চাটনি, তা-ও আবার পেঁয়াজ দিয়ে। তার স্বাদও মিষ্টি নয়, ঝাল! মনে হতেই পারে— এ কেমন রান্না। কিন্তু যাঁরা খেয়েছেন, তাঁরা বলছেন, এটি এমনই রান্না যে তা দিয়ে এক থালা ভাত ফাঁকা হয়ে যেতে পারে। দ্বিতীয় খাবারের দরকার পড়বে না।
বাঙালি খাবারে নানা রকম বাটা এবং ভর্তা রান্নার চল আছে। পেঁয়াজের চাটনিকে পেঁয়াজ বাটা বা পেঁয়াজ ভর্তা বললেও ভুল হয় না। রান্নাটির মধ্যে দক্ষিণ ভারতীয় প্রভাব বেশি। তবে সেটি বাঙালি রসনাকেও তৃপ্ত করতে পারবে।
উপকরণ:
৩-৪ টি পেঁয়াজ কুচি
৭টি রসুনের কোয়া
৭-৮টি কাশ্মীরি শুকনো লঙ্কা
দেড় চা-চামচ ছোলার ডাল
আড়াই চা-চামচ অড়হর ডাল
১ চা-চামচ জিরে
১ চা-চামচ সর্ষে দানা
১/৪ চা-চামচ মেথি দানা
১/৪ চা-চামচ হিং
১ চা-চামচ গুড়
১ চা-চামচ তেঁতুল
১০-১২টি কারি পাতা
১/৪ চা-চামচ হলুদ
স্বাদমতো নুন
আরও পড়ুন:
প্রণালী:
কাশ্মীরি শুকনো লঙ্কা গরম জলে ভিজিয়ে রাখুন। একটি প্যান আঁচে বসিয়ে তাতে এক টেবিল চামচ তেল দিয়ে ছোলার ডাল, দেড় চা-চামচ অড়হর ডাল, জিরে, মেথি দিয়ে কিছু ক্ষণ নাড়াচাড়া করে তাতে রসুন, পেঁয়াজ এবং নুন দিয়ে রান্না করুন।
পেঁয়াজ স্বচ্ছ হয়ে এলে গরম জলে ভেজানো কাশ্মীরি লঙ্কা, তেঁতুল এবং গুড় দিয়ে ভাল ভাবে মিশিয়ে নিয়ে আরও মিনিটখানেক নাড়াচাড়া করে নামিয়ে ঠান্ডা হতে দিন। ঠান্ডা হলে মিক্সারে বেটে নিন।
এ বার কড়াইয়ে আবার আধ টেবিল চামচ তেল দিয়ে তাতে ১ চা-চামচ অড়হর ডাল, সর্ষে, হিং এবং কারিপাতা ফোড়ন দিন। ভাজা হলে তাতে মিশ্রণটি দিয়ে হলুদ এবং নুন দেখে নিয়ে নাড়াচাড়া করে তেল ছাড়লে নামিয়ে নিন। গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।