পুজোর পরে পরেই বাঙালি ভোজনরসিকদের জন্য এল দারুণ সুখবর। দীর্ঘ অপেক্ষা সাঙ্গ করে, বাজারে এসে গেছে নোনতা রসগোল্লা ও গুলাবজামুন। দশ বছর ধরে নিরলস পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে, ডায়াবিটিস-আক্রান্ত দুই রসগোল্লা-রসিক প্রৌঢ় এই অসাধ্য সাধনায় সিদ্ধিলাভ করেছেন বলে জানা গিয়েছে। ফলে, এত দিন পরে জিম-প্রেমী নতুন প্রজন্মের উল্লাসের সীমা নেই। তাদের দশটা রসগোল্লা খেয়েও স্লিম থাকার স্বপ্ন এ বার অনেকটাই বাস্তব হতে চলেছে! ডায়াবিটিসে আক্রান্ত স্বামীরা লুকিয়ে রসগোল্লা খাচ্ছেন ভেবে যে সব গিন্নিরা সারা দিন আতঙ্কে ভুগতেন, তাঁরাও এত দিনে একটু স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গৃহকর্ত্রী জানিয়েছেন, এতে তাঁর সুগার-পীড়িত স্বামীর রসগোল্লা খাওয়ার সাধ পূরণ তো হবেই, সঙ্গে বিজয়ার খাটনিও অনেকটা বাঁচবে। এখন অতিথির জন্য কেবল সল্টেড রসগোল্লা এনে রাখলেই হবে। আলাদা করে নোনতা ও রসগোল্লা দুইই আনার বা বানানোর প্রয়োজন ফুরোল। এ দিকে, মিষ্টির দোকানের সামনে লম্বা লাইন পড়ে গেছে। সকাল দশটার আগেই সব নোনতা রসগোল্লা-গুলাবজামুন বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। ছোটদের মধ্যে এই খাবার এতটাই জনপ্রিয় হয়েছে যে অনেক খুদেই ভোর পাঁচটায় উঠে মা-বাবার হাত ধরে লাইন দিতে চলে আসছে। তাদের উন্মাদনা দেখে মনে হচ্ছে হ্যারি পটার গোত্রের নতুন কোনও ফ্যান্টাসি-সিরিজ রিলিজ করল বুঝি! আগামী বিয়ের সিজনের জন্য নোনতা রসগোল্লার বুকিং-এ যা লাইন পড়েছে, তা ট্রেনের তৎকাল টিকিট বুকিংকেও লজ্জা দেবে। নিন্দুকেরা যথারীতি এখনই এই খাবারের এমন সাংঘাতিক চাহিদাকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছেন। তাঁরা বলছেন, যা নোনতা, তা মিষ্টি হবে কী করে! ডেফিনিশনটাই তো গুলিয়ে যাচ্ছে। তবে, দেখার বিষয় একটাই। এই উৎসবের মরশুমে রোল, চাউমিন, ফিশ ফ্রাইয়ের মতো প্রাচীন নোনতা-রা নয়া জমানার নোনতার সঙ্গে কতটা পাল্লা দেয়।
দীপ, কলকাতা
লিখে পাঠাতে চান ভবিষ্যতের রিপোর্ট? ঠিকানা: টাইম মেশিন, রবিবাসরীয়, আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা ৭০০ ০০১। অথবা pdf করে পাঠান এই মেল-ঠিকানায়: robi@abp.in
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy