• আমি ইংরেজির voice change করতে পারি না, আর অঙ্ক না পারলে হতোদ্যম হয়ে পড়ি। কী করব?
সাগ্নিক বড়াল। নবম শ্রেণি, অনুকূলচন্দ্র হাই স্কুল, গড়িয়া
সাগ্নিক, আমার মনে হচ্ছে তুমি ‘ভয়েস চেঞ্জ’ ব্যাপারটা ভাল করে বোঝোনি। আগে অ্যাক্টিভ ভয়েস, প্যাসিভ ভয়েস ব্যাপারটাকে ভাল করে বুঝে নাও। প্রয়োজন হলে বাংলায় ভাববাচ্য কাকে বলে, ভাল করে বুঝে নাও। তার পর টেস্ট পেপার-এর অনুশীলনীগুলো করো। অ্যাক্টিভ ভয়েস-কে প্যাসিভ ভয়েস-এ পরিবর্তিত করতে হলে একটু ইংরেজির উপর দখল থাকতে হবে। সেটা প্র্যাক্টিসের মাধ্যমেই আসবে।
অঙ্ক না-পারায় হতোদ্যম কেন হও? কোথাও কি তুমি ধরে রেখেছ যে, সব অঙ্ক তুমি একবারে করে ফেলবে? সেটা তো হয় না। কিছু অঙ্ক কঠিন, কিছু অঙ্ক তুলনামূলক ভাবে সহজ। অঙ্ক আমাদের সবাইকে খুব মনোযোগ দিয়ে করতে হয়। প্রত্যেকটা স্টেপ লিখে-লিখে অঙ্ক করো। খাতায় প্রত্যেকটা স্টেপ উপর থেকে নীচে পরপর লিখবে, পাশাপাশি নয়। তা হলে কোন স্টেপে ভুল করেছ, চট করে ধরা পড়ে যাবে। হতোদ্যম না হয়ে, অঙ্ককে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নাও। ভুলটা শুধরে ঠিক করে নাও। নিশ্চয় পারবে।
• আমার অনেকগুলি সমস্যা। ১) আমি খুব ধীরে ধীরে লিখি, পরীক্ষার সময় সব প্রশ্নের উত্তর করে আসতে পারি না ফলে নম্বর কম পাই। ২) তাড়াতাড়ি লিখতে গেলে হাতের লেখা খারাপ হয়ে যায়। ৩) পড়ার সময় অন্যমনস্ক থাকি। ৪) খুব কথা বলি। ৫) খুব গল্পের বই পড়ি। ৬) কঠিন অঙ্ক করতে পারি না। ৭) কোনও কাজ করতে ভাল লাগে না।
রুদ্রাণী কুণ্ডু। পঞ্চম শ্রেণি, হোলি ফ্যামিলি গার্লস হাই স্কুল, কৃষ্ণনগর
রুদ্রাণী, মনে হচ্ছে তোমার সব সমস্যার মূল একটা জায়গায়। তুমি খুব কল্পনার জগতে বাস করো। গল্পের বইয়ের জগৎই তোমার জগৎ। এই বাস্তব জীবনের পড়াশোনা কাজ সব কিছুই তোমার কাছে কঠিন বা বোরিং লাগে।
রুদ্রাণী, চিঠিতে তোমার হাতের লেখা বেশ ভাল। বোঝা যায়, তুমি খুব ধরে ধরে লিখেছ। হাতের লেখা অভ্যেস করো। পরীক্ষার খাতায় তাড়াতাড়ি লিখতে হয়। তখন সকলেরই হাতের লেখা একটু খারাপ হয়ে যায়। হাতের লেখা অন্তত যাতে পরিষ্কার থাকে, সেই চেষ্টা করো।
গল্প বই পড়া খুব ভাল, কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত কোনও কিছুই ভাল নয়। ঠিক করে নাও যে আগে পড়া শেষ করবে, মন দিয়ে বিষয়গুলো বুঝবে, তার পরে গল্প বই পড়বে। তা হলে তোমার সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। কারণ, তোমার সমস্যার মূল একটি জায়গাতেই— কল্পনার জগতে বাস করা আর তার ফলে পড়াশোনার প্রতি অমনোযোগ। এটা ঠিক করে নাও, বাকি সব আপনিই ঠিক হয়ে যাবে।
খামে ভরো মুশকিল
পড়াশোনা, শিক্ষক বা বন্ধুদের নিয়ে তোমার যা মুশকিল, জানাও আমাদের। চিঠির উত্তর দেবেন সাইকো-অ্যানালিস্ট পুষ্পা মিশ্র, বেথুন কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ।
চিঠিতে তোমার নাম আর ক্লাস জানাতে ভুলো না। খামের উপরে লেখো:
ইসকুলে মুশকিল,
রবিবারের আনন্দমেলা, আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬, প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১