E-Paper

হৃদয়ের রক্ত দিয়ে অর্জিত সম্মান কারও কাছে বিক্রি করা যায় না

ব্রিটিশ শাসক যখন নানা আইন প্রণয়ন করে দেশীয় সংবাদপত্রের স্বাধীনতা কেড়ে নিতে চেয়েছিল, তখন প্রতিবাদে এই কথাই বলেছিলেন রাজা রামমোহন রায়। তিনটি সংবাদপত্র চালাতেন তিনি। তিনি ছিলেন আধুনিক সংবাদপত্রের অন্যতম পথিকৃৎ। সংবাদপত্র ও মুদ্রণযন্ত্র ব্যবহারের অধিকার বিষয়েও তিনি অত্যন্ত সচেতন ছিলেন।

সুজিত দাস

শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২৫ ০৫:৪০
পথিকৃৎ: সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায় রাজা রামমোহন ছিলেন সর্বদা সক্রিয়।

পথিকৃৎ: সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায় রাজা রামমোহন ছিলেন সর্বদা সক্রিয়।

রাজা রামমোহন রায় ১৮১৪ সালে পাকাপাকি ভাবে কলকাতায় বসবাস শুরু করেন। কলকাতায় আসার পর তিনি শুধু ধর্মীয় ও সামাজিক সংস্কারের কাজেই যে শুধু ব্যস্ত ছিলেন এমন নয়, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডেও যথেষ্ট উৎসাহ দেখিয়েছিলেন, উদ্যোগ করেছিলেন। এর মধ্যে সংবাদপত্র প্রকাশ একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ, যা তিনি অত্যন্ত যত্ন সহকারে করেছিলেন।

সংবাদপত্রের একেবারে আদিলগ্নে যে সব মানুষ ভারতের নানা স্থানে নানা ভাবে পথিকৃতের ভূমিকা গ্রহণ করেন, রামমোহন রায় তাঁদের অন্যতম। সংবাদপত্র প্রকাশের পাশাপাশি সংবাদপত্র ও মুদ্রণযন্ত্রের স্বাধীনতা বিষয়েও তিনি অত্যন্ত সচেতন ছিলেন। সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হলে তার সক্রিয় প্রতিবাদ ও বিরোধিতা করেছিলেন। রামমোহন রায় এই সময়ে যে ক’টি সংবাদপত্র প্রকাশ করেছিলেন সেগুলি হল— ‘ব্রাহ্মনিক্যাল ম্যাগাজ়িন— ব্রাহ্মণ সেবধি’ (সেপ্টেম্বর ১৮২১), ‘সম্বাদ কৌমুদী’ (ডিসেম্বর ১৮২১) এবং ‘মীরাৎ-উল-আখবার’ (এপ্রিল ১৮২২)। এর মধ্যে প্রথমটি ইংরেজিতে, দ্বিতীয়টি বাংলায় এবং শেষেরটি ফারসি ভাষায়। এই সময় তিনি কয়েক মাসের জন্য আরও একটি সংবাদপত্রের অন্যতম স্বত্বাধিকারী হন, পত্রিকাটির নাম ‘বেঙ্গল হেরাল্ড’ (৯ মে ১৮২৯)।

এক-এক করে আসব তাঁর প্রকাশিত কাগজগুলির কথায়।

সম্বাদ কৌমুদী (ডিসেম্বর ১৮২১) খুবই উচ্চমানের সাপ্তাহিক পত্রিকা ছিল। এতে বহু গভীর বিষয়ের প্রবন্ধ ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা থাকত। ‘সম্বাদ কৌমুদী’র কোনও কপি এখন আর পাওয়া যায় না। তবে এতে প্রকাশিত বিভিন্ন লেখা পরবর্তী কালে বিভিন্ন জায়গায় প্রকাশিত হয়। সেখান থেকে কিছু কিছু লেখা সংগৃহীত রয়েছে, যা থেকে আমরা জানতে পারি কী ধরনের প্রবন্ধ সেখানে ছাপা হত।

জনৈক পাদ্রিসাহেব ছাত্রদের শিক্ষার জন্য ‘বঙ্গীয় পাঠাবলী’ নামক একটি বই প্রস্তুত করেন, কলকাতা স্কুল বুক সোসাইটি ১৮৫৪ খ্রিস্টাব্দে বইটি প্রকাশ করে। এই বইটিতে ‘সম্বাদ কৌমুদী’র বেশ কয়েকটি প্রবন্ধ সঙ্কলিত হয়েছিল। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮৭৪ সালের প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য বাংলা বইতে ‘সম্বাদ কৌমুদী’র কয়েকটি প্রবন্ধ ছিল। বাবু রাজনারায়ণ বসু প্রকাশিত রামমোহন রায়ের ‘গ্রন্থাবলী’র মধ্যে ‘সম্বাদ কৌমুদী’র বেশ কয়েকটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে ‘বিবাদ ভঞ্জন’ নামের একটি হিতোপদেশপূর্ণ বাংলা গল্প আছে। এটি রামমোহন রায়ের রচনা, ১৮২৩ সালের ‘সম্বাদ কৌমুদী’তে ছাপা হয়েছিল। এ ছাড়াও ‘প্রতিধ্বনি’, ‘অয়স্কান্ত’, ‘চুম্বকমণি’, ‘মকর মৎস্যের বিবরণ’, ‘বেলুনের বিবরণ’, ‘মিথ্যাকথন’, ‘বিচারজ্ঞাপক ইতিহাস’, ‘ইতিহাস’ প্রভৃতি প্রবন্ধ ১৮২৪ সালের ‘সম্বাদ কৌমুদী’তে ছাপা হয়।

১৮৫২ সালে পাদ্রি লঙ সাহেব, প্রকাশিত বাংলা পুস্তকের এক তালিকা তৈরি করেন— তাতে ‘সম্বাদ কৌমুদী’ ১৮২০ সালে প্রথম প্রকাশিত হয় বলে উল্লেখ করেন। ‘সম্বাদ কৌমুদী’তে রামমোহন রায় রাজনীতি, ধর্মনীতি, বিজ্ঞান, ইতিহাস ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে নিয়মিত প্রবন্ধ লিখতেন। অর্থাৎ সে কালে যা কিছু প্রাসঙ্গিক, যা কিছু জনগণের হিতকর ও শিক্ষামূলক, তা নিয়ে আলোচনা করতেন। জানা যায় ‘সম্বাদ কৌমুদী’র শিরোনামে এই সংস্কৃত শ্লোকটি লেখা থাকত—

“দর্পণে বদনং ভাতি দীপেন নিকটস্থিতং।

রবিনা ভুবনং তপ্তং কৌমুদ্যা শীতলং জগৎ॥”

এই শ্লোকটি সম্ভবত রামমোহন রায় রচিত। অর্থ, আমরা আয়নায় নিজের মুখ দেখতে পাই। প্রদীপের শিখা আমাদের কাছাকাছি থাকা জিনিসকে উদ্দীপ্ত করে। সূর্য সমগ্র পৃথিবীকে উত্তপ্ত করেআর কৌমুদী, অর্থাৎ চন্দ্রের জ্যোৎস্না জগৎকে শীতল করে।

শ্রীরামপুরের এক ব্যাপটিস্ট মিশনারি ১৮২১ সালে ১৪ জুলাই ‘সমাচার দর্পণ’ পত্রিকায় হিন্দুধর্মকে আক্রমণ করে এক পত্র প্রকাশ করেন। তাঁর উত্তরে রামমোহন রায় ‘ব্রাহ্মণ সেবধি’ নামে একটি পত্রিকা প্রকাশ করেন। ‘ব্রাহ্মনিক্যাল ম্যাগাজ়িন’ নামে তা ইংরেজিতে প্রকাশিত হয়। ১৮২১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর অবধি এর তিনটি খণ্ড প্রকাশিত হয়। বাবু রাজনারায়ণ বসু ও আনন্দচন্দ্র বিদ্যাবাগীশ লিখেছেন, শিবপ্রসাদ শর্মার নামে প্রকাশিত হলেও আদতে রামমোহন রায়ই এর আসল প্রকাশক। এর ১২টি সংখ্যা প্রকাশিত হয়, কিন্তু মাত্র তিনটি সংখ্যা পাওয়া যায়। পরবর্তী কালে ১৮২৩ সালে প্রকাশিত ‘ব্রাহ্মনিক্যাল ম্যাগাজ়িন’-এর আরও একটি সংখ্যা উদ্ধার করা যায়।

ফারসি ভাষায় প্রকাশিত ‘মীরাৎ-উল-আখবার’ (এপ্রিল ১৮২২) পত্রিকা নিয়ে রাজশক্তির সঙ্গে রামমোহন রায়ের বিরোধ তৈরি হয়। রামমোহন রায় সংবাদপত্র ও মুদ্রণযন্ত্রের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করতেন। সেই কারণে ১৮২৩ সালে যখন সরকার আইন করে যে, সংবাদপত্র প্রকাশ করতে হলে সরকারের কাছ থেকে লাইসেন্স নিতে হবে, তখন তিনি তা নিষ্প্রয়োজন ও অসম্মানসূচক মনে করেন। এই বিরোধিতার কথা ‘মীরাৎ-উল-আখবার’-এর একটি অতিরিক্ত সংখ্যায় প্রকাশ করেন এবং ‘মীরাৎ-উল-আখবার’-এর গ্রাহকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়ে প্রতিবাদে এই পত্রিকা প্রকাশ বন্ধ করে দেন। ‘মীরাৎ-উল-আখবার’-এর অতিরিক্ত সংখ্যায় তিনি যা লিখেছিলেন, অবশ্যই ফারসি ভাষায়, তাঁর বঙ্গানুবাদ আমি দেওয়ার চেষ্টা করলাম। বঙ্গানুবাদটি ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে পাওয়া।

‘মীরাৎ-উল-আখবার’— শুক্রবার ৪ এপ্রিল ১৮২৩ (অতিরিক্ত সংখ্যা)

“পূর্বেই জানানো হয়েছিল যে, মহামান্য গবর্নর জেনারেল ও তাঁহার কৌন্সিল দ্বারা একটি আইন ও নিয়ম প্রবর্তন করা হয়েছে, যাঁর ফলে এরপর থেকে এই নগরে পুলিশ আপিসে সংবাদপত্রের স্বত্ত্বাধিকারীর দ্বারা হলফ (affidavit) না করিয়ে ও গবর্মেন্টের প্রধান সেক্রেটরীর থেকে লাইসেন্স না নিয়ে কোন দৈনিক, সাপ্তাহিক বা সাময়িক পত্র প্রকাশ করা যাবে না এবং এর পরও যদি পত্রিকা সম্বন্ধে গবর্নর-জেনারেল অসন্তুষ্ট হন তবে এই লাইসেন্স প্রত্যাহার করতে পারবেন। এখন জ্ঞাত করা যাচ্ছে যে, ৩১শে মার্চ তারিখে সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতি মাননীয় স্যার ফ্রান্সিস ম্যাকন্টেন এই আইন ও নিয়ম অনুমোদন করেছেন। এই অবস্থায় কতকগুলি বিশেষ বাধার জন্য, মনুষ্য-সমাজে সর্বাপেক্ষা নগণ্য হলেও আমি অত্যন্ত অনিচ্ছা ও দুঃখের সংগে এই পত্রিকা (“মীরাৎ-উল-আখবার”) প্রকাশ বন্ধ করলাম। বাধাগুলি এই—

প্রথমতঃ, প্রধান সেক্রেটরীর সংগে যে-সকল ইউরোপীয় ভদ্রলোকের পরিচয় আছে, তাঁদের পক্ষে যথারীতি লাইসেন্স গ্রহণ অতিশয় সহজ হলেও আমার মত সামান্য ব্যক্তির পক্ষে দ্বারবান ও ভৃত্যদের মধ্য দিয়া এইরূপ উচ্চপদস্থ ব্যক্তির নিকট যাওয়া অত্যন্ত দুরূহ; এবং আমার বিবেচনায় যা নিষ্প্রয়োজন, সেই কাজের জন্য নানা জাতীয় লোকে পরিপূর্ণ পুলিশ আদালতের দ্বার পার হওয়াও কঠিন এবং অপ্রয়োজন। কথায় আছে—

আব্রু কে বা-সদ খুন ই জিগর দস্ত দিহদ

বা-উমেদ-ই করম-এ, খাজা, বা-দারবানমা ফরোশ

অর্থাৎ,— যে-সম্মান হৃদয়ের শত রক্তবিন্দুর বিনিময়ে ক্রীত, ওহে মহাশয়, কোন অনুগ্রহের আশায় তাকে দারোয়ানের কাছে বিক্রি করো না।

দ্বিতীয়তঃ— প্রকাশ্য আদালতে সম্ভ্রান্ত বিচারকদের সমক্ষে স্বেচ্ছায় হলফ (affidavit) করা সমাজে অত্যন্ত নীচ ও নিন্দার্হ বলে বিবেচিত হয়ে থাকে। সংবাদপত্র প্রকাশের জন্য এমন কোন বাধ্যবাধকতা নাই, যাঁর জন্য কাল্পনিক স্বত্ত্বাধিকারী প্রমাণ করবার মত বেআইনী ও গর্হিত কাজকরতে হবে।

তৃতীয়তঃ, অনুগ্রহ প্রার্থনার অখ্যাতি ও হলফ করবার মত অসম্মান ভাজন হবার পরও গবর্মেন্ট কর্তৃক লাইসেন্স প্রত্যাহৃত হতে পারে, এই আশঙ্কার জন্য সেই ব্যক্তিকে লোকসমাজে অপদস্থ হতে হবে এবং এই ভয়ে তাঁহার মানসিক শান্তি বিনষ্ট হবে। কারণ, মানুষ স্বভাবতঃই ভ্রমশীল; সত্য কথা বলতে গিয়ে তাঁকে হয়ত এরূপ ভাষা প্রয়োগ করতেহবে যা গবর্মেন্টের নিকট অপ্রীতিকর হতে পারে। সুতরাং আমি কিছু বলা অপেক্ষা মৌন থাকাই শ্রেয় বিবেচনা করলাম।

শদা-এ গোশা-নশিনি! হাফিজা! মাখরোশ

রুমূজ-ই-মসলিহৎ-ই খেশ খুসরোয়ান দানন্দ ।

হাফিজ! তুমি কোণঘেঁষা ভিখারী মাত্র, চুপ করে থাক। নিজের রাজনীতির নিগূঢ় তত্ত্বরাজারাই জানেন।

পারস্য ও হিন্দুস্থানের যে-সকল মহানুভব ব্যক্তি পৃষ্ঠপোষকতা করে ‘মীরাৎ-উল-আখবার’কে সম্মানিত করেছেন, তাঁরা যেন উপরোক্ত কারণগুলির জন্য প্রথম সংখ্যার ভূমিকায় তাঁদের বিভিন্ন ঘটনাবলীর সংবাদ দেব বলে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, সেই প্রতিশ্রুতিভঙ্গের জন্য আমাকে ক্ষমা করেন, এই আমার অনুরোধ; এবং এও আমার অনুরোধ যে, আমি যে-স্থানে যে-ভাবেই থাকি না কেন, নিজেদের উদারতায় তাঁরা যেন আমার মত সামান্য ব্যক্তিকে সর্বদাই তাঁদের সেবায় নিরত বলে মনে করেন।”

মীরাৎ-উল-আখবার পত্রিকার অতিরিক্ত সংখ্যায় গ্রাহকদের প্রতি এই আবেদন রেখে রামমোহন রায় সরকারি নির্দেশের প্রতিবাদস্বরূপ এই পত্রিকার প্রকাশ বন্ধ করে দেন।

রামমোহন রায় কিন্তু এখানেই থেমে যাননি। এই আইন রেজিস্ট্রি হওয়ার আগে এই আইনকে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণকারী আখ্যা দিয়ে কলকাতার কয়েক জন বন্ধুর সঙ্গে মিলে ১৮২৩ সালে ৩১ মার্চ এই আইনের প্রতিবাদ করে গভর্নর জেনারেলের কাছে একটি সুযুক্তিপূর্ণ আবেদনপত্র পাঠান। এই আবেদনপত্রটি লেখেন তিনি নিজে। আবেদনে কোনও ফল না হওয়ায়, রামমোহন রায় তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে একত্রিত হয়ে ইংলন্ডেশ্বরের কাছে আবেদনপত্র পাঠান।

মুদ্রণযন্ত্র আইন বলবৎ থাকাকালীন রামমোহন রায় আর কোনও পত্রিকা চালাননি, কিন্তু এই আইন থাকা কালেই মাস তিনেকের জন্য আর একটি পত্রিকার অন্যতম স্বত্বাধিকারী হয়েছিলেন। পত্রিকাটির নাম ‘বেঙ্গল হেরাল্ড’। এই পত্রিকাটি ৯ মে ১৮২৯ সালে রেজিস্ট্রিকৃত হয়।

এই প্রতিবাদ এবং বিরোধিতার ফলে রামমোহন রায় অনেক উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মচারী, সম্ভ্রান্ত ও ক্ষমতাশালী ইংরেজ রাজপুরুষের বিরাগভাজন হয়েছিলেন। তবুও তিনি প্রতিবাদ করতে পিছপা হননি। সংবাদপত্রের স্বাধীনতার গুরুত্ব সকলেই স্বীকার করেন। আজও প্রতিনিয়ত সংবাদপত্রের স্বাধীনতার উপরে শাসকের ক্রোধ বর্ষিত হয়।

সংবাদপত্রের স্বাধীনতার জন্য আমরা মেটকাফ সাহেবের কৃতিত্ব স্বীকার করি, কিন্তু রামমোহন রায় সে কালে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠায় যে আন্দোলন করেছিলেন, তার খবর অনেকেই রাখি না। যাকে আজ আমরা গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ বলে মনে করি, সেই সংবাদমাধ্যম যে কতখানি গুরুত্বপূর্ণ আমাদের জীবনে, তা দু’শতক আগেই বুঝতে পেরেছিলেন রাজা রামমোহন। মানুষের যুক্তিবাদী মানসিকতা এবং মুক্তচিন্তা যে উন্নত সমাজ গড়ে তোলার পক্ষে অপরিহার্য, এবং তার প্রকাশ যে একমাত্র সংবাদপত্রের মাধ্যমেই ঘটতে পারে, এ কথা তিনি সম্যক উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Raja Rammohan Roy

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy