পূর্বানুবৃত্তি: জনমেজয়, ফটিক চৌধুরীরা আলোচনা করছিলেন ভৈরব গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘অচল পয়সার পালা’ নিয়ে। জনমেজয়ের ছেলে ইসরো থেকে ফিরেছে, সেও যোগ দিয়েছে আলোচনায়। তাকে ঝিনুক চরিত্রের অভিনয়ের কথা বলা হলে সে রাজি হয় না। পানস চৌধুরীকে দেওয়া হয় চাঁদু মাস্টারের রোল। তিনি খুশি হয়ে সবার জন্য ডবল ডিমের অমলেট, দুপুরে মুরগির মাংস দিয়ে খিচুড়ির আয়োজন করান। হৈমন্তী চরিত্রের জন্য জনমেজয়ের মাথায় ঘোরে একজন পুরুষ অভিনেতার কথা, যিনি নারী সেজে ওই চরিত্রে অভিনয় করবেন। অন্য দিকে দীপঙ্কর চলেছেন বিষ্ণুপুর। সেখানকার অফিসে কাউকে না পেয়ে তিনি চলে গেলেন পোড়ামাটির হাটে। সেখানে চারদিকে সবুজ গাছগাছালি, মাদলের শব্দ আর হরেক পসরার দোকান দেখে বেশ ভাল লাগল তাঁর। মনে পড়ে যেতে লাগল নানা পুরনো কথা।
কথা শেষ করে স্টেশনের দিকে যাওয়ার জন্য অটো খুঁজতে বড় রাস্তার দিকে এলেন দীপঙ্কর।
এক জন ডাকলেন, “এই যে শুনছেন, আপনাকে বলছি।”
দীপঙ্কর ফিরে তাকিয়ে বললেন, “হ্যাঁ বলুন।”
“আমি ছেলে না মেয়ে, আপনার কী মনে হয়?”
দীপঙ্কর বললেন, “কেন, মেয়ে!”
“আমি মেয়ে কি না পরখ করার জন্য আমাকে সারা রাস্তা নগ্ন করে ঘোরানো হয়েছিল।”
দীপঙ্কর বললেন, “এখানে!”
“না, এখানে নয়। এখানে তো আমি পালিয়ে এসে বেঁচেছি। আমার মন অনেক আগেই জেগেছিল, কিন্তু শরীর জাগছিল না। মনের খোঁজ কেউ রাখে না। শরীরই তো আসল।”
দীপঙ্কর বললেন, “এখন কেমন আছেন?”
“বেশ আছি। স্বাধীন সত্তা নিয়ে বাস করছি। আমাদের একটা কাগজ আছে, কিনবেন?”
দীপঙ্কর হাত বাড়িয়ে নিলেন। ক্রাউন সাইজ়ের পত্রিকা। নাম, ‘আমাদের স্বপ্ন’।
দীপঙ্কর বললেন, “কত টাকা?”
“মাত্র দশ টাকা।”
দীপঙ্কর দিলেন টাকাটা।
মানুষের জীবনে কত অদ্ভুত কিছু ঘটে। কেউ বা পুরুষ, কিংবা মেয়ে, এটা তার নিজের বিষয়। কিন্তু তাও খবরদারি করবে সমাজ।
রবীন্দ্র স্ট্যাচু মোড়ে আর একটি মূর্তি রয়েছে চারণকবি বৈদ্যনাথের। বিচিত্র, বাউন্ডুলে মানুষ ছিলেন। কেউ কেউ বলেন, তিনি কবিতার জন্য রক্তও দিয়েছেন। আসলে তিনি রক্তদান উৎসবের আয়োজন করেছিলেন, যার সঙ্গে কবিতার কোনও যোগ রয়েছে। ওঁর ছেলের সঙ্গে মাঝে মাঝে দেখা হয়। এক দিন স্বপনবাবু বলেছিলেন, চারণকবিও যাত্রা করেছেন। তিনি শাক্ত মতে বিশ্বাসী ছিলেন। নিয়মিত কালীপুজো করতেন। কারণসেবাও করতেন। তাঁর কবিতা লোকমুখে শুনেছেন দীপঙ্কর। বেশ উজ্জীবন হয়।
স্বপনবাবুর সঙ্গে দেখাও হয়ে গেল। বললেন, “আরে, কেমন আছেন?”
দীপঙ্কর হেসে বললেন, “ভাল।”
“চারণকবিকে নিয়ে মেলা শুরু হল। আপনি ছিলেন মেলায়?”
“না। আসলে আমার পোস্টিং তো বাঁকুড়া। বিষ্ণুপুর কম আসা হয়।”
“চারণকবির জীবন বেশ রোমাঞ্চকর। ওঁকে নিয়ে যাত্রা হলে বেশ চলবে।”
দীপঙ্কর হাসলেন, “আমি তো লেখক নই।”
স্বপনবাবু বললেন, “কোনও লেখকের দেখা পেলে বেশ হয়।”
এই সময় দীপঙ্কর দেখলেন, কোথা থেকে জনমেজয়বাবুও চলে এসেছেন।
জনমেজয় বললেন, “স্যর, আপনাকে দেখেই আমি এলাম, আজ যেতে পারবেন না। কখন ট্রেন আসবে ঠিক নেই।”
দীপঙ্কর হালে পানি পেলেন, বললেন, “আপনি কেন এলেন ছুটির দিনে? আমাকে নাইট-গার্ড বলেছিল, পাট্টাবাবু আসেননি।”
হাসলেন জনমেজয়, তার পর বললেন, “মহকুমা-শাসক আমাকে কিছু কাজ দিয়েছিলেন, গতকাল থেকেই আছি।”
দীপঙ্কর এ বার বললেন, “স্বপনবাবু চারণকবি বৈদ্যনাথকে নিয়ে যাত্রার কথা বলছেন।”
জনমেজয় বললেন, “হতেই পারে। বেদুইন মানুষ ছিলেন। মুখে মুখে কবিতা লিখতেন। যাত্রায় নিজের লেখা বিবেকের গানও করেছেন। ছোটদের জন্য একটা চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন। আমরা ভাবব। তবে এখন আপনি আমাদের মেসে চলুন।”
“মা ঠাকরুন মেস?”
“হ্যাঁ, মা ঠাকরুন মেস। আজ আপনার জন্য আমি রান্না করব। ডিম, আলু, পেঁয়াজ, লঙ্কা দিয়ে ভর্তা। আর সাদা ভাত।”
দীপঙ্কর এ বার টের পেলেন, সাদা ভাতের কথায় তাঁর খিদে চাগাড় দিয়ে উঠল। স্বপনবাবুকে বিদায় জানিয়ে ওঁরা মা ঠাকরুন মেসে এলেন।
দীপঙ্কর বললেন, “কে এই মা ঠাকরুন? আপনি কিছু জানেন?”
জনমেজয় বললেন, “তেমন কিছু জানি না।”
দীপঙ্কর বললেন, “জলধর সেনের ‘সেকালের কথা’য় এক জন মা ঠাকরুনের কথা আছে। কোনও এক বিধবা, স্নেহশীলা দিদিকে পালকির বেহারার দল মা ঠাকরুন বলে ডাকত। তিনি কাউকে শুধুমুখে আসতে দিতেন না। এমনকি শুধু ফলার করেও আাসা যাবে না। বাজার বা হাট থেকে আনাজ নিয়ে এসে মা ঠাকরুন পেট পুরে ভাত খাওয়াতেন। কালবৈশাখীর সময় নদী উত্তাল হলে তিনি যেতে দিতেন না। থাকতে হত ওঁর সরাইখানায়।”
জনমেজয় বললেন, “আমাদের এই মা ঠাকরুনও হয়তো তেমন কেউ ছিলেন।”
মেসে এলেন ওঁরা। আজ আর কেউ তেমন ছিলেন না। একটা গ্যাস ওভেন রয়েছে। ডিম-আলু-পেঁয়াজের ভর্তা, গরম ভাত দিয়ে বেশ লাগল খেতে।
খেয়েদেয়ে ওঁরা মা ঠাকরুন মেসের ছাদে এলেন। বৃষ্টি নেই। আকাশ বেশ ঝকঝকে তকতকে। নীচের উঠোনে বোধহয় কাঁঠালিচাঁপার গাছ আছে। বুক ভরে গন্ধ নিলেন দীপঙ্কর।
দীপঙ্কর বললেন, “জনমেজয়বাবু, কী ফুলের গন্ধ বলুন তো?”
“কাঁঠালিচাঁপা। এই মেসে নীচের উঠোনে সাপ আছে। তবে কোনও দিন ক্ষতি করেনি।”
দীপঙ্কর বললেন, “করবেও না।”
জনমেজয় বললেন, “ওদের সঙ্গে বুঝি আপনার ভারী ভাব?”
“এমনি এমনি হয়ে গেছে, ওরা আমায় নিজে থেকে গ্রহণ করেছে।”
অবাক হয়ে গেলেন জনমেজয়।
দীপঙ্কর বললেন, “বাবার খেরোর খাতায় এই গানের সংক্ষিপ্ত অংশ পেয়েছি। বলব আপনাকে!”
তখন আকাশে মেঘগুলো সাদা নীল হয়ে ভাসতে শুরু করেছে। ছাদ থেকে দেখে ভারী ভাল লাগল। দীপঙ্কর বললেন, “দেখিতে দেখিতে কোথায় লুকাল।/ বিনোদ বিদায়, দিয়ে নিবিল নয়ন আলো॥/ আাসে বা না আসে ফিরে, আশে ভাসে আঁখি/ ভুলিব না বলে গেল, বলে গেল তবু ভাল॥/”
জনমেজয় বললেন, “চমৎকার! এগুলি বোধহয় রূপচাঁদ পক্ষীর সময়ের পদ।”
দীপঙ্কর বললেন, “বাবার লেখাতেও রূপচাঁদ পক্ষীর কথা রয়েছে।”
দীপঙ্কর আবার পড়লেন, “নাচ বনমালী, দিব করতালি, শুনিব নূপুর বাজিয়ে পায়।/ হরি ব’লে ধ্রুব নেচে চলে, হরি ব’লে ধ্রুব প্রাণ জুড়ায়॥”
এ বার জনমেজয় গান ধরলেন, “নাচ হরি হেরি নয়ন ভরি পরান ভরি ডাকি হরি হরি...”
দোহার ধরলেন দীপঙ্কর, “ধ্রুব ভালবাসে পীতবাসে, প্রাণ দেখিতে ধায়।...”
রাতটা বেশ কাটল। সকালে আবার অফিসে গেলেন জনমেজয়। আর দীপঙ্কর বাসে চেপে গেলেন বাঁকুড়া জেলা হেড কোয়ার্টারে। আপাতত তাঁর প্যারাডাইস লস্ট।
১৪
“ঝুমুর গান গাইতে পারেন আপনি?” রামবিলাস অপেরার ম্যানেজার প্রশ্ন করলেন জ্যোৎস্নাদেবীকে।
বসতে দিয়েছেন, চা দিয়েছেন এই ঢের, ভাবলেন জ্যোৎস্নাদেবী, মুখে বললেন, “পারব।”
“কোনও ঝুমুরপদ বলতে পারবেন?”
মানুষটা মৃত্যুর মুখে বিছানায় শুয়ে শুয়ে এ সব বলতেন। চিরকালই জ্যোৎস্নার স্মৃতিশক্তি ভাল।
তিনি বলতে লাগলেন, “কেমন মাসীর বোনপো গো তুমি দেও দেখি আজ গেঁথে মালা।”
ম্যানেজার রাখহরিবাবু বললেন, “এক্কেবারে ঝুমুর গান। যদি একটু নেচে দেখান।”
দিনের পর দিন কাজ নেই। আজকের যাত্রাপালায় তিনি অচল পয়সা। এ কালের এক অভিনেত্রী রাখহরিবাবুর সঙ্গে দেখা করতে বলেন। বলেছিলেন, “দিদি, ওখানে কাজ পাবেন। আপনাকে যেন সমাদর করেন, বলে রাখব।”
এই হচ্ছে সমাদরের নমুনা। শিল্পী যেন মানুষ নয়, কাঠের পুতুল— নাচতে বললেই নাচতে হবে।
ব্যাগ থেকে ঘুঙুর বের করলেন। অনেক দিন নাচার অভ্যেস নেই। আর এ তো স্টেজ নয়! হাজার হাজার কালো মাথা যাঁরা দর্শক, তাঁরাই আসল ইনস্পিরেশন, তেমন কিছু তো নয়। যাত্রার অধিকারীর বয়স ষাট তো হবেই। পানের কষ ঠোঁট বেয়ে গড়াচ্ছে। চোখে লালসার আগুন। আজও রূপ আছে তাঁর। তবুও কী করবেন, বাঁচতে তো হবে।
পায়ে ঘুঙুর বেঁধে গাইতে শুরু করলেন কোমর দুলিয়ে, “কেমন মাসীর বোনপো তুমি দেও দেখি আজ গেঁথে মালা।/ ভাল কুসুম বেছে নিয়ে গাঁথ মালা মন দিয়ে,/ কারুকারি কর্ত্তে গিয়ে হয় নাযেন ছেলেখেলা॥”
হাঁপ ধরছে ওঁর। বসলেন। জল চেয়ে খেলেন।
রাখহরিবাবু ওঁর রূপ চেটেপুটে খাচ্ছেন চোখ দিয়ে, বললেন, “স্টেজে পারবেন পুরোটা করতে? হাঁপ ধরছে তো!”
“অভিনয়টা ঠিকঠাক পারি। এ সব তো একটু চটুল, কখনও করিনি।”
রাখহরি বললেন, “সকলের কাছে ভূরি ভূরি টলিউড। আমার পয়সা কম, তাই আপনাকে ডাকা। পুরুলিয়ার একটা লোকাল গ্রুপের সঙ্গে মিলেজুলে করতে হবে।”
“ও, আচ্ছা...” বলে উঠে দাঁড়ালেন।
“চলে যাবেন!”
“না, পুরোটা করে যাব।”
রাখহরি বললেন, “বাহ! জাতশিল্পী আপনারা। আমরাও যে শিল্প বুঝি না, তা নয়। কিন্তু কী করব! নিরুপায়। এ তো বিনোদিনী দাসী আর গিরিশবাবুদের যুগ নয়।”
“আমরা কি ফিরিয়ে আনতে পারি না?”
“কেউ দেখবে না। আমি হচ্ছি গিয়ে ফেল্টুস পালাকার কাম অধিকারী। ‘নিমাই সন্ন্যাস’ করলাম, হল ফাঁকা। এ যুগে ঠাকুর রামকৃষ্ণদেব কোথায়। পরমহংস নেই আর। গুরুরা সব বাজপাখি। শিকার চেনেন। এ যুগের স্লোগান অর্থ। লোভ, মাৎসর্যে ভেসে যাও। কেউ এসে বলবেন না, ‘ফিরে আয় বাছা, তোদের চৈতন্য হোক।’”
লোকটার কথা মন্দ লাগছে না।
“আমি তা হলে নাচটা শেষ করি।”
“আপনি প্রথম থেকে সুর করে, তাল দিয়ে গান। নাচতে হবে না, আমার উচিত হয়নি বলা।
“না না, সে ঠিক আছে, আপনি তো বাজিয়ে নেবেন, তাই না!”
এ বার রাখহরিবাবু বললেন, “আমরা গুণীর কদর করি। সোনায় খাদ থাকলে ধরতে পারি। দিদি, আপনি এখনও রূপবতী, গুণবতী। কিন্তু আমরাও অসহায়। বাইরের জেল্লায় জগৎ মজে আছে।”
জ্যোৎস্নাদেবী প্রথম থেকে গানটা ধরলেন, ঝুমুর গান— “কেমন মাসীর বোনপো তুমি দেও দেখি আজ গেঁথে মালা।
ভাল কুসুম বেছে নিয়ে গাঁথ মালা মন দিয়ে,
কারুকারি কর্ত্তে গিয়ে হয় না যেন ছেলেখেলা॥
অবিচারে কয় মাথা, দাসীর মনে দিল ব্যথা,
কার বা মাথার ওপর মাথা, তোমার কাজে
করবে হেলা, তোমার কাজে করবে হেলা।”
“বাহ! বাহ! খাসা গলা আপনার।”
জ্যোৎস্নাদেবী টাকার কথা বলতে গিয়ে বলতে পারলেন না।
“আপনি থাকেন কোথায়?”
“বিরাটিতে থাকি।”
“ট্রেনে তো ভিড় হবে বেশ।”
“তা তো হবে।”
“আমার একটা গাড়ি আছে, বেলঘরিয়া যাব। তবে রাত হবে।”
“অভ্যেস খারাপ করব না। আমরা তো সেই ফেলে আসা কালের আলোছায়া জগতের মানব-মানবী আর নই।”
“দিদি, দুঃখ করবেন না। একটা অনুরোধ করব! ‘ভক্ত প্রহ্লাদ’ পালা থেকে কিছু গাইবেন?”
জ্যোৎস্নাদেবী ছোট করে গাইলেন, “নাচ বনমালী, দিব করতালি, শুনিব নূপুর বাজিয়ে পায়।/ হরি ব’লে ধ্রুব নেচে চলে, হরি ব’লে প্রাণ জুড়ায়।”
“আহা! আহা!” উঠে দাঁড়ালেন রাখহরিবাবু।
এর আগেও হয়তো এঁর কাছে এসেছেন। এত দুয়ারে দুয়ারে ভিখ মাগতে হয়, মানুষের মুখ আর নাম কিছুই মনে থাকে না।
পাঁচশো টাকার একটা নোট হাতে দিলেন রাখহরিবাবু। বললেন, “আপনার হচ্চেন হিরের নাকছাবি। কখনও পুরনো হয় না। বাংলা রঙ্গমঞ্চ মূল্য দিতে জানল না। আবার আসবেন দিদি।”
টাকাটা প্রণাম করে হাতে নিলেন জ্যোৎস্নাদেবী। মা সরস্বতী হয়তো ত্যাগ করেছেন অধমা নারীকে, কিন্তু দেবী লক্ষ্মী আজও কৃপা করেন।
যাওয়ার আগে বললেন, “রাখহরিবাবু, এই গান রূপচাঁদ পক্ষীর দলও গাইত এক কালে।”
হাসলেন রাখহরিবাবু।
মানুষের অন্তরে ঈশ্বরের বসবাস। বাইরেটাই পুরো সত্যি নয়।
পথে নেমে জনারণ্যে মিশে গেলেন তিনি। হাঁটতে লাগলেন। কানে ভাসতে লাগল কোলাহল। সেই রঙ্গমঞ্চের দর্শকদের উচ্ছ্বাস। করতালি। সেই কালের মদিরায় বিভোর হয়ে তিনি যে কখন শিয়ালদা স্টেশনে চলে এলেন, টের পেলেন টিকিট কাউন্টারে এসে।
ক্রমশ
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)