বাঁকুড়ায় একটি কথা প্রচলিত আছে, ‘কালী কার্তিকের সোনামুখী’। সোনামুখী, বাঁকুড়ার এক প্রাচীন পৌর অঞ্চল। সারা বছর কালীপুজোর প্রহর গোনে অঞ্চলবাসী। মফস্সল হলেও জমজমাট। অঞ্চলের মাঝখানে দেবী স্বর্ণময়ীর মন্দির। এই দেবী দুর্গারই এক রূপ। কথিত আছে, বর্গি আক্রমণ থেকে বার বার গ্রামবাসীদের রক্ষা করেছিলেন দেবী স্বর্ণময়ী। তাঁর নাম থেকেই গ্রামের নাম সোনামুখী। বাঁকুড়ার এই অঞ্চলের খ্যাতি ছিল কালীক্ষেত্র হিসেবে। ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় একশোরও বেশি কালীপুজো হয় সোনামুখী ও আশপাশের অঞ্চল জুড়ে। বারোয়ারি পুজোর পাশাপাশি হয় পারিবারিক কিছু পুজো। বাঁকুড়ার এই অঞ্চলে কালীমূর্তির আকৃতি, গঠন, সাজসজ্জা বাংলার অন্যান্য মূর্তির থেকে একেবারে আলাদা। বড়-বড় চোখ, মানানসই জিহ্বা। কালীমূর্তির অনন্যতা সোনামুখীকে প্রসিদ্ধ করেছে বাংলায়।
মাইতো কালী
আঠারো শতকের বাংলা। মরাঠা দস্যুর দল এসে পৌঁছেছে বাংলার সীমানায়। নেতৃত্বে ভাস্কর পণ্ডিত। সোনামুখী তখন জলাজঙ্গলে আকীর্ণ। তার মাঝে এক পর্ণকুটিরে সন্ধ্যাকালে এক বৃদ্ধকে নতজানু হয়ে হাঁড়িকাঠের সামনে একমনে পুজো করতে দেখে ভাস্কর পণ্ডিত। বলিদানের উদ্দেশে রাখা খড়্গ তুলে বৃদ্ধকে মারতে উদ্যত হয় দস্যু সেনাপতি। মুহূর্তে দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলে সে, তার মনে হয় পিছন থেকে খড়্গ টেনে ধরেছে কেউ। “কে আমার খড়্গ টেনে রেখেছিস?” পিছন থেকে দস্যুদল বলে, “কেউ কোথাও নেই।” এর পর সেই বৃদ্ধ ঘটের জল ছিটিয়ে ভাস্কর পণ্ডিতের দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে আনেন। সে বৃদ্ধকে জিজ্ঞাসা করে, এখানে কোন দেবতার থান। বৃদ্ধ উত্তর দেন, মা কালী। ভাস্কর পণ্ডিত চিৎকার করে ওঠে, “মা-ই-তো কালী হ্যায়।” সেই থেকে এই থানের কালীর নাম হয়ে যায় মাইতো কালী। জনশ্রুতি, ভাস্কর পণ্ডিত ওই খড়্গ ও আরও একটি খড়্গ বৃদ্ধের হাতে দিয়ে যান। আজও সেই খড়্গ বলির কাজে ব্যবহার হয়।
পর্ণকুটির আজ বড় মন্দির। পাকা বেদির উপর মায়ের অধিষ্ঠান। মন্দিরে ঘট থাকে সারা বছর। কালীপুজোর দিন ঘট পরিবর্তন করা হয়। মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব স্থানীয় অনুন্নত সম্প্রদায়ের, আর পূজার্চনার দায়িত্ব বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের উপর। দীপান্বিতা অমাবস্যার দিন থেকে টানা পাঁচ দিন উৎসব চলে। মূর্তি গড়ে সূত্রধর সম্প্রদায়। বিজয়াদশমীর দিন মূর্তি মন্দিরে আনা হয়। বিশাল মূর্তি, সোনা-রুপোর গহনায় মোড়া। পশুবলি দেওয়া হয় মন্দিরের তরফে ও ভক্তদের মানতের। মাইতো কালীর বিসর্জন সবচেয়ে আকর্ষণীয়। পার্শ্ববর্তী কোচডিহি গ্রাম থেকে ৪২ জন বেহারা আনা হয়। সোনামুখী জুড়ে নগর পরিক্রমা করেন মা। সঙ্গে চলে বিশাল শোভাযাত্রা। পরদিন সকালে হয় বিসর্জন। চারশো বছর ধরে চলে আসছে এই প্রথা।
ক্ষ্যাপা কালী
পাঁচশো বছরের পুরনো পুজোগুলির অন্যতম এই ক্ষ্যাপা কালী। কৃষ্ণবাজার এলাকার তাঁতিপাড়ায় এই মন্দির। আতাগাছের জঙ্গল ছিল এলাকা জুড়ে। সেই স্থানেই মায়ের শিলামূর্তি পাওয়া যায়। জ্ঞানেশ্বর নামে এক সাধু শিলামূর্তি নিয়ে চলে যাচ্ছিলেন দক্ষিণখণ্ডে। মা স্বপ্নে এসে বলেন, তিনি এখানেই থাকবেন। সাধুই তখন স্থানীয় মানুষের হাতে শিলামূর্তি তুলে দেন। বলেন, সেখানেই মায়ের মন্দির হবে। জানা যায়, এক বার কালীপুজোর সময় তাঁতিপাড়ায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে প্রদীপের আগুন থেকে। বাসিন্দারা কাতর হয়ে মায়ের কাছে আর্জি জানায় প্রাণরক্ষার। এক সময় আগুন আয়ত্তে এসে গেলে সবাই দেখেন, মায়ের উপরের হাতদুটি পুড়ে কালো হয়ে গেছে। মনে করা হয়, এই দুই হাতেই আগুন সামলেছিলেন মা। তখন মায়ের চুলও পুড়ে যায়। সেই থেকে মূর্তিতে চুল লাগানো হয় না।
রক্ষা কালী
সোনামুখীর রক্ষাকালীতলায় সুদৃশ্য মন্দির অঞ্চলের প্রসিদ্ধ স্থান। চারশো বছর আগে সেখানে ছিল শ্মশান। বৈদ্য বংশের তান্ত্রিক সাধক গুরুচরণ রায় তন্ত্রসাধনায় সিদ্ধিলাভ করে রক্ষাকালী পুজো শুরু করেন। বর্তমানে এটি পল্লি ষোলো আনা দ্বারা পরিচালিত। কালীপুজো ছাড়াও নিত্যসেবা হয়ে থাকে। কাঠামো বিসর্জনের পর প্রতি বছর তুলে আনা হয় মন্দিরে। মন্দিরে গড়া হয় মূর্তি। বলি, ধুনো পোড়ানো এই পূজার অঙ্গ। দণ্ডী কেটে মায়ের পুজো দেওয়ার রীতি বহু দিনের। মায়ের আগে কালভৈরবের পুজো হয়। রক্ষাকালী পুজোয় ঢাক নয়, ঢোল বাজে। বিসর্জনের দিন মহিলারা দেবীকে বরণ করেন, সিঁদুর খেলেন ও বিসর্জনের শোভাযাত্রায় অংশ নেন।
এ বার কয়েকটি পারিবারিক কালীপুজোর কথা। এই অঞ্চলের কিছু প্রাচীন পরিবার অত্যন্ত নিষ্ঠা ও আন্তরিকতা নিয়ে মা কালীর আরাধনা করে আসছে।
ক্ষ্যাপা কালী (রায়বাড়ি)
সোনামুখীর ধর্মতলা অঞ্চলে কালীমন্দির বহু পুরনো। উঁচু ভিতের উপর একচালা মন্দির। এই ক্ষ্যাপা মায়ের বাম পা শিকল ও তালাচাবি দিয়ে বাঁধা। বলা হয়, পুজোর কোনও ত্রুটির কারণে দেবী বালিকা রূপ ধরে মন্দির থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই থেকে বিগ্রহের পায়ে শিকল বাঁধার নিয়ম চালু হয়। এই রায় পরিবারের আদি নিবাস ছিল বীরভূমের সিউড়িতে। বর্গিদের হামলা থেকে বাঁচতে রায় পরিবার এই অঞ্চলে চলে আসে, সঙ্গে আনে মায়ের ঘট। পঞ্চমুণ্ডির আসনের উপর বেদি গড়ে ক্ষ্যাপা মায়ের পুজো শুরু হয়। পুজোর বয়স প্রায় পাঁচশো বছর। রায় পরিবার ও সোনামুখীর মানুষের বিশ্বাস, মায়ের আশীর্বাদী ওষুধে জলাতঙ্ক রোগের হাত থেকে বাঁচা যায়। পরিবারের সদস্যরা বহু বার নিশুতি নির্জন মন্দির চত্বরে মায়ের নূপুরধ্বনি শুনতে পেয়েছেন।
চামুণ্ডা কালী
রতনগঞ্জে চট্টোপাধ্যায় বাড়ির মায়ের রূপ চামুণ্ডা। তিনি আবার জামাইকালী নামেও পরিচিত। চামুণ্ডাকালীর পুজোর শুরু শান্তিপুরে তিমিরবরণ চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরে। এই পুজো কয়েকশো বছরের প্রাচীন। তিমিরবরণকে ‘জামাই’ বলে সম্বোধন করত সবাই, তাই তাঁর প্রতিষ্ঠিত কালীর নাম হয়ে যায় জামাইকালী। চামুণ্ডা কালীর মূর্তি অন্যান্য কালীর থেকে আলাদা। গোলাকৃতি চক্ষুদ্বয়, নরমুণ্ডের উপর বাঁ পা, উপরের বাঁ হাতে অসুরমুণ্ড, নীচের দু’টি হাতে বরদান। এক সময় মশাল জ্বালিয়ে আরতি হত চামুণ্ডাকালীর। এখনও প্রতীকী হিসেবে সব আলো নিভিয়ে আরতি হয়। অন্নভোগ, লুচি, পায়েস দিয়ে মায়ের আপ্যায়ন হয়। বিসর্জনের পর কাঠামো জল থেকে তুলে নতুন বস্ত্র পরিয়ে অষ্টমঙ্গলার অনুষ্ঠান হয়।
থানদার কালী
রতনগঞ্জ এলাকার আর একটি পুজো থানদার কালী। অঞ্চল পাহারা দেওয়ার জন্য এই পরিবারের সদস্যরা ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকে ‘থানদার’ উপাধি পেয়েছিলেন। এদের কালীপুজোর বয়স আনুমানিক পাঁচশো বছরের কাছাকাছি। এক সময় আতাগাছের ডালপালা দিয়ে ছোট্ট মণ্ডপ তৈরি করে, রেড়ির তেলের লণ্ঠন জ্বেলে পুজো হত। পরে এল গ্যাসের আলো। এখন সেখানে সুন্দর মন্দির। এই কালীরও কাঠামো বিসর্জন হয় না। মাটি ছাড়িয়ে তুলে এনে কাপড় পরিয়ে রাখা হয়। একই কাঠামোতে বংশপরম্পরায় কুমোর মূর্তি গড়েন ।
পায়রা কালী
সোনামুখীর ধর্মতলা এলাকায় শতাব্দীপ্রাচীন পায়রা কালীর পুজো। পুজোয় এক সময় প্রচুর পায়রা বলি হত, তাই নাম হয়ে যায় পায়রা কালী। এখন অবশ্য এ প্রথা উঠে গেছে।
গহনা কালী
মুখোপাধ্যায় পরিবারের পূজিতা কালী হলেন গহনাকালী। সোনা-রুপোর বহু গহনায় মোড়া থাকত দেবীর অঙ্গ। তাই এমন নাম।
বামাকালী ও বড়কালী
বড়কালীতলায় শতাব্দীপ্রাচীন দু’টি পুজো বামাকালী ও বড়কালী। লোকমুখে ফেরে, বামাকালী নাকি বড়কালীর মা। তবে এই জনশ্রুতির কারণ জানা যায় না। বামাকালীর বাম পদ থাকে মহাদেবের বুকে। এক সময় ডাকাতদের পূজিতা এই দেবী ছিলেন খুব প্রসিদ্ধা। পরে অঞ্চলবাসীর চেষ্টায় মন্দির গড়ে ওঠে। কোনও পরিবার বহু বছর এই পুজো চালিয়ে আসছিল। কিন্ত আর্থিক অসঙ্গতির কারণে বারোয়ারি ভাবে পুজোর দায়িত্ব নেওয়া হয়। বড়কালী সোনামুখীর সবচেয়ে বড় কালীমূর্তি। উচ্চতা ১৫ ফুট। বিসর্জনের আগে মায়ের মুখে মন্ডা দিয়ে জল পান করিয়ে শোভাযাত্রা শুরু হয়।
হটনগর কালী
সোনামুখীর প্রাচীন পুজোগুলির মতো হটনগর কালীকে নিয়েও অনেক লোককথা প্রচলিত আছে। গ্রামের সূত্রধর সম্প্রদায়ের এক বৃদ্ধা, তারিণী সূত্রধর প্রতিদিন মাথায় করে চিঁড়ে-মুড়ি নিয়ে বড়জোড়ার নিরসা গ্রামে বিক্রি করতে যেতেন। বিনিময়ে ধান নিয়ে ফিরতেন সোনামুখীতে। পথিমধ্যে খালপাড়ে বসে বিশ্রাম করতেন। রোজই একটি ছোট শ্যামাঙ্গী মেয়ে বায়না করত তারিণীর সঙ্গে যাওয়ার। এক দিন জোর করেই পিছু নিল সে। খানিক হেঁটে ক্লান্ত হয়ে হয়ে পড়ায় বাধ্য হয়ে তারিণী তাঁকে মাথার ঝুড়িতে বসিয়ে নিয়ে আসেন। ঝুড়ি নামাতেই অবাক কাণ্ড! মেয়ে কোথায়, ঝুড়িতে রয়েছে এক খণ্ড শিলা। এক আঁকড়াগাছের নীচে সেটিকে রেখে দেন তারিণী। রাতে স্বপ্ন দেখেন মা কালী বলছেন, সেখানেই তাঁর পুজোর ব্যবস্থা করতে। কিন্তু ‘নিচু’ সম্প্রদায়ের হাতের স্পর্শ করা দেবীর পুজো করতে অস্বীকার করেন এক পুরোহিত। তার পরই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে স্বপ্নাদেশ পেয়ে পুজো করতে রাজি হন। স্থানীয় জমিদারগিন্নি কাদম্বরী দেবী মন্দির গড়ে দেন। এলাকার মানুষ নিষ্ঠাভরে পুজো পরিচালনা করেন। আজও সূত্রধর সম্প্রদায় মায়ের ঘট আনার অধিকারী। প্রতি বছর বাৎসরিক পুজোর সময় সেই ঘট পরিবর্তন করা হয়। সূত্রধর সম্প্রদায়ই মূর্তি গড়েন। হটনগর কালী গ্রামদেবী হিসেবে পুজো পেয়ে আসছেন সাড়ে চারশো বছর ধরে ।
সার্ভিস কালী
সোনামুখীর এই কালীর কাছে ভক্তিভরে চাইলে নাকি পাওয়া যায় চাকরি! এই বিশ্বাস ও ভরসায় শুধু সোনামুখী বা বাঁকুড়া নয়, দূরদূরান্তের মানুষ মানত করেন এই মায়ের কাছে। সোনামুখীর ধর্মতলায় সার্ভিস কালীর মন্দির। পুরোহিতের কথায়, চাকরি না-পাওয়া মানুষের কষ্টের কথা মা শোনেন। এই মায়ের আগে নাম ছিল ষোলো আনা কালী। কিছু স্থানীয় যুবক ধর্মতলায় ছোট করে কালীপুজো করত। বেকারত্বের জ্বালায় তারা অতিষ্ঠ হয়ে মায়ের কাছে মানত করে, যদি চাকরি পায়, ধুমধাম করে কালীপুজো করবে। তাঁদের মনস্কামনা পূরণ হয়। এক ব্যক্তি বাসের লাইসেন্স বার করতে পারছিলেন না কিছুতেই। তিনি ষোলো আনা দিয়ে মানত করেন। কয়েক দিনেই সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। মায়ের নাম হয় সার্ভিস কালী। দীপান্বিতা অমাবস্যার বিশেষ পুজো ছাড়াও রোজই মায়ের পুজো হয়।
ভদ্রকালী
একশো থেকে দেড়শো বছর পূর্বে ভদ্রকালী মায়ের পুজো শুরু হয়। তখন ছিল হোগলা পাতার ছোট্ট মণ্ডপ। এখন সেখানে পাকা সুন্দর মন্দির। এই মায়ের রূপ কিন্তু স্নিগ্ধ, শান্ত। শ্যামবর্ণা, সদাহাস্যময়ী।
কৃষ্ণকালী
একই মূর্তিতে কৃষ্ণ ও কালী মিলেমিশে একাকার। এক দিন শ্রীরাধিকা শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে গোপনে দেখা করেছিলেন কুঞ্জবনে। রাধিকা ছিলেন আয়ান ঘোষের স্ত্রী। তাঁর শাশুড়ি ও ননদ পথে যেতে যেতে এই দৃশ্য দেখতে পান। দ্রুত গৃহে ফিরে আয়ান ঘোষকে জানান এ কথা। আয়ান ঘোষ ছিলেন কালীভক্ত। ক্রুদ্ধ হয়ে মায়ের হাতের খাঁড়া নিয়ে ছুটে যান কুঞ্জে। কিন্তু কোথায় কৃষ্ণ? এ তো কালী। শ্রীরাধিকা মা কালীর পুজো করছেন! অন্তর্যামী শ্রীকৃষ্ণ কালীরূপ ধারণ করেছেন। আয়ান ঘোষও নতজানু হলেন কৃষ্ণকালীর সামনে। তাই এই কৃষ্ণকালীর মূর্তির সঙ্গে আয়ান ঘোষের মূর্তি থাকে।
সোনামুখীর অলিগলিতে হয় আরও কালীপুজো। দক্ষিণখণ্ড কালী, রতননগর কালী, নবমধ্যম কালী, পাগলা কালী— বিচিত্র নামের কালীপুজোর দৌলতে পশ্চিমবঙ্গে আলাদা জায়গা করে নিয়েছে সোনামুখী। সোনামুখীর কালীপুজোর বিসর্জনেও থাকে চমক। দশের পুকুর, কুর পুকুর, রানির বাঁধ, কেউট পুকুর, শালী নদী ইত্যাদি জলাশয়ে সকাল আটটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত চলে প্রতিমা বিসর্জন। কোথায় কোন প্রতিমা কখন বিসর্জন হবে, সেই তালিকা প্রকাশ করা হয় পৌরসভা থেকে। পৌর-প্রতিনিধি ও কয়েকশো পুলিশের তত্ত্বাবধানে চলে বিসর্জন। তার আগে সমস্ত প্রতিমা এসে জড়ো হয় চৌমাথার মোড়ে। তার পর শোভাযাত্রা এগিয়ে চলে নির্দিষ্ট পথে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)