বসন্ত এসে গেছে। তার সঙ্গে এসেছে হাজারো রোগবালাইয়ের সম্ভাবনা। সকালে গরম আর রাতে ঠান্ডার সঙ্গে মানিয়ে নিতে না পেরে শরীর খারাপ হয়ে পড়ছে। এই সময়টায় খাওয়াদাওয়া বুঝেশুনে করতে বলতেন পুরনো দিনের মানুষেরা। হালকা অথচ পুষ্টিকর খাবার খেতে বলা হত। তেঁতুল দিয়ে কাচকি মাছের টক তেমনই এক রান্না। বলা হয় টক জাতীয় খাবার পেট ঠান্ডা রাখে। তা ছাড়াও এই খাবারের আরও গুণ আছে।
কাচকি মাছে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন। এ ছাড়া রয়েছে ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডও যা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। রয়েছে ক্যালশিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন এ, বি থ্রি, সি, ডি। প্রত্যেকটিই সুস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
অন্য দিকে, তেঁতুলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। প্রতি ১০০ গ্রামে প্রায় ৫ মিলিগ্রাম পর্যন্ত ভিটামিন সি থাকে তেঁতুলে, যা শরীরের দৈনিক প্রয়োজনের অনেকটাই মেটাতে পারে। তা ছাড়া তেঁতুলে রয়েছে ফাইবার এবং ফোলেটও। ভিটামিন সি-সহ ওই প্রত্যেকটি উপাদানই রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
কী ভাবে বানাবেন?
উপকরণ:
২০০ গ্রাম কাচকি মাছ
৪-৫টি কাঁচা তেঁতুল
২ টেবল চামচ সর্ষের তেল
এক চা-চামচ সর্ষে
১-২টি শুকনো লঙ্কা
২ চা-চামচ হলুদ গুঁড়ো
স্বাদমতো নুন
আরও পড়ুন:
প্রণালী:
কাচকি মাছ সাধারণত বেছেই দেন মাছ বিক্রেতারা। মাছ ভাল ভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে তাতে এক চা-চামচ নুন এবং এক চা-চামচ হলুদ মাখিয়ে রাখুন। কড়াইয়ে তেল দিয়ে তাতে সর্ষে এবং শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিয়ে সুগন্ধ বেরোলে মাছ দিয়ে দিন।
মাছ খুব বেশি কড়া করে ভাজা হবে না। হালকা ভাজা হয়ে গেলে তাতে কাঁচা তেঁতুল ভাল করে ধুয়ে ছোট ছোট টুকরোয় কেটে দিয়ে দিন। এর পরে এক চা-চামচ হলুদ এবং স্বাদমতো নুন দিয়ে খুন্তি দিয়ে সাবধানে নাড়াচাড়া করে দেড় কাপ মতো জল দিন।
টক কতটা রাখতে চাইছেন, তার উপর নির্ভর করবে কতটা জল দেবেন। সেইমতো জলের পরিমাণ কম-বেশি করে নিতে পারেন। জল দেওয়ার পরে ঢাকা দিয়ে আঁচ কমিয়ে রান্না হতে দিন। মিনিট পাঁচেক পরে ঢাকা খুলে আরও এক বার নাড়াচাড়া করে খানিক ক্ষণ ফুটতে দিন। টকের পরিমাণ বুঝে নিয়ে নামিয়ে নিন।
ভাতের সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করুন।