পূর্বানুবৃত্তি: বিউটি পার্লার থেকে রূপচর্চা শেষ করে পল্লবী ওঠে দেবলের গাড়িতে। একটি পাঁচতারা হোটেলের ঘরে দেবলকে তৃপ্ত করার পর দেবল তাকে স্টেশনে পৌঁছে দেয়। রাতে বাড়ি ফেরার সময় পল্লবী অনুভব করে কেয়াঝোপে সাপদের উপস্থিতি। তার মনে হয়, একদিন তাকে এই সরীসৃপদের কাছেই পাপের খতিয়ান দিতে হবে। পল্লবীর নিয়ে আসা দামি খাবার ছুঁয়েও দেখেন না দীপঙ্কর ও তাঁদের ছেলে দীপ। মহানন্দে বাবার রান্না করা ডাল আর আলুসেদ্ধ খেয়েই সে শুয়ে পড়ে বাবার ঘরে। শেষ রাতে নিঃসঙ্গ বোধ করায় সে ঘরে গিয়ে শোয় পল্লবীও। পরদিন তারা আবার এক সঙ্গে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করে। সংসারের উষ্ণ পরিবেশে অপরাধবোধ তৈরি হয় পল্লবীর মনে। পল্লবীর ব্যক্তি-স্বাধীনতা নিয়ে দীপঙ্করের কোনও প্রশ্ন বা হস্তক্ষেপ নেই বলেও কেমন অনুশোচনা হয় ওর। অন্য দিকে জনমেজয় ফটিকরা আলোচনায় ব্যস্ত, কেমন করে পুজোর সময় একটি পালার অভিনয় করা যায়।
ইসরো থেকে জনমেজয়ের ছেলেও ফিরেছে। বাড়ি থেকে এসেছে ক্লাবঘরে রিহার্সাল দেখতে। সে বলল, “পালাটাপুরনো সময়ের। জমিদার, জোতদার আর নেই। বামপন্থী স্লোগানটাও ক্লিশে।”
“ঝিনুক কে করবে?” জনমেজয় বললেন।
ফটিক বলল, “আমাদের গ্রামের মেয়েদের দিয়ে হবে না?”
“ঝুমুর গান জানে, এমন কেউ কি আছে?”
ফটিক বলল, “দাদা, তোমার ছেলে করতে পারবে না?”
জনমেজয় মৃদু হেসে ছেলের দিকে তাকিয়ে বললেন, “পারবি?”
“না বাবা, আমি কোনও দিন যাত্রা করিনি।”
জনমেজয় বললেন, “সে তো আমি জানি। যে সময়ের পটভূমিতে ‘অচল পয়সার পালা’ হবে তাও তো এখন আর নেই, কিন্তু স্মৃতিতে রয়েছে। তেমনই তুই কোনও দিন করিসনি, কিন্তু যদি করিস, একটা ছাপ থেকে যাবে আমাদের গ্রামে।”
ফটিক বলল, “ঠিক বলেছ দাদা।”
জনমেজয় বললেন, “ঝিনুক বাউড়ির জন্য তুলিকাকে ডাকতে হবে।”
“বয়সে কি ম্যাচ করবে দাদা? ওর বয়স অনেকটা বেশি।”
“আর হৈমন্তী কে করবে?” জনমেজয় বললেন।
ফটিক বলল, “এই ফিমেল নিয়েই আমাদের যত ঝামেলা। তবে তনুশ্রী হতে পারে।”
এই সময় পানস চৌধুরী এলেন।
বললেন, “কী সব কথা হচ্ছে?”
“দাদা, ‘অচল পয়সা’ যদি করা যায়!”
“খুব ফেমাস। কিন্তু আমরা কি সুনাম ধরে রাখতে পারব!”
এই সময় ভজা মোষের দুধের চা নিয়ে এল। অবশ্যই পানসদার কথা মাথায় রেখে।
পানসদা বললেন, “পুজোর কত দিন বাকি?”
“এখনও তিন মাস হাতে আছে।”
“সময় আছে। তবে এখন এই যাত্রা, লোক টানবে কি না বুঝতে পারছি না।”
জনমেজয় নিজের ছেলের দিকে ইঙ্গিত করলেন। সে এসে পানস চৌধুরীকে প্রণাম করল। খুশি হলেন পানস চৌধুরী।
“তুমি এখন কোথায় আছ?”
“ইসরো-য়।”
“বাহ, বাহ! আমি দু’বছর রাশিয়া ছিলাম। কোম্পানি থেকে পাঠিয়েছিল। তখন ওঁদের পেরেস্ত্রোইকা শুরু হয়েছে।”
“কোনও অসুবিধে হয়েছিল?”
“না, তবে ভিতরে ভিতরে যে রাশিয়া বদলাচ্ছে, টের পেয়েছিলাম।”
জনমেজয় বললেন, “যাত্রাপালা ভৈরববাবুর হাত ধরেই পুরাণ থেকে সরে এসেছিল। শুরু হয়েছিল সামাজিক পালা। আর এখন আর এক ট্রানজ়িশন। যাত্রায় এখন টলিউডের ভিড়।”
পানস বললেন, “আরে ভাই, আমিও তো টালিগঞ্জপাড়ায় পড়ে থেকেছি। একটা-দুটো রোলে করেছিও। কিন্তু যাত্রার সম্মান একদম আলাদা।”
“জেঠু, আমি কোনও দিন অভিনয় করিনি।”
“আরে, তোমাদের বংশে আছে অভিনয়। তোমার ঠাকুরদার অভিনয় আমি দেখেছি।”
“পানসদা, আপনি চাঁদু মাস্টার করবেন।”
“এই বয়সে পারব!” সামান্য ছদ্ম-অনিচ্ছা দেখালেন পানস চৌধুরী।
ফটিক এ বার বলল, “আপনি পারবেন না, তাও কি হয়!”
পানসদা খুশি হয়ে বললেন, “ভজাকে ডাকো।”
ভজাকে ডাকা হল।
“সকলের জন্য ডবল ডিমের অমলেট,” হুকুম দিলেন পানসদা।
ফটিক বলল, “দাদা, দুপুরের খাবারটা হলে হেভি হত। আপনি এসেছেন যখন!”
পানস চৌধুরী বললেন, “বুঝলি ভজা, দুপুরে খিচুড়ি আর মুরগির মাংস।”
জনমেজয় বললেন, “হৈমন্তীর জন্য আমি আর এক জনের কথা ভাবছি।”
পানস চৌধুরী বললেন, “কে?”
“এক জন পুরুষ নারী সাজবেন।”
পানস বললেন, “এই সময়ে এ সব চলবে?”
জনমেজয় হেসে বললেন, “দারুণ করবেন, অবশ্য যদি রাজি হন।”
আজ যে দীপঙ্কর ভোররাতে স্টেশনে এলেন, সাপ দুটোও এল সঙ্গে সঙ্গে। কেয়াবন থেকে বেরিয়ে ওরা দীপঙ্করের সঙ্গ নিল। কখনও কখনও মনে হয়, দীপঙ্কর কোনও জন্মে ওদের মা ছিলেন। মাতৃত্ব জাগলে পৃথিবীকেও সহোদরা মনে হয়। সে এক অদ্ভুত অনুভূতি। বৃষ্টি পড়ছিল, মনের আনন্দে ভিজলেন দীপঙ্কর। অনেকটা পথ যেতে যেতে জামাটা গায়ে শুকিয়ে যাবে ছেলেবেলার মতো। ট্রেনটা ফাঁকা আজ। কোনও ছুটির দিন নয় তো! কে জানে! ট্রেন ছাড়লে জানলা দিয়ে তাকালেন দীপঙ্কর। সাপ দুটো ওঁকে সি-অফ করে চলে যাচ্ছে। ভারী সুন্দর। হাওড়া স্টেশনে নেমে একটা গাড়ি পেয়ে গেলেন দীপঙ্কর। ছেলেটি আরামবাগ যাবে। দীপঙ্কর গেলে দেড় হাজার টাকা নেবে। বেশ সস্তা। অফিসে কাজ ছাড়া গাড়ি পাওয়া যায় না। কাজেও পাওয়া যায় না, অন্যদের প্রায়োরিটি মিটিয়ে ফাঁকা থাকলে তবে দীপঙ্কর যেতে পারেন। এই গাড়িতে প্রথমে আরামবাগ, ওখান থেকে বাসে বিষ্ণুপুর।
ছেলেটা খুব মজার। নানা পুরনো হিন্দি সিনেমার গান ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে চালাচ্ছে, আর বলছে, “স্যর, কেমন লাগছে?”
দীপঙ্কর বলছেন, “দারুণ।”
ছেলেটির বাবা নেই, মা আর এক বার বিয়ে করেছে। এই নিয়ে ক্ষোভ নেই তার। মাকে সে বড্ড ভালবাসে। মা, কাকাকে বিয়ে করেছে। অবশ্য কাকাকে সে কাকাই বলে, কোনও বিদ্বেষ নেই। কখনও কখনও সে যাত্রা করেছে। তার মধ্যে ফেমাস হচ্ছে দিগম্বর অপেরা। নামটা শুনেছেন দীপঙ্কর। বেশ কাটল পথটা। আরামবাগের বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দিল। পথে এক জায়গায় ওঁরা আলুর পরোটা খেয়েছেন। জামাটা হাওয়ায় শুকিয়ে গেছে।
ট্রেনে হাওড়া আসার সময় এক অদ্ভুত ভদ্রলোক যেচে আলাপ করেছিলেন। জিজ্ঞেস করেলেন, “ওরা আপনাকে তুলে দিতে এসেছিল?”
দীপঙ্কর বুঝতে না পেরে বলল, “কারা?”
“সেই সাপ দুটো। আপনার পোষা?”
“না,” দীপঙ্কর বললেন।
“ওদের আস্তানাটা কোথায় জানেন?”
দীপঙ্করের কেমন সন্দেহ হল, লোকটা ওদের নিয়ে কিছু করতে চাইছে না তো! বললেন, “আমি জানি না।”
“এই প্রথম দেখলেন, এমনটা তো নয়!”
“তা নয়! আগেও দেখেছি, কিন্তু ঠিক কোথায় মনে করতে পারছি না।”
লোকটা একটা কার্ড বার করলেন, নাম লেখা আছে প্রদীপ আচার্য।
“আমি একজন সর্পবিশারদ, খোঁজ পেলে জানাবেন। খুব বিরল প্রজাতির জোড়।”
কোনও উত্তর দেননি দীপঙ্কর। ট্রেনে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। কোথাও একটা ঝাঁকুনিতে ট্রেন যখন থামল, কম্পার্টমেন্ট থেকে নেমে লোকটাকে আর দেখতে পাননি। মনে হয়েছিল, জানালে হয়তো ওদের ক্ষতি হতে পারে। সাপের বিষ, চামড়া নিয়ে প্রচুর অবৈধ ব্যবসা হয়। দীপঙ্করের মনে হয়, ওরা দেখতে পায়। গন্ধ একটু কম পেলেও কেয়ার গন্ধে ওরা উত্তেজিত হয়। আর ভূমির স্পন্দনও ওরা বেশ আগে টের পায়।
আরামবাগ থেকে বাসে চেপে পৌঁছতে দেরি হয়ে গেল খানিকটা। পৌনে এগারোটা বাজে। সাড়ে দশটার পর লাল দাগ পড়ে। এখন বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স। পৌনে এগারোটা অবধি দেওয়া যাবে।
কিন্তু একেবারে শুনশান সব। নাইট গার্ডের সঙ্গে দেখা হলে সে বলল, “বাবু, আজ ছুটি আছে। মহকুমা শাসক স্যর রয়েছেন, আর ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সাহেবরাও আছেন।”
দীপঙ্কর বললেন, “জনমেজয়বাবু আছেন?”
“পাট্টাবাবু তো? না স্যর।”
কী মনে হল, এক বার পোড়ামাটির হাটে গেলে হয়। আস্তে আস্তে হাঁটতে লাগলেন দীপঙ্কর।
এই সময় একটা গাড়ি দীপঙ্করের খুব কাছে এসে ব্রেক কষল। গাড়ি থেকে নামলেন যিনি, তাঁর বয়কাট চুল। ফর্সা। চোখে চশমা রয়েছে। বুদ্ধিদীপ্ত চেহারা। ঠোঁটে গাঢ় লিপস্টিক। ওটা দেখে বোঝা গেল, তিনি মহিলাই হবেন।
গাড়ি থেকে নেমে তিনি মেয়েলি সুরেলা কণ্ঠে বললেন, “আপনি বেশ অন্যমনস্ক তো! আর একটু হলে তো গাড়ির তলায় যেতেন!”
দীপঙ্কর বললেন, “আপনার গাড়ির সেই শক্তি নেই। পায়ের উপর দিয়ে যেতে পারত। ওটা এমন কিছু নয়।”
“আপনি কি জাপানি সুমো কুস্তিগির, যে গাড়ি পায়ের উপর দিয়ে গেলে কিছু হবে না!”
দীপঙ্কর হেসে বললেন, “আমি সুমোও নই, জাপানি তো নই-ই।”
“কোথায় যাচ্ছেন?”
“পোড়ামাটির হাট। আপনি?”
“আমাকে চেনেন আপনি?”
“বোধহয়। আগের যিনি ছিলেন, তাঁর সঙ্গে দেখেছি। আপনি মহকুমা তথ্য-সংস্কৃতি আধিকারিক। তাই তো?”
“একদম! আমার নাম সৌমি দাস।”
“ওখানে এখন কিছু হচ্ছে?”
“আমার একটি জনজাতি দলের নাচের অনুষ্ঠান আছে। তাই যাচ্ছি।”
দীপঙ্কর বললেন, “প্রচুর লোক হবে?”
“হলে তো ভাল, কেন আপনার মানুষের বিষয়ে ফোবিয়া আছে?”
দীপঙ্কর বললেন, “ঠিক তা নয়। তবে নিরালা থাকতে ভাল লাগে।”
“আর যাত্রায় অভিনয়? নারীর চরিত্রে অভিনয়? সে সবও তো ভাল লাগে।”
দীপঙ্কর একটু লজ্জা পেয়ে গেলেন।
পোড়ামাটির হাটে নামতেই এক দল বৃহন্নলা ঘিরে ধরল সৌমিকে।
“আমাদের নিয়ে কিছু করাবেন না, ম্যাডাম?”
সৌমি যেন একটু ঘাবড়ে গেলেন, বললেন, “আপনারা কী করবেন?”
এক জন বললেন, “আমাদের কাহিনিটা জানেন তো? রামায়ণে রয়েছে।”
সৌমি বললেন, “কী কাহিনি?”
“রাম বনবাসে যাওয়ার সময় প্রজারা ঝাঁক বেঁধে এলেন। রাম বললেন, সমস্ত নারী-পুরুষ ফিরে যাও, আমি তো ফিরে আসবই, তখন এখানে এসো।
“তাঁর কথায় নারী-পুরুষরা ফিরে গেলেন। রয়ে গেলেন বৃহন্নলারা, তাঁরা তো নারী কিংবা পুরুষ নন। রাম চোদ্দো বছর পর ফিরে এসে ওখান দিয়ে যাওয়ার সময় দেখেছিলেন, বৃহন্নলারা রয়েছেন। তাঁরা চোদ্দো বছর একই জায়গায় রামের জন্য অপেক্ষা করেছে। রাম প্রীত হলেন, বললেন ‘যে, কোনও কিছুর শুভ মহরত তোমাদের ছাড়া হবে না।’ সেই থেকে শুরু।”
সৌমি বললেন, “সে তো বুঝলাম। এখন তোমরা কী করতে চাও?”
“আরও কাহিনি আছে ম্যাডাম। অর্জুন তো বৃহন্নলা সেজেই নাচ শিখিয়েছিলেন।”
সৌমি বললেন, “হ্যাঁ। জানি, অজ্ঞাতবাস পর্বে বিরাটরাজার রাজসভায়।”
“তা হলে ম্যাডাম, আমরাও পারি।”
সৌমি বললেন, “বেশ, ঠিক আছে। ভেবে দেখব আপনাদের কথা।”
ওঁরা চলে গেলে দীপঙ্কর বললেন, “আপনি সত্যিই দেখবেন?”
সৌমি বললেন, “বারাসতে এক জনকে পেয়েছিলাম, ভাল নাচত। ওকে আপনি প্রদীপ্ত বা প্রদীপ্তা, যা হোক বলতে পারেন। অসম্ভব ট্যালেন্টেড। কিন্তু ডিপার্টমেন্ট না ভাবালে তো আমাদের ভাবতে নেই।”
পোড়ামাটির হাটটা বেশ সুন্দর লাগছে। বিকেল এখনও আছে। চার দিকে সবুজ আর সবুজ। নানা পসরা নিয়ে বসেছে অনেকে। এর মধ্যে মাদলের শব্দ হল। জনজাতি মেয়েরা নাচছে। দূর থকে মহকুমা তথ্য-সংস্কৃতি আধিকারিককে দেখলেন দীপঙ্কর। সবুজ-সাদায় মেশানো একটা সালোয়ার পরেছেন। মাঝেমধ্যে চশমা ঠিক করে নিচ্ছেন। দীপঙ্কর কলেজে থাকতে কোনও কোনও মহিলার সঙ্গ করেছেন, কোনওটাই প্রেম নয়। তবে তাঁর নিজের কিছু বলার থাকত না বলে ওরা একনাগাড়ে বলে যেত। কিছুই শুনতেন না দীপঙ্কর। তবে একটু হাঁ-হুঁ করতেন। কখনও কখনও সিরিয়াস ভাব আনতেন মুখে। এদের কারও সঙ্গে তাঁর আর যোগাযোগ নেই। একটা সময়ের খেলনা ছিলেন তিনি। এর পর দামি খেলনা পেয়ে তারা দীপঙ্করকে ভুলে গেছে। এতে তাঁর কোনও আক্ষেপ নেই, অনুরাগও নেই।
সৌমি ম্যাডাম ফিরে এলেন, বললেন, “একটা জায়গায় যাবেন!”
দীপঙ্কর বললেন, “কোথায়?”
“জয়পুর জঙ্গলে যেখানে রেললাইন গেছে, সেই বরাবর সোজা হাঁটতে থাকব। আমার কাছে বাইনোকুলার আছে। প্রচুর পাখি দেখা যাবে।”
দীপঙ্কর ভাবলেন, পাখি দেখে কী হবে! সে তো ছুটির দিনের জানালায় কত পাখি দেখা যায়। মনে হল, মেয়েটা বেশ গেছো তো!
“কী হল? যাবেন?”
দীপঙ্কর হ্যাঁ বলতে গিয়েও বললেন না।
“মনে হচ্ছে, আপনার কোনও ইন্টারেস্ট নেই।”
দীপঙ্কর বললেন, “ঠিক তা নয়, তবে আমার একটু হাঁটায় অসুবিধে আছে।”
“আপনার যাত্রায় অভিনয়ের কী হল?”
দীপঙ্কর বললেন, “এখনও কিছু হয়নি। তবে ছেলেবেলায় বেড়ার ফাঁক দিয়ে দেখতাম পুরুষেরা সব নারী হচ্ছে, ও রকমটা হতে ইচ্ছে আছে।”
ক্রমশ
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)