Advertisement
০২ মে ২০২৪
ধারাবাহিক উপন্যাস পর্ব ২৩
Bengali Serial Novel

শূন্যের ভিতর ঢেউ

অভ্রর ভাল লাগে। কিন্তু মল্লার চাকরিটা নিতে চাইল না কেন, সেটা ও বুঝতে পারে না। ফোনে বারবার চেষ্টা করে না পেয়ে মল্লারকে খুঁজতে বেরিয়ে পড়ে অভ্র।

ছবি: প্রসেনজিৎ নাথ।

ছবি: প্রসেনজিৎ নাথ।

সুমন মহান্তি
শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৮:৫১
Share: Save:

পূর্বানুবৃত্তি: চলে যাওয়ার আগে কেন প্রমিতদা মল্লারকে ডেকে পাঠিয়েছে, সেটা বুঝতে পারছিল না ও। তার মনে ধরা পড়ার ভয় কাজ করে। অভ্র বন্ধুকে সাহস দেয়। কারণ অভ্র জানে কেন ডাকা হয়েছে মল্লারকে। প্রমিতদার কোম্পানিতে নতুন লোক নেওয়া হবে। তাই চিরশ্রীর অনুরোধে সে জায়গায় মল্লারের নাম প্রস্তাব করবে প্রমিত। অভ্র কিছু ভাঙে না, কারণ সে চায় মল্লার সরাসরি প্রমিতদার কাছ থেকেই সুখবরটা পাক। সে দিন সন্ধ্যায় যখন সে মল্লার মুখ থেকে ওর কথা শুনবে বলে আশা করছে, তখন মল্লারের বদলে ফোন আসে প্রমিতদারই। প্রমিতদা জানায়, চাকরিটা নিতে রাজি হয়নি মল্লার। তাই সেখানে অভ্রর নামই পাঠনো হবে। অভ্রর ভাল লাগে। কিন্তু মল্লার চাকরিটা নিতে চাইল না কেন, সেটা ও বুঝতে পারে না। ফোনে বারবার চেষ্টা করে না পেয়ে মল্লারকে খুঁজতে বেরিয়ে পড়ে অভ্র।

পাশে দাঁড়িয়ে অভ্র বলল, “শালা এসকেপিস্ট! তাকিয়ে কী দেখছিস দূরে?”

মল্লার তাকাল, “জানতাম তুই গালাগাল করবি।”

“ফোন বন্ধ কেন?”

“একটু একা থাকতে চেয়েছিলাম।”

“বেকারের দুঃখবিলাস! নিজের পায়ে এ ভাবে কুড়ুল মারলি কেন?”

মল্লারের মুখে আলোছায়ার ট্রাপিজ, “আমার অবস্থায় থাকলে তুই কী করতিস?”

“রাজি হয়ে যেতাম। এখন যেমন রাজি হয়েছি। ইন্টারভিউয়ের জন্য অপেক্ষায় থাকব।”

মল্লারের মুখটা দুঃখী দেখাল, “পারতিস না। যার সঙ্গে সজ্ঞানে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিস, তার দেওয়া জবের প্রস্তাবে রাজি হতে পারতিস? তাকে তো আমি ঠকিয়েছি।”

“শুধু তুই নয়, আরও এক জন তো সেই একই কাজ করেছে।”

“সেই আর এক জনই আমার কাজের জন্য অনুরোধ করেছে তার হাজ়ব্যান্ডকে!”

“কেন, তাতে কি তোর মেল-ইগো হার্ট হয়ে গেল?” অজান্তেই অভ্রর গলায় শ্লেষ মিশে গেল।

“একদমই না। আমার অশান্ত হৃদয় বরং ব্যাখ্যাহীন সুখে জুড়িয়ে যাচ্ছে। তুই ভাব, চলে যাওয়ার আগে সে আমার জন্য কিছু করতে চেয়েছিল। শুধু নিজের স্বার্থে সে আমাকে চায়নি,” মল্লারের গলা আর্দ্র হয়ে এল, “এত ভালবাসার যোগ্য আমি নই। পুরোটা জুড়ে শুধুই বিশ্বাস আর বিশ্বাসভঙ্গের জটিল খেলা। নিজেকে কেন আর জড়াব? যে তুষের আগুন ধিকিধিকি জ্বলছিল, আজ সন্ধের পরেই তা নিভে গিয়েছে। হেরেও আমি কোথাও যেন জিতে গেলাম।”

মল্লারের কাঁধে হাত রেখে অভ্র বলল, “রাত হচ্ছে। বাড়ি চল এ বার।”

মল্লার কষ্ট করে হাসল, “হ্যাঁ, বাড়িই তো যেতে হবে। বুঝলি অভ্র, চিরশ্রীরা আমাদের কপালে থাকে না, আমাদের জন্য যুবশ্রীই ভরসা। শুধু একটা দুঃখই রয়ে গেল। চলে যাওয়ার আগে একটি বার ওকে দেখতে ভীষণ ইচ্ছে করছিল। বাইক স্টার্ট করে চলে আসার সময়েও ব্যালকনির দিকে চোখ রেখেছিলাম। একটি বার সে যদি এসে দাঁড়ায়!”

অভ্র বলল, “ভালই হয়েছে। অনর্থক মায়া বাড়ত, কষ্ট বাড়ত।”

“তা হলে রুমকিকে দেখে তোর মায়া বাড়ে?”

অভ্র উদাস গলায় বলল, “মাঝের ন’বছর দেখা তো হতই না বলা চলে। এ বার যেন ঘন ঘন দেখা হচ্ছিল। কলকাতা চলে যাওয়ার আগে ও দেখা করতেও চেয়েছিল। আমার ছুটে যেতে ইচ্ছে করছিল, কিন্তু ইচ্ছেটাকে টুঁটি টিপে মেরে ফেললাম। সন্ধের ছায়াঘন সরণিতে আমাদের পাশাপাশি হাঁটার স্মৃতিগুলো তখন বুকে ঝাপটা মারত। দেখা করতে শেষ পর্যন্ত পারিনি।”

“কিন্তু চিরশ্রী যে এখনও মেসেঞ্জারে, হোয়াটসঅ্যাপে রয়েছে।”

“নিজের ভাল চাস তো আজই ব্লক করে দে।”

রাত দেড়টায় টুং শব্দে মল্লারের ইনবক্সে ভেসে উঠল কয়েকটি শব্দ— “দুঃখ যদি না পাবে তো/ দুঃখ তোমার ঘুচবে কবে/ বিষকে বিষের দাহ দিয়ে/ দহন করে মারতে হবে।”

চিরশ্রী পাঠিয়েছে!

মল্লারের রক্তে হিল্লোল জাগল। সে কিছু লিখতে চাইল। তার আগেই ভেসে উঠল লেখা— “ভাল থেকো, মল্লার। বিদায়। সবার ভালর জন্যই তোমার সঙ্গে এই আমার শেষ কথা।”

মল্লার শুধু টাইপ করতে পারল, ‘চিরশ্রী!’

সবুজ আলো নিভে গেল। অফলাইনে চলে গেল চিরশ্রী। যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হল সে। বুঝতে পারল, চিরশ্রী তাকে ব্লক করে দিয়েছে।

‘দুঃখ যদি না পাবে তো’ গানটিকে ইউটিউবে খুঁজে বার বার শুনল মল্লার। গুনগুন করে গাইল। অপার্থিব এক অনুভূতি হচ্ছে তার, এক পরম
আলো যেন হৃদয় জুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে। দুঃখ যেন সত্যি চলে যাচ্ছে তার, মন শান্ত হয়ে আসছে। চিরশ্রী চলে গিয়েও বেঁচে থাকার শক্তি জোগাতে
চেয়েছে তাকে।

ঘুমিয়ে পড়ার সময় বিড়বিড় করল মল্লার, ‘ভাল থেকো চিরশ্রী। আমার মায়াময় স্মৃতির কামরাগুলি বেঁচে থাকবে আজীবন। তোমার গভীরতা ছুঁতে পারে এমন পুরুষ কি এই পৃথিবীতে আছে?’

পনেরোই ডিসেম্বর এল ফার্মা কোম্পানির রিজিয়োনাল ম্যানেজারের কাছে ইন্টারভিউ দিল অভ্র। প্রত্যাশা অনুযায়ী ভালই হয়েছে। পরের রাউন্ড কবে কোথায় হবে, কোম্পানি মেলে জানিয়ে দেবে। অভ্র কিছুতেই খুশি হতে পারছে না। এই লাইন ঠিক তার জন্য নয়। ফ্রেশ হিসেবে জয়েন করলে কোম্পানি বড়জোর তিরিশ হাজার টাকা স্যালারি দেবে। বেকার তকমা ঘুচলেও এই বয়সে নতুন ভাবে শুরু করে উন্নতির আশা কম। প্রমিতদা পনেরো বছর কাজ করার পরে চল্লিশ বছর বয়সে এরিয়া ম্যানেজার হতে পেরেছে। তবে তার এই চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে সে মা-কে কিছুই বলেনি, সুমিকেও এ নিয়ে একটি শব্দও বলেনি।

হন্যে হয়ে স্থানীয় বেসরকারি স্কুলগুলোয় খোঁজ নিল সে। কোথাও খালি নেই। শহরপ্রান্তের একটি বেসরকারি কলেজে যোগাযোগ করল। বিশাল বিল্ডিং, চোখ-জুড়ানো পরিবেশ, যথেষ্ট টাকা খরচ করে ছাত্রছাত্রীরা পাসকোর্সে বা অনার্সে পড়ে। কলেজের মালিক কাম ডিরেক্টর বললেন, “ফিজ়িয়োলজি তেমন কেউ পড়ে না। পাসকোর্সে কয়েক জন স্টুডেন্ট রয়েছে। বটানিতে মাস্টার্স করা একটি মেয়ে ওই পার্টটা পড়িয়ে দেয়। স্যরি, আপনাকে রিক্রুট করার কোনও সুযোগই নেই।”

মালিকের ঠিকুজি-কোষ্ঠী জানতে পেরেছিল সে। দু’বার ফেল করে তিন বারের বেলায় হায়ার সেকেন্ডারি পাশ করেছিলেন। কয়েক বছর বাংলার বাইরে ছিলেন। ওই চ্যাপ্টার কেউ জানে না। ফিরে এসে একটির পর একটি কলেজ খুলেই চলেছেন। সফল ভাবে মাস্টার্স ডিগ্রি পাশ অভ্র তাঁর কাছেই সামান্য দশ-বারো হাজার টাকার একটা চাকরির জন্য নতজানু হয়েছিল। টাকা এবং ক্ষমতাই শেষ কথা বলে। তার বন্ধু যুবনেতা অমিয় একটি ডিএলএড কলেজ খুলতে চলেছে। জমি নাকি আগেই কেনা ছিল, এখন নির্মাণপর্ব চলছে। এই সব উদাহরণ শুনলে তার মরে যেতে ইচ্ছে করে। একটা শিক্ষিত জাতি পরজীবী এবং ভিখিরি হয়ে যাচ্ছে। এর চেয়ে গ্র্যাজুয়েশন করে ছোটখাটো ব্যবসা শুরু করে দিলে এ রকম অসহায় অবস্থা হত না। ডিগ্রি এবং সরকারি চাকরির পিছনে ছুটে তার মতো অসংখ্য উচ্চশিক্ষিত যুবক-যুবতীর জীবন বরবাদ হয়ে গেল।

ইদানীং মনখারাপ হলে সে সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দিরে গিয়ে চাতালটিতে চুপচাপ বসে থাকে। মনে প্রশান্তি আসে, কিছু ক্ষণের জন্য দুঃখ-যন্ত্রণা প্রশমিত হয়ে যায়। সে অবশ্য কখনও হাতজোড় করে কিছু চায় না। মা কালীর সঙ্গে গিভ অ্যান্ড টেক পলিসি না করাই ভাল। সে আসে প্রশান্তি পেতে, আর এক জন আসে মনে শক্তি পেতে।

গতকাল সুমি তাদের বাড়িতে এসেছিল। মিনিট কুড়ি ছিল, মায়ের সঙ্গে বকবক করল, যাওয়ার আগে তাকে বলল, “বাঁকুড়া যাচ্ছি।”

“কারণ?”

“দু’জনে মুখোমুখি বসতে চাই, কথা বলে একে অপরকে বুঝে নিতে চাই।”

“ছেলে তো দুর্গাপুরে থাকে। বাঁকুড়ায় কেন?”

সুমি একগাল হেসে বলেছিল, “ও কিছুটা আসুক, আমি কিছুটা যাই। তাই মিটিং-পয়েন্ট বাঁকুড়া করা হয়েছে।”

“বেস্ট অব লাক।”

“প্রথমে স্টেশনে বসব, তার পর কোনও রেস্তরাঁয় গিয়ে বসতে পারি।”

অভ্র প্রচ্ছন্ন বিরক্তিতে বলেছিল, “অত ডিটেলস শুনে আমার কাজ কী?”

সুমির চোখের তারায় হাসি ফুটে উঠেছিল, “তা অবশ্য ঠিক।”

অভ্র মৃদুস্বরে কেটে কেটে বলেছিল, “বিয়েটা মেয়েদের কাছে হল সিঁড়ি। ভাল থাকার সিঁড়ি, সচ্ছল ও নিরাপদ জীবনের সিঁড়ি। প্রেম সেখানে কোনও ফ্যাক্টরই নয়। তুমিও এই প্যারামিটারগুলো বুঝে নিয়ো ঠিকঠাক।”

সুমি তার দিকে এক মুহূর্ত তাকিয়ে ফ্যাকাসে মুখে বলেছিল, “আমি ও রকম নই।”

অভ্র হেসে পরিস্থিতি হালকা করেছিল, “ডোন্ট বি সো সিরিয়াস, সুমি পাত্র। আমি এমনিই বলছিলাম। তোমাকে মিন করিনি।”

সুমির কথা সে মল্লারকে সে ভাবে কিছুই বলতে পারেনি। সুমি যেন একান্ত ভাবে তারই, তাকে বাইরের দুনিয়ায় হাট করে খুলে দিতে সে চায় না। কিছুই তো নেই জীবনে, মেধা ও পরিশ্রমের দাম পাওয়া গেল না, সংসার কী তা বোঝা হল না, নারীশরীর চেনা হল না। মেরুদণ্ড টানটান রেখে বেঁচে থাকা এ জীবনে হল না। ওষুধের ফেরিওয়ালা হয়ে আবার শূন্য থেকে শুরু করতে হবে। কোন যোগ্যতায়, কোন সাহসে সে মুখ ফুটে কাউকে কিছু বলবে? শূন্যতার হাহাকার উঠছে ভিতর থেকে, দীর্ঘশ্বাস ধাক্কা মারছে পাঁজরে। এক জন হারিয়ে গিয়েছে, আর এক জনও হারিয়ে যাবে।

পাশে কারও উপস্থিতি টের পেল অভ্র। হালকা সুগন্ধে সুরভিত হয়ে উঠল অভ্রর চার পাশ। সুমি তার পাশটিতে এসে বসল। হলুদ রঙের কুর্তি এবং আকাশি জিন্‌স পরেছে সুমি। খোলা চুল, কপালে মেরুন টিপ, মুখে স্নিগ্ধ আভা। মৃদু হাসল সুমি, লক্ষ্মীশ্রী টোল পড়ল গালে।

অভ্র প্রশ্ন করে, “কেমন হল তোমাদের মিটিং?”

সুমি মুখ নিচু করে বলে, “যাইনি।”

অবাক হয় অভ্র, “কেন?”

সুমি কনুইতে মুখ রেখে বলল, “ইচ্ছে হল না।”

অভ্র কৌতূহলী হলেও প্রকাশ করে না, “ও!”

“কেন ইচ্ছে হল না জানতে চাইবে না?” সুমি ছায়াতুর চোখে তাকাল।

শ্বাস ফেলে অভ্র বলে, “অন্যের মন, অন্যের মেজাজ-মর্জি জেনে কী লাভ? আমি কি মনোবিদ?”

সুমি হাসল, “ভেবে দেখলাম যে অচেনা মানুষকে কয়েক ঘণ্টার আলাপে কতখানি আর বুঝব! কত রকম মুখোশ পরে থাকে মানুষ, বোঝা অত সহজ নয়। তার চেয়ে চেনা মানুষের সঙ্গেই ঘর বাঁধা ভাল। আমি হাজ়ব্যান্ড চাই না, এক জন ভালমানুষ চাই।”

অভ্র বলে, “হুম। তেমনটি পাওয়া খুব কঠিন।”

“কঠিন হলেও তেমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে,” সুমি শান্ত ভাবে বলল, “বিয়েটা আমার কাছে আর্জেন্ট ব্যাপার নয়। দিব্যি আছি, কোনও তাড়াহুড়ো নেই আমার। বিয়েটা আমার কাছে প্রসপ্রেক্টিভ আইটেমও নয়। এক বার লোভ করে ঠকেছি, দ্বিতীয় বার ভুল করতে চাই না।”

অভ্র বলল, “তা হলে তো তোমাকে অপেক্ষায় থাকতে হবে।”

মায়াময় চোখ দু’টি নিয়ে তাকাল সুমি, “সে যে দিন নিজেকে স্বাবলম্বী ভাববে, আর্থিক ভাবে থিতু মনে করবে সে দিন আমিই হাত বাড়াব। সে যেন মনে রাখে যে কেউ, কোনও এক জন, তার জন্য অপেক্ষায় রয়েছে।”

স্নায়ু-শিহরিত অভ্র যেন বিবশ হয়ে পড়ল। তার মুখে কোনও কথা ফুটল না। মন বলল, ‘চুপ করো, কথা বোলো না, শুধু রং ও গন্ধ মাখো। কত দিন তুমি ভালবাসা পাওনি! কত রাত গিয়েছে অকাল বৃষ্টিতে ভিজে! দুঃখ-ব্যর্থতা-যন্ত্রণারা মিছিল করে কোলাহলে তোমাকে একা করে দিয়েছে।’

আজ এই মুহূর্তে জীবন দু’হাত মেলে তাকে কিছু দিচ্ছে। অনেক শূন্যতার পরে এই অপ্রত্যাশিত পাওয়া, অনেক দহনের পর এই পরম স্পর্শসুখ।

হাত বাড়াল অভ্র। তার হাতে আর একটি হাত স্বেচ্ছায় আসবে, অবিনশ্বর আলোয় পাশাপাশি হাঁটবে, এই বিশ্বাসেই এখন হাত রাখা যায়...

শেষ

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Bengali Novel
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE