Advertisement
০৪ মে ২০২৪
ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ১০

নুড়ি পাথরের দিনগুলি

কৃতির বার্থডে পার্টিতে ওয়াইন খেয়ে, কৃতির সঙ্গে একটু ফ্লার্ট করে গাড়িতে রওনা দিল সৌহার্দ্য। নবনীকে মঞ্জরি ফোন করে জানাল, আহিরীর কলেজে গন্ডগোল হচ্ছে, টিভিতে দেখাচ্ছে। নবনী উদ্বিগ্ন হয়ে আহিরীকে ফোন করলেন।

ছবি: অমিতাভ চন্দ্র

ছবি: অমিতাভ চন্দ্র

প্রচেত গুপ্ত
শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০১৮ ০০:০০
Share: Save:

পূর্বানুবৃত্তি: সৌহার্দ্য মা’কে বলল, তার মা’কে ফেলে পালিয়ে যাওয়া লোকটার সঙ্গে দেখা হলে সে তাকে উচিত শিক্ষা দেবে। কৃতির বার্থডে পার্টিতে ওয়াইন খেয়ে, কৃতির সঙ্গে একটু ফ্লার্ট করে গাড়িতে রওনা দিল সৌহার্দ্য। নবনীকে মঞ্জরি ফোন করে জানাল, আহিরীর কলেজে গন্ডগোল হচ্ছে, টিভিতে দেখাচ্ছে। নবনী উদ্বিগ্ন হয়ে আহিরীকে ফোন করলেন।

মেয়ের মুখে ‘খেয়ে নিও’ শুনে খাটের ওপর ধপ করে বসে পড়েছিলেন নবনী। কী এমন কাজে আটকে গিয়েছে যে রাতে এসে খেতেও পারবে না? পরীক্ষা তো চারটের মধ্যে শেষ হয়ে যায়। সাতটা বাজার মুখে নবনী নিজেই মেয়েকে ফোন করেন। বেশ কয়েক বার বাজার পর আহিরী ফোন ধরে। নবনী শুনতে পান, ফোনের ও পাশে তুমুল হট্টগোল হচ্ছে। কারা যেন চিৎকার করছে।

‘‘কী হয়েছে?’’

মেয়ের গলা শুনে মনে হচ্ছে, মুখের কাছে হাত চাপা দিয়ে কথা বলছে। নবনী বললেন, ‘‘এখনও তোর কাজ শেষ হয়নি?’’

আহিরী চাপা গলায় বলল, ‘‘না হয়নি। আজ সারা রাত থাকতে হতে পারে।’’

নবনী আর্তনাদ করে উঠলেন, ‘‘সারা রাত!’’

আহিরী চাপা গলায় বলল, ‘‘মা, টেনশন কোরো না। এই জন্য তোমাকে কিছু বলতে চাই না। কলেজে অ্যাজিটেশন হচ্ছে। ছেলেমেয়েদের বিক্ষোভ।’’

নবনী বললেন, ‘‘তাতে তোর কী? তুই তো ছেলেমেয়ে নোস। তুই চলে আয়।’’

আহিরী এ বার চাপা ধমকের গলায় বলে, ‘‘ছেড়ে দাও, তুমি বুঝবে না। সিচুয়েশন চলে আসার মতো নয়। কোনও টিচারই বেরোতে পারেনি। শোনো, আমাকে আর ফোন বা মেসেজও করবে না। ফোনে চার্জ নেই। সঙ্গে চার্জারও নেই।’’

নবনী সন্দেহের গলায় বলল, ‘‘তুই তো পাওয়ার ব্যাঙ্ক সঙ্গে রাখিস।’’

আহিরী বলল, ‘‘পাওয়ার ব্যাঙ্ক গাড়িতে।’’

‘‘নিয়ে আয়। ফোন বন্ধ করে রাখলে কী করে হবে? আমি তো ফোন করব।’’

আহিরী দাঁতে দাঁত চেপে বলল, ‘‘মা, ভাল করে শুনে নাও, আমরা ঘেরাও হয়ে আছি। ছাত্ররা করেছে। কলেজ থেকে বেরনোর ব্যাপার নেই। গাড়ি পর্যন্ত গিয়ে পাওয়ার ব্যাঙ্কও আনতে পারব না। সো দিজ ইজ ইয়োর লাস্ট কল। দরকার হলে আমি যোগাযোগ করব। এ বার দয়া করে রাখো।’’

তার পর থেকে আর মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি। কমলেশকে ফোন করেছিলেন নবনী।

‘‘জানি। আহি ফোন করেছিল। চিন্তার কিছু নেই। শুনেছি পুলিশ-টুলিশ গেছে।’’

নবনী আরও নার্ভাস হয়ে বললেন, ‘‘পুলিশ গেছে! গোলমাল হচ্ছে না কি?’’

কমলেশ ফোনেই মৃদু হেসে বললেন, ‘‘নবনী, এত চিন্তা কোরো না। আহি সেফ থাকবে। ও তো একা নয়, এভরিবডি ইজ দেয়ার।’’

কমলেশ বাড়ি ফিরেছেন ন’টার পর। ড্রাইভারকে গ্যারেজে গাড়ি তোলার কথা বলতে গিয়ে একটু ভাবলেন। তার পর বললেন, ‘‘দীনেশ, গাড়ি তুলে দাও। আমি যদি বেরোই, গাড়ি বের করে নেব।’

দীনেশবলল, ‘‘স্যর, দিদির গাড়ি দেখছি না।’’

‘‘ওর ফিরতে দেরি হবে। গাড়ি বাইরে রাখবে।’’

আহিরী গাড়ি কেনার পর থেকে একটা গাড়ি বাইরে থাকে। যে আগে ফেরে সে গাড়ি গ্যারেজে ঢুকিয়ে দেয়। বাইরে মানে অবশ্য বাড়ির বাইরে নয়, গ্যারেজের সামনে, ড্রাইভওয়েতে। এদিককার বেশির ভাগ বাড়িতে এই সুবিধেটা রয়েছে। গেট দিয়ে ঢোকার পর লম্বা প্যাসেজ, তার পর গ্যারেজ। প্যাসেজেও অনায়াসে আর একটা গাড়ি রাখা যায়।

কমলেশ আজ স্নান সেরেছেন অনেকটা সময় ধরে। সকালে আহিরী বেরিয়ে যাওয়ার পরই মেকানিক ডাকা হয়েছিল। গিজারে বড় কিছু হয়নি। একটা ফিউজ কেটে গিয়েছিল। স্নান সেরে রোজকার মতো অল্প স্ন্যাকস আর একটা হুইস্কি নিয়ে স্টাডিতে বসেছেন। লার্জ পেগ স্কচ। বেশির ভাগ দিন এই একটাতেই থেমে যান। কোনও কোনও দিন আর একটা হাফ নেন। ব্যস, আর নয়। সময় নিয়ে খান। কমলেশ রায় এই সময়টা নিজের মতো করে কাটান। তার এই স্টাডিটা মাপে ছোট, কিন্তু শৌখিন ভাবে সাজানো। পুরনো দিনের গথিক চেহারার ইন্টিরিয়র। বার্নিশ করা কাঠের টেবিল, চেয়ার, ডেস্ক। সিলিং পর্যন্ত উঠে গেছে তাক। তাক ভর্তি বই। আহিরী ষখন স্কুলের নিচু ক্লাসে পড়ত, বাবার এই ঘরটার ওপর ওর লোভ ছিল খুব। সুযোগ পেলেই নিজের পড়ার ঘর ছেড়ে বইখাতা নিয়ে পালিয়ে আসত। বাবার স্টাডিতে না পড়লে তার নাকি পড়া মনে থাকে না। বড় হয়ে অবশ্য নিজের ঘরে গুটিয়ে গেছে। কমলেশ এই ঘরে বসে ম্যাগাজিন উলটোন, বই পড়েন। মেয়ের সঙ্গে গল্পও করেন। স্ত্রীর সঙ্গে টুকটাক কথা হয়। তবে নবনীকে একটু এড়িয়েই চলেন কমলেশ। দু’টো কথার পরই নবনী কোনও না কোনও বিষয় নিয়ে অনুযোগ, আপত্তি, দোষারোপের দিকে চলে যাচ্ছেন। সব সময়েই যেন ভিতরে এক ধরনের বিরক্তি। সঙ্গে হালকা রাগও।

এই স্বভাব নবনীর আগে ছিল না। একটা সময় পর্যন্ত স্বাভাবিকই ছিলেন। মেয়ের ব্যাপারেই যেটুকু যা বাড়াবাড়ি করতেন। ছোটবেলা থেকে আহিরীকে লেখাপড়া নিয়ে কখনও বলতে হয়নি। তবে দুরন্ত ছিল মেয়েটা। ‘ওভারঅ্যাক্টিভ’ যাকে বলে। চোখে চোখে না রাখলে একটা না একটা অঘটন ঘটিয়ে ফেলত। আর ছিল সাজগোজের ঘটা। সুযোগ পেলেই মায়ের মেক-আপ কিট ধ্বংস করবে। ধরে ফেলার আগেই মুখে থ্যাবড়া করে পাউডার, ঠোঁটে মোটা করে লিপস্টিক লাগিয়ে পালাত। কমলেশ রায় মেয়ের এই কর্মকাণ্ডে খুবই আনন্দ পেতেন এবং অংশও নিতেন। নবনী সাজগোজের সরঞ্জাম মেয়ের হাতের নাগালের বাইরে রাখতেন। কখনও উঁচুতে, কখনও আলমারির ভিতর। নবনী বাড়ি না থাকলে মেয়েকে সে সব মাঝেমধ্যে বের করেও দিয়েছেন কমলেশ। বাড়ি ফিরে নবনী রাগারাগি করতেন খুব।

‘‘তোমার আসকারায় মেয়ে বিগড়ে যাবে। ‌এইটুকু বয়েসে সাজগোজের কী ঘটা!‌’’

‘‘আহা, বড় হোক, দেখবে পুরো উলটে গেছে।’’

তাই হল। যত বড় হতে লাগল আহিরী, খাওয়া-দাওয়া, সাজগোজের ব্যাপারে উদাসীন হয়ে পড়ল। যেটুকু দরকার সেটুকুও করত না। চুলটা ঠিকমত আঁচড়াত না পর্যন্ত। তার ওপর এক বার বই মুখে বসলেই হল। টেনে তোলা ছাড়া উপায় ছিল না। নবনী এ সব নিয়ে খিটিরমিটির করেই যেতেন। মেয়েকে টিউশনে নিয়ে যাওয়া, নাচের স্কুল, গানের স্কুলে নিয়ে যাওয়া তো ছিলই। উঁচু ক্লাসে উঠে নাচ, গান সব ছাড়ল আহিরী। তখন শুধু লেখাপড়া।

এই পর্যন্ত মোটের ওপর নর্মালই ছিলেন নবনী। গোলমাল হল আর একটু পরে। আহিরী তখন ইউনিভার্সিটিতে পড়ছে। মেয়ে বড় হয়েছে বলে বাড়িতে নবনীর চাপ কমেছে। তিনি ‘উর্বরা’ নামে একটি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হলেন। এই সংগঠন দুঃস্থ, পিছিয়ে পড়া মেয়েদের জন্য নানা ধরনের কাজ করে। লেখাপড়া থেকে নাচগান, হাতের কাজের প্রদর্শনী। কলকাতার বহু মহিলা এর সঙ্গে জড়িত। আহিরীই চাপ দিয়েছিল।

‘‘ঘরে বসে বোর না হয়ে কিছু করো না মা!’’

‘‘কী করব? এই বয়সে নতুন করে পথে বেরিয়ে রোজগার করতে বলছিস?’’

আহিরী বলল, ‘‘আমি কিছু বললেই প্যাঁচালো ভাবে নাও কেন? রোজগার করতে বেরবে কেন? কত ধরনের সংগঠন আছে যারা মানুষের জন্য কাজ করে। এ রকম কারও সঙ্গেও তো যুক্ত হতে পারো। দেখবে ভাল লাগবে।’’

এর পর থেকে নবনী ‘উর্বরা’র সঙ্গে কাজ করেন। তবে নিয়মিত যেতে পারেন না। যেটুকু যান, ভাল লাগে। ‌

এক বার অফিসের কাজে সাত দিনের জন্য মুম্বই যেতে হয়েছিল কমলেশকে। ফিরে এসে খেয়াল করলেন, নবনী তাঁকে দেখে কেমন চুপচাপ হয়ে গেলেন। অন্য সময় লম্বা ট্যুর থেকে ফিরলে নবনীর চোখমুখ উজ্জ্বল হয়ে যায়। সে বার কেমন একটা নিস্পৃহ ভঙ্গি।

জামাকাপড় বদলাতে বদলাতে কমলেশ বলেছিলেন, ‘‘কী হয়েছে নবনী? এনি প্রবলেম?’’

নবনী ঠান্ডা গলায় বললেন, ‘‘না। ঠিক আছে।’‌’

কমলেশ রায় বললেন, ‘‘তোমাকে দেখে কিন্তু তা মনে হচ্ছে না।’’

নবনী অস্ফুটে বলেছিলেন, ‘‘বললাম তো সব ঠিক আছে।’’

‘‘উর্বরার কাজকর্ম চলছে? গিয়েছিলে?’’

নবনী ঠান্ডা গলায় বলেন, ‘‘হ্যঁা গিয়েছিলাম।’’

কমলেশ ভুরু কঁুচকে বললেন, ‘‘শরীর খারাপ?’’

নবনী এর পর বিরক্ত ভাবে বলেছিলেন, ‘‘এক কথা বারবার বলছ কেন? বলছি তো ঠিক আছি।’’

কমলেশ বুঝেছিলেন, যদি কিছু হয়েও থাকে নবনী বলতে চাইছে না। অফিস গিয়ে মেয়েকে ফোন করেছিলেন। আহিরী তখন ইউনিভার্সিটিতে।

‘‘বাবা, কখন ফিরলে?’’

কমলেশ নরম গলায় বললেন, ‘‘ফ্লাইট লেট করেছে। তুই বেরিয়ে যাওয়ার পর বাড়িতে ল্যান্ড করেছি।’’

আহিরী বলল, ‘‘প্লেন কি ছাদে ল্যান্ড করল?’’

কমলেশ হেসে বললেন, ‘‘না, সামনের পার্কে। তুই কী করছিস?’’

‘‘ক্লাস নেই, পোর্টিকোতে বসে‌ বই পড়ছি।’’

কমলেশ উৎসাহ নিয়ে বললেন, ‘‘কী বই?’’

আহিরী বলল, ‘‘থ্রিলার। হাউ ডান ইট টাইপের থ্রিলার। খুনি কে জানা আছে, কিন্তু কী করে খুন করল বোঝা যাচ্ছে না। ডিটেকটিভ হাবুডুবু খাচ্ছে। বাবা, এ বার চট করে বলে ফেলো দেখি, কেন ফোন করেছ। গল্পের খুব ইন্টারেস্টিং পার্টে আটকে আছি। একটু পরেই ক্লাসে যেতে হবে।’’

কমলেশ একটু থেমে বলেছিলেন, ‘‘তোর মায়ের কী হয়েছে?’’

আহিরী বলল, ‘‘কী হয়েছে মানে!‌ এই তো দেখে এলাম, সব ঠিক আছে।’’

কমলেশ চিন্তিত ভাবে বললেন, ‘‘কেমন যেন‌‌ মনে হল। আমাকে দেখে মুড অফ করে রইল।’’

আহিরী ফিক করে হেসে বলল, ‘‘ও, তা হলে অভিমান। এত দিন বাড়িতে ছিলে না বলে অভিমান হয়েছে। নিশ্চয়ই ফোন-টোন করোনি।’’

কমলেশ সিরিয়াস গলায় বললেন, ‘‘ঠাট্টা করিস না আহি। সামথিং রং মনে হল।’’

আহিরী বলল, ‘‘ওটা সামথিং রাইট হবে বাবা। আমার সঙ্গে সময় নষ্ট না করে তুমি বরং মা’কে ফোন করে মান ভাঙাও। ‌টা টা।’’

ব্যাপারটা মান-‌অভিমানের ব্যাপার নয়। কয়েক দিনের মধ্যে কমলেশ বুঝতে পারলেন, সত্যি কোথাও কোনও গোলমাল হচ্ছে। এক দিন রাতে আদর করবার জন্য স্ত্রীকে কাছে টানলেন। নবনীও এলেন। চিরকালই কমলেশ এই সময়টায় স্ত্রীর ভাললাগার ওপর বেশি জোর দিয়েছেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, পার্টনারের খুশি হওয়ার ওপর নিজের তৃপ্তি অনেকটা নির্ভর করে। জোরজবরদস্তিতে সঙ্গত নষ্ট হয়। সন্তর্পণে ব্যক্তিগত ভাললাগার জানলা-দরজাগুলো এক এক করে খুলে দিতে হয়। স্বামী–স্ত্রীর শারীরিক সম্পর্ক শুধুমাত্র তাড়না মেটানোর প্রক্রিয়া নয়, পারস্পরিক ভালবাসাও বটে। সে দিনও একই ভাবে এগোতে যান কমলেশ। কিন্তু নবনীর কাছ থেকে সাড়া পেলেন না।

কমলেশ গাঢ় স্বরে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘‘তোমার কি কোনও সমস্যা হচ্ছে?’’

নবনী এ প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে বলেছিলেন, ‘‘তাড়াতাড়ি করো। আহি জেগে আছে।’’

কমলেশ স্ত্রীর নগ্ন বুকে আলতো হাত রেখে বলেছিলেন, ‘‘আহি তো দরজা আটকে পড়ছে।’’

নবনী স্বামীর হাত সরিয়ে বলেন, ‘‘তা হোক। জেগে তো আছে। যা করবার তাড়াতাড়ি করো।’’

কমলেশ বুঝতে পেরেছিলেন, কোথাও সুর কেটেছে। যে সাত দিন তিনি ট্যুরে ছিলেন তার মধ্যেই কিছু একটা ঘটেছে। চাপাচাপি করলে চলবে না। নবনীকে সময় দিতে হবে। সময় দিয়ে জানতে হবে সমস্যাটা কোথায়। বিয়ের এতগুলো বছর পরে নিশ্চয়ই এমন কোনও জটিলতা তৈরি হবে না, যার সমাধান করা যায় না। আশ্চর্যের বিষয় হলেও, আজও সেই সমস্যার পুরোটা সমাধান করা যায়নি। তবে একটা ভাল ঘটনা, স্ত্রীর গুম মেরে যাওয়ার কারণ কমলেশ জেনেছেন।

ক্রমশ

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Novel Series
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE