Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
প্রেমিক-প্রেমিকারা কখনও জন পেলহ্যাম-বেসি শেকেলফোর্ড, কখনও আরাবেলা-ফ্রান্সিস, কখনও বা ফ্রেডরিক-এলিনর। যুদ্ধ থামেনি, যন্ত্রণার কাছে মাথা নিচু করেনি প্রেমও।
Short story

love and war: যুদ্ধের দিনগুলিতে প্রেম

যেখানে যত বার যুদ্ধ হয়েছে, রক্তক্ষয় আর প্রাণহানিকে তুচ্ছ করে রাস্তা খুঁজে নিয়েছে ভালবাসা

প্রেমিক: ফ্রান্সিস বার্লোর প্রেমিকা ইসাবেলা মারণ রোগে বিদায় নেন। ডান দিকে জন পেলহ্যাম, মনের কথা প্রেমিকাকে বলার আগেই নিহত হন যুদ্ধে

প্রেমিক: ফ্রান্সিস বার্লোর প্রেমিকা ইসাবেলা মারণ রোগে বিদায় নেন। ডান দিকে জন পেলহ্যাম, মনের কথা প্রেমিকাকে বলার আগেই নিহত হন যুদ্ধে

সায়ন্তনী সেনগুপ্ত
শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২২ ০৮:৩২
Share: Save:

আমেরিকার গৃহযুদ্ধ তখন দোরগোড়ায়। হঠাৎ এক দিন আলাবামার বাসিন্দা ডাক্তার অ্যাটকিনসনের বেপরোয়া ছেলে জন পেলহ্যাম ঠিক করল, সে যুদ্ধে যাবে। খামারে ঘোড়া চরিয়ে বেড়ে উঠেছে সে। কিন্তু মনে মনে এ কথা জানত যে, এ কাজ তার জন্য নয়। কত অলস সন্ধ্যায় গাছে হেলান দিয়ে বিশাল প্রান্তরে সূর্যাস্ত দেখতে দেখতে যুদ্ধক্ষেত্রের ছবি এঁকেছে সে মনে মনে। ঝর্নার জল থেকে তুলে আনা পাথর দিয়ে আপনমনে সেনা সাজিয়েছে। খামারের কাজে মন নেই বলে বাবা তাঁকে ভর্তি করে দিলেন মিলিটারি অ্যাকাডেমিতে। যুদ্ধ শুরু হতেই সে স্নাতক হওয়ার স্বপ্নে জলাঞ্জলি দিল। মিলিশিয়াতে যোগ দিয়ে চলে এল ভার্জিনিয়া। সেখানে সেনাধ্যক্ষ জোসেফ জনস্টন-এর সেনাবাহিনীতে লেফটেন্যান্ট পদে যোগ দিল জন। কিছু দিনের মধ্যেই সে চোখে পড়ে গেল সেনাধ্যক্ষ জেমস ব্রাউন স্টুয়ার্টের। স্টুয়ার্ট তখন গোলন্দাজ বাহিনী সাজাচ্ছেন অশ্বারোহী দিয়ে, যাতে দ্রুত কামান চলাচলে সুবিধে হয়। ঘোড়ার দেখভাল করে বড় হওয়া জন পেলহ্যাম ছিল দুরন্ত অশ্বারোহী, সাহসী যোদ্ধাও। ফ্রেডরিক্সবার্গের বিখ্যাত যুদ্ধে শুধুমাত্র দু’টি বন্দুক নিয়ে এমন ভাবে যুদ্ধ ঘাঁটি আগলে রেখেছিল সে, আমেরিকান ইউনিয়ন বাহিনী দীর্ঘ ক্ষণ অগ্রসর হতে পারেনি। উল্টো দিকে পেলহ্যামের বাহিনী ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছিল বিরোধী সৈন্যদের। ঝাঁঝরা হয়ে যেতে পারে জেনেও তাদের অবিরাম গুলিবর্ষণের সামনে থেকে নড়েনি পেলহ্যাম। রণক্ষেত্র ছাড়া অন্য কিছু ভালবাসার কথা কখনও মাথাতেই আসেনি তার।

সব ধারণা ওলটপালট হয়ে গেল, যে দিন সে বেসি শেকেলফোর্ডকে প্রথম দেখল। গোলাপি গাউন পরা অষ্টাদশী ভার্জিনিয়ার মেঠো পথ ধরে হেঁটে আসছে, হাতে তার এক গোছা ফুল। দৃশ্যটা পেলহ্যামের মনে আঁকা হয়ে গিয়েছিল। শেকেলফোর্ডরা থাকতেন পেলহ্যামের সামরিক বাসস্থানের উল্টো দিকের রাস্তায়। সৈনিকরা নিয়মিত যেত শেকেলফোর্ডদের বাড়ি। কিন্তু সপ্রতিভ জনের সব কথা ফুরিয়ে যেত বেসির সামনে এলে। যখন এক-এক দিন হাঁটতে বেরোত দু’জনে, জনের আঙুল ছুঁয়ে যেত বেসির আঙুল, তখনও জন বলে উঠতে পারত না, কতটা ভালবেসে ফেলেছে সে বেসিকে।

যুদ্ধে যাওয়ার সময় হল আবার। জন ভেবেছিল যা বলতে পারেনি, চিঠি লিখে জানাবে বেসিকে। ১৮৬৩-এর কেলিস ফোর্ডের যুদ্ধে যোগ দিতে গেল জন। সেখানেই বোমার একটা টুকরো ছিটকে এসে ঢুকে গেল তার মাথায়। রক্তাক্ত জন ঘোড়া থেকে পড়ে গেল মাটিতে। তখন বসন্তকাল। অজস্র বুনো ফুল আর হলুদ ড্যাফোডিলে উজ্জ্বল হয়ে ছিল রণাঙ্গন। সে দিনের যুদ্ধে রক্তাক্ত পদপিষ্ট ফুলগুলিকে মাড়িয়ে সহযোদ্ধারা তাকে ধরাধরি করে নিয়ে ছুটল যুদ্ধক্ষেত্র থেকে দশ-বারো মাইল দূরে শেকেলফোর্ডদের বাড়িতে। প্রচুর রক্তক্ষরণে তত ক্ষণে জ্ঞান হারিয়েছে জন। তার শুশ্রূষা করতে গিয়ে উর্দির পকেট থেকে বেসি পেল চিঠিখানি। কাদা জলে মাখামাখি সেই চিঠি পুরো পড়া গেল না, কিন্তু বেসি বুঝল সবই। পরদিন সকালে জন মারা গেল। তখন তার পঁচিশ বছর বয়স। আলাবামার এক সবুজ ঘাসে ঢাকা মাঠে সমাধিস্থ করা হল জনকে। তাঁর স্মৃতিফলকে লেখা হল, ‘বীর পেলহ্যাম’। বেসি তার চিঠিটা আমৃত্যু রেখে দিয়েছিল নিজের কাছে।

যেখানে যত বারই যুদ্ধ হয়েছে, তার ধ্বংস আর রক্তক্ষয়কে অতিক্রম করে, নস্যাৎ করে তৈরি হয়েছে নতুন নতুন ভালবাসার গল্প। আমেরিকার গৃহযুদ্ধও ব্যতিক্রম নয়। ব্যতিক্রমী স্বভাবের আরাবেলা গ্রিফিথ বাইশ বছর বয়সে নিউ জার্সি থেকে নিউ ইয়র্ক চলে এসেছিলেন গর্ভনেসের কাজ নিয়ে, সমাজের চোখরাঙানি বাড়ির অমত উপেক্ষা করে। নিউ ইয়র্কেই তাঁর সঙ্গে পরিচয় হল ফ্রান্সিস বার্লো নামে এক তরুণের। ফ্রান্সিস ছিলেন আমেরিকার এক মন্ত্রীর ছেলে। মন্ত্রীটি তাঁর তাঁর দুই সন্তান এবং স্ত্রীকে ছেড়ে চলে যাওয়ার পর ফ্রান্সিসের মা একা তাঁর ছেলেদের বড় করেন। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উজ্জ্বল ছাত্রটি আইন নিয়ে পড়তে এলেন নিউ ইয়র্কে। আরাবেলার এক বন্ধু উইনস্লো হোমার তখন চিত্রকর হিসেবে নাম করেছেন। তিনি ডেকেছিলেন আরাবেলাকে। চিত্রকরের ইচ্ছে, আরাবেলার ব্যক্তিত্ব ও সৌন্দর্যকে ধরবেন ক্যানভাসে। ফ্রাঙ্কও সে দিন এসেছিলেন শিল্পীর বাড়িতে। হোমার ছিলেন তাঁর দূর সম্পর্কের ভাই। প্রথম দর্শনেই আরাবেলার প্রেমে পড়লেন ফ্রাঙ্ক। মন দিয়েছিলেন আরাবেলাও। নিন্দা আর সমালোচনার ঝড় উপেক্ষা করে প্রায় দশ বছরের ছোট ফ্রান্সিস বার্লোকে তিনি বিয়ে করলেন। বিয়ের দিনই সৈন্যবাহিনীতে যোগ দিয়ে ওয়াশিংটন রওনা হয়ে গেলেন বার্লো। আরাবেলাও যুদ্ধে আহতদের সেবা করার জন্য নার্সের কাজ নিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের স্যানিটারি কমিশনে যোগ দিয়ে তিনি এলেন ভার্জিনিয়া। ভেবেছিলেন নার্স হলে ফ্রাঙ্কের কাছাকাছি থাকতে পারবেন। কিন্তু তা সম্ভব হল না। অনেক দিন পর স্বামীর সঙ্গে দেখা হল মেরিল্যান্ডে। দীর্ঘ বিচ্ছেদের পর মিলন, কিন্তু সুখের দিন স্থায়ী হল না। আহত সৈন্যদের দেখাশোনা করার জন্য ফের তাঁকে চলে যেতে হল উত্তরে। হাসপাতালের রোগীদের নিয়ে কাটতে লাগল আরাবেলার, আর সারা দিন যুদ্ধক্ষেত্রে রক্তক্ষয় আর নিষ্ঠুরতার মধ্যে কাটিয়ে রাতের বেলা তারাভরা আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতেন বার্লো। হাসপাতালের মৃত্যুর গন্ধ থেকে খানিক ছুটি নিয়ে এক-এক দিন আরাবেলাও চলে আসতেন খোলা আকাশের নীচে। এক সঙ্গে থাকতে চেয়ে যুদ্ধক্ষেত্রের দু’প্রান্তে থাকা দুটো মানুষ এ ভাবেই বোধহয় কাছে পেতেন একে অপরকে। কেটে গেল বহু দিন। দু’জনের দেখাই হত না আর। কখনও কখনও অ্যাম্বুল্যান্স ড্রাইভারের হাতে পাঠানো বা ডাকে আসা চিঠি ছিল যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। এরই মধ্যে যুদ্ধক্ষেত্রে গুরুতর আহত হলেন ফ্রান্সিস বার্লো। কামানের গোলার টুকরো মুখে বিঁধে গিয়েছিল তাঁর। গুলিবিদ্ধও হয়েছিলেন। বাঁচার আশাই ছিল না। আরাবেলা যখন শুনলেন, তখন আর কিছু ভাবেননি তিনি। আহত স্বামীর শুশ্রূষা করতে চলে গেলেন শত্রুপক্ষের ডেরায়। সেখান থেকে বার্লোকে কোনও মতে ফিরিয়ে এনে সুস্থ করে তুললেন তিনি। সেই শেষ এক সঙ্গে থাকা দু’জনের, শেষ দেখাও তখনই। হাসপাতালের স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে কাজ করতে করতে টাইফাসে আক্রান্ত হলেন আরাবেলা। চিন্তিত ফ্রান্সিস হাসপাতাল থেকে দূরে উত্তরে তাঁর এক বন্ধুর কাছে পাঠিয়ে দিলেন। কাজ হল না কিছুই। আরাবেলা মারা যাওয়ার দু’দিন পর তাঁর মৃ্ত্যুসংবাদ পেলেন তাঁর স্বামী। ফ্রান্সিসকে মৃত্যুর মুখ থেকে বাঁচিয়েছিলেন আরাবেলা, অথচ নিজে মারা গেলেন যুদ্ধেই। অসহনীয় বেদনার হাত থেকে নিষ্কৃতি পেতে সব কিছু ছেড়েছুড়ে বার্লো চলে গেলেন বিদেশে। বহু দিন পরে বিয়ে করেছিলেন আরও এক বার। কিন্তু প্রথম স্ত্রীকে ভুলতে পারেননি। মৃত্যুশয্যাতেও তাঁর মুখে ছিল আরাবেলারই নাম।

এর অনেক বছর পর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলছে পুরোদমে, এক বন্দিশিবিরে এক দিন একটি মেয়েকে দেখে থমকে গেল বছর পঁচিশের ছেলেটি। এ যেন সেই স্বপ্নে দেখা মেয়ে! যুদ্ধক্ষেত্রে, ভয়ঙ্কর বোমাবর্ষণে অথবা ট্রেঞ্চে মন শান্ত রাখতে যখন গুনগুন করে সে গেয়ে উঠত এলা ফিটজ়েরাল্ড-এর গান, ‘টেকিং আ চান্স অন লাভ’ তখন এই রকমই একটা মেয়ের মুখ ভেসে উঠত মনে। তাকে সাহস দিত, ভরসা জোগাত। সেই মেয়েটিই তার সামনে! অবাক হয়ে গেল ছেলেটি। উত্তেজনায় বন্দিশিবির, ভয়ানক যুদ্ধ পরিস্থিতি সব কিছু ভুলে মেয়েটির কাছে গিয়ে বলে উঠল সে, “আমার নাম জেনে রাখো তুমি। একদিন আমি বিয়ে করব তোমাকে।” রাগতে গিয়ে মেয়েটি হেসে উঠল জোরে। সাহস কত! এক নাৎসি বন্দি বিয়ে করতে চায় কিনা এক আমেরিকান সেনা আধিকারিককে! ঘর থেকে বেরিয়ে গেল এলিনর পাওয়েল। কিন্তু কথাটা মনে রয়ে গেল।

এলিনর কৃষ্ণাঙ্গ হলেও বড় হয়ে উঠেছে বোস্টনে শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে। তার ঠাকুমা ছিলেন ক্রীতদাসী। কিশোরী বয়সে তিনি পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন উত্তরে। এই ঘটনা প্রবল প্রভাব ফেলেছিল এলিনরের মধ্যে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর সে দেখল, যুদ্ধে শ্বেতাঙ্গ আমেরিকানদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ছে কৃষ্ণাঙ্গরা, তাও সর্বত্র চূড়ান্ত বৈষম্য। সমস্ত সম্মানজনক কাজ থেকে বাদ রাখা হয়েছে কৃষ্ণাঙ্গদের। দক্ষিণ অ্যারিজোনার ক্যাম্প ফ্লোরেন্সে কাজে যোগ দিতে এল এলিনর নার্স হিসেবে। তার কিছু দিন আগে সেখানে যুদ্ধবন্দি হিসেবে নিয়ে আসা হয়েছিল জার্মানির বিমান বাহিনীর চিকিৎসক ফ্রেডরিক অ্যালবার্টকে। তুখোড় ইংরেজি বলা সপ্রতিভ ছেলেটি ছোটবেলা থেকেই আমেরিকান সংস্কৃতির ভক্ত। বিলি হলিডে’র জ্যাজ় শুনে কৈশোর কাটানো ফ্রেডরিক প্রথম
দর্শনেই প্রেমে পড়েছিল দীর্ঘাঙ্গী তরুণীটির। কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি বৈষম্যে প্রবল ক্ষুব্ধ এলিনর প্রথমে খানিকটা বিদ্রোহ করেই সাড়া দিল ফ্রেডরিকের প্রেমে। ক্যাম্পে নাৎসি যুদ্ধবন্দির সঙ্গে প্রেমের অপরাধে কোর্ট মার্শাল হতে পারত এলিনরের। কিন্তু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে খবর পৌঁছতে দিল না বাকি নার্সরাই। এক রাতে ব্যারাক থেকে বেরিয়ে প্রেমিকার ঘরে যেতে গিয়ে গার্ডের হাতে ধরা পড়ে বেধড়ক মার খেল ফ্রেডরিক। কিন্তু কিছুতেই গার্ড তার মুখ থেকে বার করতে পারল না, অত রাতে সে গিয়েছিল কোথায়।

যুদ্ধ শেষ হল এক দিন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলি তখন সতর্ক, বহু নিয়মকানুন চালু। নিষিদ্ধ এই প্রেমের জায়গা হল না কোথাও। জার্মান যুদ্ধবন্দির আমেরিকাতে বসবাস করা অসম্ভব। একমাত্র উপায়, এলিনরের আমেরিকান সন্তানের পিতৃত্ব। সন্তান এল, কিন্তু তাও কোনও জায়গায় ঠাঁই হল না যুগলের। কোথাও সমস্যা কৃষ্ণাঙ্গী এলিনর, কোথাও ফ্রেডরিকের নাৎসি পরিচয়। অজস্র ঝড়ঝঞ্ঝার মধ্যে দিয়ে গিয়ে এক সময় নরওয়াকের এক গ্রামে থিতু হল তারা। সেখানে নিজের ব্যবসা শুরু করল ফ্রেডরিক। বহু বছর আগে এলিনরকে প্রেমপ্রস্তাব দেওয়ার সময় বন্দিশিবিরে মার খেয়ে, লুকিয়ে যে অ্যাপল পাই টার্ট বানিয়েছিল সে, সেটাই ছিল তার খামারের রেস্তরাঁর সিগনেচার খাবার।

কথিত, অকথিত এমন বহু প্রেমের সাক্ষী থেকেছে নানা যুদ্ধবিগ্রহ। যুদ্ধ থামেনি, কিন্তু তার ক্ষয়, তীব্র যন্ত্রণার কাছে মাথাও নিচু করেনি প্রেম। হানাহানি বিদ্বেষ বধ করতে পারেনি তাকে। মনুষ্যত্ব তাই অবিনশ্বর, চিরকালই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Short story
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE