সাউথ সিটির ভিতর ঘোরাফেরা করার পর ক্লান্ত শরীর আর খিদে পাওয়া মনটাকে এক বার ৩৮৫০ স্কোয়ার ফুটের চার দেওয়ালে আটকে ফেললে আর চিন্তা নেই। মনের মতো খাবার ও পানীয় হৃদয় জোড়াবে। বয়স এক বছরও হয়নি। তাতে কী? প্রথম থেকেই দেশ-বিদেশের নানা ক্যুইজিনের খাবারকে নিজেদের মেনুতে রেখেছে লর্ড অব ড্রিঙ্কস। নামটা বদলে লর্ড অব ‘লর্ড অব ফুড অ্যান্ড ড্রিঙ্কস’ দিলেও অবাক হতাম না। খাবারের মান এতটাই ভাল যে কলকাতায় বসে ভিন দেশের খাবার চাখলেও বোঝা যায় না তা এই দেশের শেফের হাতেই তৈরি! প্রন সুক্কা, মলওয়ানি ক্র্যাব, নানা রকমের ডিম সাম, চারকোল ডিমসাম, প্রন সল্ট অ্যান্ড পিপার, চিকেন ফাঙ্গি নানা রকমের লোভনীয় পদ রয়েছে মেনুতে। মকটেলও পাবেন হরেক ধাঁচের।
অন্দরসজ্জাও তাক লাগানোর মতো। থ্রিডি ছবি, থ্রিডি মডেল, শো পিস দিয়ে ঘেরা রেস্তরাঁ যেন কলকাতার এক টুকরো নৈশজীবন! সোনারঙা আলো আর আরামদায়ক চেয়ার-টেবল করোনা-পরবর্তী সময়েও কলকাতাবাসীকে দিতে চলেছে মনের আরাম। উদ্বেগবিহীন কিছুটা সময়। উদ্বেগবিহীনই। কারণ, রেস্তরাঁ খুললেই করোনা সংক্রান্ত সব রকম সচেতনতা এখানে নেওয়া হবে। এখনও প্রতি দিন স্যানিটাইজার, মাস্ক, সাবানের সাহায্যে নিয়ত পরিষ্কার হচ্ছে গোটা রেস্তরাঁ। খোলার পর থালাবাসনও চোখের সামনেই স্যানিটাইজ করে দেওয়া হবে অতিথিকে।
রবি থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই রেস্তরাঁ খোলা থাকে দুপুর ১২ টা থেকে রাত ১২টা পর্য়ন্ত। তবে সপ্তাহান্তের আমেজকে আরও একটু উস্কে দিতে শুক্র ও শনিবার রেস্তরাঁ বন্ধ হয় রাত ১টায়। পানীয় ছাড়া শুধু খাবারেই মন বসাতে চাইলে দু@জনের জন্য খরচ পড়বে কমপক্ষে ১০০০ টাকা। তবে পানীয় নিলে সে খরচ দাঁড়াবে ১৮০০ টাকায়।