খাওয়ার পাতে মাছ-মাংস পড়ার আগে স্বাদকোরক জাগিয়ে তুলতে শুক্তোর জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু বাইরে যখন আগুনের হলকা বইছে, সে সময়ে এমনিতেই মধ্যাহ্নভোজনে শুক্তো রাখলে শরীর ঠান্ডা থাকে। তা ছাড়া, বাঙালির প্রিয় শুক্তোর আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে। আপনিও যদি মা-ঠাকুরমার মতো সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর শুক্তো বানাতে চান, সহজ রেসিপি জেনে নিতে পারেন।
শুকনো খোলায় বড়িগুলি ভেজে নিলে বেশ সুস্বাদু হয়ে ওঠে। ছবি: সংগৃহীত।
উপকরণ
১টি করলা
১টি কাঁচকলা
১টি আলু
১টি ঝিঙে
১ কাপ সজনেডাঁটা
১০টি বড়ি
২ টেবিল চামচ সর্ষের তেল
১ চা চামচ গোটা সর্ষে
১ টেবিল চামচ পাঁচফোড়ন
১টি তেজপাতা
অর্ধেক চা চামচ হলুদগুঁড়ো
পরিমাণমতো নুন এবং চিনি
অর্ধেক কাপ জল
২ টেবিল চামচ দুধ
১ চা চামচ আদা বাটা
১ টেবিল চামচ পোস্ত বাটা বা সর্ষে বাটা
শুক্তো পরিবেশনের সময়ে অল্প করে ঘি ছড়িয়ে দিতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত।
প্রণালী
শুকনো খোলায় রাঁধুনি ভেজে নিয়ে হামানদিস্তায় রেখে দিন। আবার বড়িগুলিকেও একই ভাবে শুকনো খোলায় ভেজে তুলে রাখতে হবে। তার পর গরম কড়াইতে সর্ষের তেল ঢেলে দিন। ধোঁয়া উঠতে শুরু করলেই তাতে করলার টুকরোগুলি ফেলে দিন। হালকা ভাজা ভাজা হতেই তুলে আলাদা করে রাখুন। ফোড়ন হিসেবে কেউ কেউ রাঁধুনিই পছন্দ করেন, কেউ আবার পাঁচফোড়ন দেন। আপনি আগে থেকে ভেজে রাখা রাঁধুনি ব্যবহার করতে পারেন। ফোড়নের পর তেজপাতা দিয়ে একটু অপেক্ষা করে তার পর একে একে আলু, কাঁচকলা, সজনেডাঁটা, ঝিঙে দিন কড়াইয়ে। চাইলে আরও কিছু সব্জি দিতে পারেন শুক্তোয়। হলুদগুঁড়ো এবং নুন দিয়ে গরম তেলে নাড়াচাড়া করে নিন। এ বার বেগুন এবং হালকা ভাজা করলাগুলি ঢেলে দিন কড়াইয়ে। এর মধ্যেই অর্ধেক কাপ জল দিয়ে সব্জিগুলিকে সিদ্ধ হতে দিন। সেই সময়েই আদা বাটা দিয়ে দিলে ভাল। একেবারে শেষে পোস্ত বা সর্ষে বাটা, ভাজা বড়ি, চিনি, দুধ দিয়ে ২-৩ মিনিট ঢিমে আঁচে রান্না করুন।
আরও পড়ুন:
ধোঁয়া ওঠা ভাতে গরম গরম শুক্তো পরিবেশনের সময়ে অল্প করে ঘি ছড়িয়ে দিতে পারেন। তাতে রসনাতৃপ্তির পরিমাণ আরও বাড়বে।