Advertisement
E-Paper

পরিবেশ: শ্যাম রাখি, না কুল?

শুধু চেঁচালেই হবে? গলদ যে গোড়ায়। আরাম-আয়েশ বেশি চাইলে পৃথিবী বিপন্ন হবেই। সভ্যতার অগ্রগতি = এনার্জি খরচ। পথিক গুহশুধু চেঁচালেই হবে? গলদ যে গোড়ায়। আরাম-আয়েশ বেশি চাইলে পৃথিবী বিপন্ন হবেই। সভ্যতার অগ্রগতি = এনার্জি খরচ। পথিক গুহ

শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০১৭ ১২:৩০
ছবি: রৌদ্র মিত্র

ছবি: রৌদ্র মিত্র

বাইরে বৃষ্টি। প্রায় অঝোর ধারায়। সল্টলেকে সাহা ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার ফিজিক্স এবং ভেরিয়েব্‌ল এনার্জি সাইক্লোট্রন সেন্টার-এর অডিটোরিয়ামে চলছে বক্তৃতা। দিচ্ছেন শ্রীকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। কয়েক বছর আগের কথা। তখন তিনি ভারতের পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান। অর্থাৎ, এ দেশে পরমাণু থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের দায়িত্বে সবচেয়ে বড় সরকারি আমলা। আর, সেই সুবাদে, ভারতে পরিবেশবাদী আন্দোলনকারীদের চোখে এক জন বড়সড় ‘শত্রু’। তো তাঁর বক্তৃতা থেমে গেল হঠাৎ। থেমে গেল মানে, শ্রীকুমার ভাষণ বন্ধ করতে বাধ্য হলেন। কেন? কেন আবার, বাইরে চিৎকার, চেঁচামেচি। এতটাই যে, বন্ধ অডিটোরিয়ামেও সে সব শোনা যাচ্ছে। শ্রীকুমার তাই বাধ্য হয়েছেন বক্তৃতা থামাতে।

কী ব্যাপার? বাইরে এসে দেখা গেল তা। সাহা ইনস্টিটিউট আর সাইক্লোট্রন-এর নিরাপত্তারক্ষী বেষ্টিত পাঁচিলের ও পারে জনা দশেক তরুণ। তাদের হাতে প্ল্যাকার্ড। বৃষ্টির জলে তাতে লেখা মুছে গেছে। কিন্তু তরুণ দলের মুখে স্লোগান চেনাল তাদের। ‘হরিপুরে অ্যাটমিক পাওয়ার প্ল্যান্ট— চাই না, চাই না।’ ‘পরমাণু শক্তি দফতর— পশ্চিমবাংলা থেকে দূর হটো, দূর হটো।’

বোঝা গেল। বৃষ্টি উপেক্ষা করে রাস্তায় দাঁড়িয়ে যে তরুণেরা স্লোগান দিচ্ছে, তারা পরিবেশবাদী আন্দোলনে শামিল। শ্রীকুমার যে সংস্থার চেয়ারম্যান, তা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হরিপুরে পরমাণু চুল্লি গড়তে চায়। পরমাণু থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন এমন এক প্রযুক্তি, যাতে পরিবেশ কলুষিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। থাকে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা। তাই হরিপুরে নতুন চুল্লি গড়ার বিরুদ্ধে জেহাদ। চেঁচামেচির কারণ জানার পর শ্রীকুমার ফের শুরু করলেন বক্তৃতা। যেন কিছুই হয়নি।

কিন্তু, কিছু তো হল নিশ্চয়ই। ওই যে কয়েক জন তরুণ— হতে পারে সংখ্যায় নগণ্য— বৃষ্টি মাথায় নিয়ে হরিপুরে পরমাণু চুল্লি তৈরির প্রতিবাদ করল। ওটা এক বিশেষ চিন্তা। এক উদ্বেগ। এই পৃথিবী যে ক্রমেই মানুষের বাসের অযোগ্য হয়ে উঠছে, সেই দুশ্চিন্তা। এ ভাবনা সাধু।

আর পদক্ষেপ? তা-ও কি বিচক্ষণ? নাহ্‌, তা বলা যাচ্ছে না। পরিবেশ দূষণের বিরুদ্ধে যদি প্রতিবাদ জানাতে হয়, তা হলে তো বড় বড় শপিং মল, গাড়ি কিংবা রেফ্রিজারেটর উৎপাদনকারী কোম্পানির সামনে বিক্ষোভ দেখানো উচিত। আপত্তি জানানো উচিত এয়ার কুলার বিক্রিরও। মানুষের আরাম-আয়েশ নিশ্চিত করে যত উপকরণ, তার সব কিছু থেকে দূরে থাকলে পরিবেশ দূষণ কমে। কারণ, ওই আরাম-আয়েশের উপকরণগুলো চালু রাখতে এনার্জি লাগে। এনার্জি আসে জ্বালানি পুড়িয়ে। আর জ্বালানি পোড়ানো মানে পরিবেশ দূষণ। অগ্রগতি আর উন্নতির পূর্বশর্ত মানুষের আরাম-আয়েশ বৃদ্ধি। নিন্দুকেরা যাকে বলেন ভোগবাদ। ভোগের এমন কোনও সামগ্রী নেই, যা এনার্জি খায় না। তাই পরিবেশ দূষণ নিয়ে চেঁচানোর আগে সমৃদ্ধি সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের উপাদানগুলোর কথা ভাবা দরকার। পরমাণু চুল্লির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানালে শপিং মলগুলোর সামনে দাঁড়িয়েও খদ্দের ফেরানো উচিত। তাতে যদি ‘জনগণ’ খেপে যায় তো, সেও ভি আচ্ছা।

বিজ্ঞান তো কবেই বলে দিয়েছে পরিবেশের বিপদের কথা। ১৮৫৯ খ্রিস্টাব্দে পদার্থবিদ জন টিন্ডাল চিহ্নিত করেছিলেন পরিবেশের বিশেষ শত্রুটিকে। কী? কার্বন ডাই-অক্সাইড। টিন্ডাল পরীক্ষা করে দেখিয়েছিলেন, ওই গ্যাস শুষে নেয় অবলোহিত আলো। মানে, যে আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য লাল আলোর চেয়ে বেশি। পরিণাম? সূর্যের আলো এবং তাপ বায়ুমণ্ডল ভেদ করে পৌঁছয় পৃথিবীর মাটিতে। মাটি উত্তপ্ত হয়। এবং তাপ ছাড়ে। সে তাপ ফেরত যেতে পারে না মহাশূন্যে। বাতাসে উপস্থিত কার্বন ডাই-অক্সাইড তা শুষে নেয়। বাতাস গরম হয়। সে আবার তাপ ফেরত পাঠায় মাটিতে। গ্রিনহাউস এফেক্ট।

টিন্ডাল-এর পর রসায়নবিদ ভান্টে আরহেনিয়াস। যিনি নোবেল প্রাইজ পেয়েছিলেন ১৯০৩ খ্রিস্টাব্দে। তিনি বুঝেছিলেন শিল্প বিপ্লব আশীর্বাদ নয়, অভিশাপ। কারণ ওই একই। কলকারখানা-নিঃসৃত কার্বন ডাই-অক্সাইড। আবহাওয়ায় কতটা প্রভাব ফেলবে ওই গ্যাস, তারও একটা
হিসেব আরহেনিয়াস কষেছিলেন ১৮৯৬ সালে। দেখিয়েছিলেন, তখন পৃথিবীর বাতাসে কার্বন ডাই-অক্সাইডের যা পরিমাণ, সেটা বেড়ে দ্বিগুণ হলে পৃথিবীর উষ্ণতা বাড়বে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একশো কুড়ি বছর আগের গণনা আজকের বিচারেও প্রায় নির্ভুল।

কার্বন ডাই-অক্সাইডের কী মহিমা! বাতাসে উপস্থিত তো নগণ্য পরিমাণে! দশ হাজার ভাগে মাত্র চার ভাগ। তাতেও এত বিপজ্জনক হওয়ার ক্ষমতা রাখে ওই গ্যাস।

অথচ, এক দল গবেষক বহু কাল ধরে বিরোধী কথাবার্তা বলে পুরো ছবিটা উলটে পালটে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ওঁরা প্রশ্ন তুলেছেন নানা রকম। পৃথিবী কি সত্যিই উষ্ণ হচ্ছে? এতে মানুষের দায় কতটা? কার্বন ডাই-অক্সাইড কি বায়ুদূষণের জন্য দায়ী? বিশ্ব উষ্ণায়ণ এবং কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি এই গ্রহের পক্ষে অপকারী না উপকারী? গেল-গেল রব তুলছেন যে সব বিজ্ঞানীরা, তাঁরা গবেষণায় আর্থিক অনুদান বেশি পাওয়ার আশায় ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করছেন না তো? প্রশ্নগুলো কতটা যুক্তিসংগত, সে বিতর্ক পরে। আগে এ কথা বলা দরকার যে, এ ধরনের প্রশ্ন তুললে পরিবেশ সচেতনতার মূলে কুড়ুল মারা হয়। মনে হয়, মানুষের আরাম-আয়েশ বাড়ানোর বেসাতি উৎপাদন যে সব শিল্প সংস্থার লক্ষ্য, তাদের ব্যবসার স্বার্থে কথা বলা হচ্ছে। হ্যাঁ, ব্যবসা বড় বালাই। প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লু বুশ তো বহু কাল পরিবেশরক্ষার নানা ব্যবস্থা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন এই সদম্ভ ঘোষণায় যে, তাঁর দেশের ব্যবসাদারদের কোনও ক্ষতি তিনি বরদাস্ত করবেন না। চুলোয় যাক পরিবেশ!

ব্যবসা বাঁচাতে গেলে যে পরিবেশ বাঁচে না, ব্যবসার ক্ষতি করার সাহস দেখালে যে পরিবেশের লাভ হয়, তার বড় উদাহরণ ক্লোরোফ্লুরোকার্বন (সিএফসি)। সেই রাসায়নিক যৌগ, যা ব্যবহার করা হয় কুলিং সিস্টেমে, আগুন নেভাতে, হেয়ার স্প্রে কিংবা ডিয়োডোরেন্টে। যৌগটা যে ক্ষতিকর, তা ১৯৭৪ সালে প্রথম বললেন দুই রসায়নবিদ শেরি রোল্যান্ড এবং মারিও মলিনা। ওঁরা দুজনে দেখালেন, সিএফসি ফুটো করে দিচ্ছে বায়ুমণ্ডলের ওপরের দিকে ওজোন গ্যাসের চাদরে। ও চাদর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ও চাদর আছে বলে সূর্যের অতিবেগুনি আলো সরাসরি আসতে পারে না পৃথিবীতে। একটা বর্মের মতো ওই ওজোন চাদর ওই রশ্মি আটকায়। অতিবেগুনি আলো পৃথিবীতে প্রাণীর পক্ষে ক্ষতিকর।

কিন্তু দরকারি বলে পৃথিবী জুড়ে সিএফসি-র উৎপাদন বছরে বছরে ১০ শতাংশ হারে বাড়ছিল। রোল্যান্ড এবং মলিনা সিএফসি যৌগের ক্ষতিকর প্রভাব প্রমাণ করার পর সংবাদমাধ্যমে শোরগোল উঠল। বন্ধ হল সিএফসি-র বেহিসেবি ব্যবহার। শুরু হল তার বদলে অন্য রাসায়নিকের খোঁজ। যে সিএফসি-র উৎপদন বছরে ১০ শতাংশ
করে বাড়ছিল, তা এক লাফে নেমে গেল শূন্য শতাংশে। অনেক সিএফসি উৎপাদক কোম্পানি বন্ধ হয়ে গেল।

পরিবেশবাদী বিজ্ঞানী বিল ম্যাককিবেন মনে করেন মানুষের সবচেয়ে বড় অভ্যাস— সবচেয়ে বড় অসুখও বলা যায়— হল ‘গ্রোথ’। বৃদ্ধি। একখানি বই লিখেছেন তিনি। 'Eaarth: Making a Life on a Tough Planet'। পৃথিবী ওঁর কাছে Earth নয়, Eaarth। কারণ মানুষ নিজের আচরণে বদলে ফেলেছে সৌর পরিবারের এই তৃতীয় গ্রহটিকে। কেমন সে আচরণ? অর্থনৈতিক উন্নতির গত ২০০ বছরের বস্তাপচা মডেলের অন্ধ অনুকরণ। যার মূল দর্শন আগামিকাল নয়, আজ। খাও-পিয়ো-জিয়ো। ভবিষ্যতের কথা পরে ভাবলেও চলবে।

মনে পড়ছে এক সাক্ষাৎকারে এই লেখককে এক তথ্য জানিয়েছিলেন ভারতীয় দার্শনিক জিতেন্দ্রনাথ মোহান্তি। যিনি অধ্যাপনা করেন আমেরিকায়। তথ্যটা এই যে, ও দেশে তাবড় তাবড় বিজনেস স্কুলে এখন নীতিশিক্ষা পড়ানোর ডাক পাচ্ছেন এই ভারতীয় মাস্টারমশাই। কেন? দেখা গিয়েছে, এ শতাব্দীর প্রথম দশকের শেষে বাজারে নেমে এসেছিল যে মন্দা, তার আগমনবার্তা টের পাননি মোটা ডলার মাইনের বিজনেস ম্যানেজাররা। বা টের পেলেও আমল দেননি তখন। দু’দিন-বই-তো-নয় ভেবে বুঁদ হয়ে ছিলেন খাও-পিয়ো-জিয়ো নিয়ে। নীতিবোধ থাকলে নাকি ম্যানেজাররা হতেন সাবধান।

জন ব্রুমি, যিনি নীতিদর্শন পড়ান অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে, তিনি মনে করেন, পরিবেশের সমস্যা মানুষের নীতিবোধের সমস্যা। অর্থনীতি কিংবা বিজ্ঞান খুঁজে পেতে পারে পরিবেশ দূষণের উৎস কিংবা প্রতিক্রিয়া। কিন্তু সমস্যা মোকাবিলায় কী করা উচিত, সেটা আদ্যন্ত নীতিবোধের ইস্যু। কেন? উচিত-অনুচিতের প্রশ্নে স্বার্থ-পালটা স্বার্থের ব্যাপার এসে পড়ে। পরিবেশ দূষণ ঠেকাতে গেলে বড়লোকদের আরাম-আয়েশ কমাতে হবে। আরাম-আয়েশের সঙ্গে পরিবেশ দূষণ জড়িত।

ব্রুমি সম্প্রতি লিখেছেন, ‘পরিবেশ দূষণ অনেকগুলো নীতিবোধের প্রশ্ন তুলে দেয়। কেমন করে আমরা— যারা বেঁচে আছি আজ— ভাবব ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সুখস্বাচ্ছন্দ্যের বিষয়টা, যখন জানি যে, ওদের হাতে থাকবে আমাদের চেয়ে বেশি ভোগ্য সামগ্রী? অনেক মানুষ, যারা আজ জীবিত বা কাল জন্মাবে, মারা যাবে পরিবেশ দূষণের ফলে। প্রত্যেক মৃত্যুই কি সমান বেদনার? অনেকে তো মারা যাবে সন্তানের জন্মদানের আগে, সুতরাং পরিবেশ দূষণ তো সে সব শিশুকে জন্মাতে দেবে না। তাদের এই পৃথিবীতে না-আসা কি বেদনার? পরিবেশ দূষিত করে ধনীরা কি দরিদ্রের উপর অবিচার করছে? সবাই জানে অন্যের ক্ষতি করে নিজের ভাল করা অন্যায়। কিন্তু অন্যের ক্ষতি না-করে কি নিজের ভাল করা সম্ভব? ভবিষ্যতে ভালর জন্য বর্তমানে কতটা মন্দ গ্রহণযোগ্য? কোনটা বেশি খারাপ— ২১১৭ সালে এক শিশুর মৃত্যু, না আজ এক শিশুর?’ নিছক কতকগুলো প্রশ্ন নয় ওগুলো, গূঢ় এক-একটা ইস্যু। আর প্রত্যেকটা এথিক্স-সংক্রান্ত। হ্যাঁ, ওই এথিক্স পরিবেশ সমস্যার মূলে। সুতরাং, তার সমাধানের জন্যও আগে ভাবা দরকার ওই বিষয়টা।

এ প্রসঙ্গে মনে পড়ছে এক ব্যাপার। এক সময় অ্যাপল কম্পিউটার কোম্পানির বিজ্ঞাপনী প্রচার অভিযান বেশ চমক সৃষ্টি করেছিল। চমক তো বিজ্ঞাপনেরই অঙ্গ। তো সেই অ্যাড ক্যাম্পেন-এর স্লোগান ছিল ‘থিংক ডিফারেন্ট’। অন্য ভাবে ভাবুন। ভাবখানা এই যে, কম্পিউটার তো বানায় অনেক কোম্পানিই, কিন্তু তাদের মধ্যে অ্যাপল স্বতন্ত্র মহিমায় উজ্জ্বল। ভাল কথা। ‘থিংক ডিফারেন্ট’ অ্যাড ক্যাম্পেন চলেছিল অনেক দিন। আর, তাতে ভিজুয়াল হিসেবে অবতীর্ণ হয়েছিলেন অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব। আলবার্ট আইনস্টাইন, পাবলো পিকাসো, মহম্মদ আলি প্রমুখ। ব্যক্তিত্বের মিছিলে সবাই যে ব্যতিক্রমী, তা বলাই বাহুল্য। তো সেই ব্যতিক্রমের ভিড়েও ব্যতিক্রম ছিলেন এক জন। মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধী। বিজ্ঞাপনের ছবিতে তিনি চরকা কাটছেন। তাঁর সেই বিখ্যাত ছবি।

বহু-প্রশংসিত অ্যাড ক্যাম্পেনের ওই একটি আইটেম পছন্দ হয়নি অনেকের। ‘থিংক ডিফারেন্ট’ স্লোগান গাঁধীজির পক্ষে খুবই জুতসই। তাঁর ভাবনা সত্যিই ‘স্বতন্ত্র’ আখ্যার যোগ্য। কিন্তু, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে গাঁধীজি! চরকার সঙ্গে পারসোনাল কম্পিউটার! বেঁচে থাকলে তিনি ওই বিজ্ঞাপনে সায় দিতেন?

গাঁধীজি আসলে পরিবেশ পারসনিফায়েড। আর পারসোনাল কম্পিউটার হল আধুনিক জীবনযাপন। এ দুইয়ের মাঝখানে দুস্তর ব্যবধান। শ্যাম রাখি, না কুল?

Environment Civilization Energy
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy