বাড়িতে পাঁঠার মাংস আসা মানেই মনে মনে ঘণ্টা দেড়েকের হিসাব করে নেওয়া। কারণ, জানেন তো জোগাড়যন্তর করে, মাংস মশলায় মাখিয়ে, কষিয়ে রান্না করতে ওই সময়টুকু লাগবেই। পাঁঠার মাংস তাই রান্না করা হত ছুটির দিনেই। তার কারণ, অফিস বা স্কুলে যাওয়ার তাড়া থাকলে বাড়ির কর্ত্রীর ওই দেড়টি ঘণ্টা রান্নাঘরে ব্যয় করার উপায় নেই। কিন্তু পাঁঠার মাংসের এমন রান্নাও আছে, যার জন্য মশলা বাটাবাটির ঝক্কি নেই। দরকার নেই দীর্ঘ ক্ষণ কষানোরও।
নাম মাংসের নাগা ভর্তা। নাম দেখেই বোঝা যায় এই রান্না নাগাল্যান্ডের খাদ্য সংস্কৃতি থেকে প্রভাবিত। কিন্তু রান্নাটি বাংলার হেঁশেলে নেহাত অপরিচিত নয়।
আরও পড়ুন:
কী ভাবে বানাবেন?
উপকরণ:
৫০০ গ্রাম পাঁঠার মাংস
২ টেবিল চামচ আদা কুচি
২ টেবিল চামচ রসুন কুচি
৫টি মাঝারি মাপের পেঁয়াজ কুচি
১টি বড় টম্যাটো টুকরো করে কাটা
৮-১০টি কাঁচালঙ্কা (স্বাদ বুঝে বাড়িয়ে বা কমিয়ে নিতে পারেন, এই রান্নাটি একটু ঝাল হয়)
৩-৪ টেবিল চামচ ধনেপাতা
৪-৫ টেবিল চামচ তেল
স্বাদমতো নুন
রান্নাটি বাংলার হেঁশেলে নেহাত অপরিচিত নয়। ছবি: সংগৃহীত।
প্রণালী:
মাংস প্রেশার কুকারে সেদ্ধ করতে হবে। তবে অর্ধেক সেদ্ধ করার পরে কুকারের ঢাকনা খুলে ৪-৫টি কাঁচালঙ্কা চেরা ভিতরে ফেলে আবার ঢাকনা বন্ধ করে বাকিটা সেদ্ধ করে নিন। সেদ্ধ হলে মাংস ঠান্ডা করে হাড় থেকে ছাড়িয়ে নিন (আগে থেকেই হাড় ছাড়া মাংস নিতে পারলে হাড় থেকে মাংস ছাড়ানোর কাজটি করতে হবে না)। এ বার হাড় ছাড়া মাংস মিক্সিতে বা শিলে বেটে নিতে হবে অথবা কাঁটাচামচের সাহায্যে মিহি ভাবে ছিঁড়ে নিতে হবে।
কড়াইয়ে তেল গরম করে, তার মধ্যে দিন কুচি করা পেঁয়াজ। পেঁয়াজে হালকা বাদামি রং ধরলে আদা এবং রসুন কুচি দিয়ে ভাজুন। কাঁচা গন্ধ চলে গেলে দিন টুকরো করে কেটে রাখা টম্যাটো এবং বাকি কাঁচালঙ্কা চেরা এবং নুন। টম্যাটো গলে গেলে দিন বেটে নেওয়া মাংস। ভাল ভাবে মশলার সঙ্গে কষান ১০ মিনিট মতো। তার পরে উপরে ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে আরও এক বার নাড়াচাড়া করে আঁচ থেকে নামান।
মাংসের নাগা ভর্তা তৈরি। মাঝারি বলের মাপে গড়ে নিয়ে গরম ভাতে ঘি ছড়িয়ে তার সঙ্গে কাঁচালঙ্কা সহযোগে পরিবেশন করুন।