেই। তখন তাঁর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ করাটাই সমীচীন হবে। এর মধ্যে ক’দিন সময়ও পাওয়া যাবে ঠান্ডা মাথায় বিষয়টা ভেবে দেখার জন্য।

ওই মানসিক হাসপাতালটির সর্বময় কর্তা স্বামীনাথন রাও নাকি বেশির ভাগ সময় দেশের বাইরেই কাটান।

সুকুমারের কথাটা পছন্দ হয় দীপায়ন সেনগুপ্তের। উনিও খুব নামকরা ডাক্তার, খুব সৎ মানুষ। আর ডাক্তার বলেই গুলিগোলা-বন্দুক সম্বন্ধে খুব একটা ধারণা তাঁর থাকার কথা না!

আসলামভাইয়ের কথা মতো মোটামুটি একই মাপের একটা সাধারণ বন্দুক জোগাড় করেছিল গৌরাঙ্গ। তার পরের কাজটা যতটা ঝুঁকি নিয়ে করতে হবে বলে সে ভেবেছিল, তার চেয়ে সহজেই করা গিয়েছিল। ওই রকম একটা ঘটনার পরেও মনের জগৎ মনস্তাত্ত্বিক কেন্দ্রে নিরাপত্তার সাংঘাতিক কড়াকড়ি ছিল না। তা ছাড়া সুকুমার ওখানকার অনেক দিনের কর্মী। পুব দিকের যে ছোট গেটটায় সে তাদের দাঁড়াতে বলেছিল, সেখানে খুব একটা কেউ যায় না। রাতে তো নয়ই। সুকুমার নিজেই দরজা খুলে যখন তাদের ঢোকায়, তখন রাত এগারোটা।

এ বার আর কোনও ঝুঁকি নেয়নি সুকুমার। রাত দশটায় এখানে সবাই ঘুমিয়ে পড়ে। ওয়ার্ডে রুগিদের জেগে থাকার নিয়ম নেই। মিনতি ধরের আত্মহত্যার চেষ্টার পর দীপায়ন সেনগুপ্তের কড়া হুকুমে নার্সরাও কেউ ওয়ার্ডের বাইরে নেই। দীপায়নবাবু বড় ডাক্তার, সৎ প্রশাসক, বুদ্ধিমান মানুষ। মনে খুব একটা মারপ্যাঁচ নেই। অফিসঘরের সব চাবিই একটা দেওয়াল আলমারিতে থাকে। তার মধ্যে থেকে বিশেষ কোনও চাবি নিজের কাছে রেখে দেওয়ার কথা ভাবেননি দীপায়নবাবু। ভেতরের কেউ বন্দুকটায় হাত দিতে পারে, এমন কথাও মনে হয়নি তাঁর। তাই ওটা যে লকারের মধ্যে রাখা হয়েছিল, তার চাবিটাও অন্য সব চাবির গোছার সঙ্গে দেওয়াল-আলমারিতেই ঝুলছিল।

রাতে তিন জন দারোয়ান বাইরের দেওয়াল আর সদর ফটকের কাছে থাকে। ক্যাম্পাস ঘুরে টহল দেওয়ার মতো লোক নেই। সবার অলক্ষে প্রশাসনিক ভবনে ঢুকে, সুকুমার দোতলার একটি ঘরে তাদের নিয়ে গেল। সেই ঘরে লকারের চাবি খুলে একটা বন্দুক বার করে নিয়ে তার জায়গায় আর একটা বন্দুক ঢুকিয়ে দিতে কোনও বেগ পেতে হয়নি তাদের। তার পর চাবি ফিরে যায় যথাস্থানে। গৌরাঙ্গ আর আসলামও আবার যে পথে এসেছিল সেই পথ দিয়ে বেরিয়ে, স্টেশনে পৌঁছে লাস্ট ট্রেন ধরে শিয়ালদা চলে আসে।

রুগিটি যখন মাটি খুঁড়ে বন্দুকটা বার করে, তখন ডক্টর রাও ছিলেন না। তিনি আসল বন্দুকটা দেখেননি। দীপায়নবাবু এবং অন্যান্য যাঁরা ছিলেন, তাঁদের পক্ষে একটি বন্দুকের থেকে মোটামুটি একই আকারের আর একটি বন্দুক আলাদা করে বোঝা সম্ভব নয়। আর বুঝলেই বা কী! আসল স্মিথ অ্যান্ড ওয়েসন এআর-১৫’টি তো তখন অপরাধ-জগতের গহন অন্ধকারে তলিয়ে গিয়েছে!

পর দিনই খিদিরপুরের সেই ছেলেটির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পেরেছিল গৌরাঙ্গ। ক্রেতাটিও শহরেই ছিলেন। বন্দুকটি দেখামাত্র কিনে নিতে তাঁর দ্বিধা হয়নি। বহু দিন ধরে তিনি ঠিক এই রকম একটা জিনিসই খুঁজছিলেন! দরদামও বেশি করলেন না। তাড়াহুড়ো দেখে গৌরাঙ্গর মনে হল, তা হলে অলকেশ লাহিড়ীর খবরই কি ঠিক? স্বাধীনতা দিবসে কোথাও কি ব্যবহৃত হবে ওই বন্দুক? যার দিকে তাক করা হবে, সে তো এখনও জানে না, তার মৃত্যু-পরোয়ানায় স্বাক্ষর করল গৌরাঙ্গ!

আরে! কালই তো স্বাধীনতা দিবস! ষাট বছর পূর্ণ হবে স্বাধীনতার। খুব নিশ্চিন্ত লাগছে গৌরাঙ্গর। টাকা তো আমদানি হলই, কিন্তু তার চেয়েও বড় কথা, বন্দুকটা সরিয়ে ফেলা গেল। না হলে যে কী হত! স্বাধীনতা দিবসের আগে তার নিশ্বাসে মুক্তির স্বাদ। ওই দিন কে মরবে, কে বাঁচবে, তা নিয়ে তার কোনও মাথাব্যথা নেই। গৌরাঙ্গর মতো নাগরিকদের কী দিয়েছে ষাট বছরের স্বাধীনতা?

দিনটা কিন্তু কাটল মোটামুটি নির্বিঘ্নেই। ছয় দশকের স্বাধীনতা। গর্বিত আত্মবিশ্বাসে উৎসবমুখর সারা দেশ। দিল্লিতে লালকেল্লা থেকে ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী। দেশ জুড়ে ইস্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীনতার ষাট বছর উদ্‌যাপিত হল মহা সমারোহে। ছোটখাটো দু’একটা অঘটন কোথাও কোথাও যে ঘটল না তা নয়, তবে এত বড় কর্মকাণ্ডের তুলনায় তা নিতান্তই মামুলি। প্রতিটি রাজ্যের রাজধানীতে, আঞ্চলিক কেন্দ্রে, জেলা সদরে স্বাধীনতা দিবসের সরকারি অনুষ্ঠান প্রায় নির্বিঘ্নেই সমাধা হল বলা চলে। চিত্তরঞ্জনেও তার কোনও ব্যতিক্রম হল না। প্রস্তুতি পর্বে অনেক রকম সমস্যা সত্ত্বেও, অলকেশ লাহিড়ী স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে দেখলেন, স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজে কোনও ছন্দপতন হল না। জিআরপি, আরপিএফ এবং চিত্তরঞ্জন স্টেশনের অন্য সব বিভাগের কর্মচারীরা, ট্রেন চলাচলে কোনও রকম বিঘ্ন না ঘটিয়ে, নিখুঁত ভাবে সম্পন্ন করলেন স্বাধীনতার দিবসের অনুষ্ঠান। কোনও রকম নাশকতা বা সন্ত্রাসের দুশ্চিন্তা অমূলক প্রমাণিত হল। চিত্তরঞ্জনের স্বাধীনতা দিবস কাটল শান্তিতেই।

শুধু শিউলিবাড়ির দেশবন্ধু হাইস্কুলে ওই দিন এক জন পড়ুয়া অনুপস্থিত ছিল। তবে ক্লাস সিক্সের ছাত্ররা ছাড়া আর খুব একটা কেউ লক্ষও করল না যে ইস্কুলের কুচকাওয়াজে বুধুয়া নেই।

১৭

“স্বাধীনতা তুমি”

পাতাটা উল্টে দেওয়া মাত্রই নৈঃশব্দ্যের টানটান শীতলতা থিরথির করে কেঁপে উঠেছে। স্তব্ধতার যে স্পন্দন আছে, সেটা অনেকেই ভুলে যায়। অর্ণব কিন্তু টের পাচ্ছে। প্রবল অথচ চাপা একটা উত্তেজনার শিরশিরানি নিয়ে মুখ তুলে তাকাল সে।

বিশাল গ্রন্থাগারটির অন্য সব ক’টি পাঠকক্ষের মতো এই বিশেষ কক্ষটিও শীতাতপনিয়ন্ত্রিত। হালকা কাঠের রঙের লম্বা টানা টেবিল। সবুজ রেক্সিনে মোড়া আরামদায়ক চেয়ার। প্রতিটি ডেস্কে সুদৃশ্য রিডিং ল্যাম্প। কয়েকটি টেবিলে সেই আলোগুলি জ্বলছে, অর্ধচন্দ্রাকৃতি আলোর বলয় ছড়িয়ে পড়েছে টেবিলের একাংশে, খোলা বইয়ের পাতার উপর। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে বসে আছেন যে ক’জন পাঠক, তাঁদের মুখগুলি ছায়াবৃত। আলো-আঁধারি মাখা গভীর মনঃসংযোগের মায়াময় নিস্তব্ধতা।

ব্রিটিশ লাইব্রেরির পুরনো বাড়ি ভেঙে এই নতুন বাড়িটি তৈরি হয়েছে বেশ অনেক দিন হল। কিন্তু কিংস ক্রস এলাকা দিয়ে বহু বার আসা-যাওয়া করলেও এই লাইব্রেরিতে ঢোকা হয়ে ওঠেনি অর্ণবের। গত কয়েক মাস যাবৎ ব্যবসার নানা ব্যস্ততার মধ্যে সময় করে নিয়ে এই গ্রন্থাগারটির অলিন্দে তার বিক্ষিপ্ত পদচারণা শুরু হয়েছে, মেদিনীপুরের এক বিস্মৃত জেলাশাসকের খোঁজে।

বিদেশে এত দিন কেটে যাওয়ার পরেও এই গ্রন্থাগারটির বৈভবে অবাক হয়েছিল অর্ণব। বিশাল বললে একে প্রায় কিছুই বলা হয় না। বইয়ের পাতায় ডুবে যাওয়ার কী মনোরম, আরামদায়ক পরিবেশ! এই কক্ষটির নাম ‘ইন্ডিয়া অফিস কালেকশন’। বাবার অনুরোধেই উনিশশো একত্রিশ সালে নিহত মেদিনীপুরের ব্রিটিশ জেলাশাসক জেমস পেডি সম্বন্ধে তথ্য খোঁজা শুরু করে অর্ণব।

প্রথমে কিছু দিন এলোমেলো ভাবে ঘুরেছিল লন্ডনের আশপাশের কাউন্টিগুলিতে, সেখানকার পাবলিক রেকর্ডস অফিসে পুরোনো ফাইল ঘেঁটে কোনও তথ্য পাওয়া যায় কি না, দেখতে। লন্ডনের চান্সেরি লেন এলাকায় পাবলিক রেকর্ডস অফিসেও হানা দিয়েছিল কিছু দিন। তার পর কেমব্রিজের এক অধ্যাপক বন্ধুর পরামর্শে সে ব্রিটিশ লাইব্রেরিতে নিয়মিত আসা শুরু করে। তবে নিয়মিত মানে, যে দিন কয়েক ঘণ্টা সময় সে বার করতে পারে,
সে দিন।

সময়টা সে কাটায় এই ঘরেই। ইন্ডিয়া অফিস কালেকশনের ক্যাটালগ দেখে দেখে কিছু নথিপত্র আর ফাইল ঘেঁটে। এত দিন যে সব নথিপত্র সে ঘেঁটেছে, সেগুলির বন্ধ্যাত্ব তাকে হয়তো হতাশ করেছে, কিন্তু উৎসাহে ভাঁটা ফেলতে পারেনি।

আজ যে তিনটে ফাইল আনিয়েছিল, তাদের মধ্যে এটা তৃতীয়। অনেক ক্ষণ ধরে এক-একটা পাতা দেখে চলেছে সে। এই পাতাটা ওল্টানো মাত্রই বাঁ দিকের পাতার উপরের দিকে একটা পঙ্‌ক্তিতে চোখ আটকে গেছে অর্ণবের। আর তখনই অনুভব করেছে স্তব্ধতার অধৈর্য স্পন্দন। ছোট, কালো স্পষ্ট ইংরেজি হরফে লেখা— জেমস পেডি, ডিস্ট্রিক্ট কমিশনার অ্যান্ড ম্যাজিস্ট্রেট, মিদনাপুর, বেঙ্গল, ইন্ডিয়া, অ্যাসাসিনেটেড এপ্রিল সেভেন্থ, নাইনটিন থার্টি ওয়ান। পাশে একটি ফাইলের
রেফারেন্স নম্বর।

খবরটা অমিয়ভূষণকে এখনই জানানো যায় কি? অমিয়ভূষণের মুখটা ভেসে উঠতেই মনে পড়ল তার, আরে! গত কাল তো ভারতের স্বাধীনতার ষাট বছর পূর্ণ হয়েছে! বাবা শেষ পর্যন্ত স্বাধীনতা দিবসের সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যানের সিদ্ধান্তেই কি স্থির থাকলেন? কবজি উল্টিয়ে হাতঘড়ি দেখল অর্ণব। দুপুর একটা পনেরো।

ভারতে ঘড়ির কাঁটা সাড়ে চার ঘণ্টা এগিয়ে। দিল্লিতে তখন সন্ধে পৌনে ছ’টা। বিকেল গলে যাচ্ছে ম্লান সন্ধ্যায়। সোনালী রোদের পড়ন্ত আভা একটু একটু করে রাঙিয়ে দিচ্ছে একটি বহু প্রাচীন কেল্লার বুরুজ, গম্বুজ, প্রাচীর। ঝকঝকে একটা সাদা ওপেল গাড়ির জানলার কাচ নামিয়ে সে দিকে নির্নিমেষ চোখে তাকিয়ে আছেন এক বৃদ্ধ। পরনে বাঙালি কায়দায় কোঁচা দেওয়া ধুতি, ধবধবে সাদা পাঞ্জাবি, কাঁধে পাটভাঙা চাদর।

গাড়িটি দিল্লির নামকরা হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অনীতেশ ভট্টাচার্য এবং তাঁর স্ত্রী ইন্দ্রাণীর। এত বিলাসবহুল গাড়ি চড়া অভ্যেস নেই অমিয়ভূষণের, কিন্তু এই জায়গাটিতে আসতে হলে গাড়ি ছাড়া উপায় নেই। পিউ আর অনীতেশ অবশ্য সব সময়েই তাঁকে গাড়ি চালিয়ে যে কোনও জায়গায় নিয়ে যেতে প্রস্তুত। কিন্তু ব্যস্ত দম্পতিকে এ ধরনের অনুরোধ করা তাঁর রীতিবিরুদ্ধ।

অমিয়ভূষণকে আজ এখানে নিয়ে এসেছে ওদের ড্রাইভার সুখিন্দর। পিউয়ের এক বান্ধবীর বিবাহবার্ষিকী আজ। পিউ আর অনীতেশ আজ সাত-তারা হোটেলের সেই পার্টিতে গিয়েছে তাদের অন্য গাড়িটা নিয়ে। সেটা আরও বড়, আরও বিলাসবহুল। সেই সুযোগে সুখিন্দরকে নিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন অমিয়ভূষণ।

ক্রমশ

Mystery Novel Freedom Novel রহস্য উপন্যাস
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy