গরমের দিন তো বটেই, যে কোনও মরসুমে পেট ঠান্ডা রাখতে, অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে দই-ভাত খান অনেকে। দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক অন্ত্রে ভাল ব্যাক্টিরিয়ার সংখ্যা বাড়িয়ে পেটের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। তা ছাড়া খুব গরমে যখন কোনও খাবারই মুখে রোচে না, তখন ঠান্ডা দই দিয়ে ভাত খেলে মুখের স্বাদ ফেরে।
তবে দই-ভাত মানে শুধু দই আর ভাত মেখে খাওয়া ভাবলে ভুল হবে। দক্ষিণ ভারতে এই খাবার অত্যন্ত জনপ্রিয়। কলকাতার বহু দক্ষিণী রেস্তরাঁতেও ‘কার্ড রাইস’ মেলে। সহজ কয়েকটি কৌশল জানলেই দক্ষিণ ভারতের কায়দায় বাড়তি স্বাদ যোগ করতে পারবেন এই রান্নায়।
১. উপযুক্ত ফোড়ন যেমন ডাল, তরকারির স্বাদ বদলে দিতে পারে, দই-ভাতের ক্ষেত্রেও তা সম্ভব। সামান্য একটু ঘিয়ের মধ্যে কারিপাতা, সর্ষে, শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিন। এর সঙ্গে ছোলার ডালের কয়েকটি দানা মিশিয়ে দিলে, স্বাদ বাড়বে আরও খানিক। দই-ভাত তৈরির পর উপর থেকে ফোড়ন যোগ করে মিশিয়ে দিন।
২. দই-ভাত খাওয়ার সময় মুখে যদি মুচমুচে বাদাম পড়ে, কেমন লাগবে? ভেজে নেওয়া চিনেবাদামও ছড়িয়ে দিতে পারেন দই-ভাতে। চাইলে কাজুবাদামও যোগ করা যায়। ছোলার ডাল ফোড়নে দিলেই, সেই ডালও মুখে পড়বে আলাদা ভাবে।
৩.লঙ্কার স্বাদ এবং গন্ধ পছন্দ হলে, দই ভাতে ঘিয়ের মধ্যে ফোড়ন হিসাবে অবশ্যই রাখতে পারেন শুকনো লঙ্কা। এক এক লঙ্কার ঝাঁঝ, গন্ধ এক এক রকম। পছন্দের যে কোনও শুকনো লঙ্কাই তাতে যোগ করা যায়।
৪. দই-ভাত পরিবেশন করুন ঠান্ডা। তবে বরফ শীতল নয়। অতিরিক্ত ঠান্ডা দই বা ভাত, খাবারের স্বাদ নষ্ট করতে পারে।