রাতে রুটি শেষ না হলেই ফ্রিজ ভরতে থাকে বা রান্নাঘরের স্ল্যাব। বাসি রুটি কি আর মুখে রোচে? কিন্তু অপচয় করাও উচিত নয়। সে ক্ষেত্রে বাসি বিস্বাদ রুটিগুলিকেই নতুন মোড়কে সুস্বাদু করে তোলা যায়। রুটিই হয়ে যেতে পারে শেষপাতের মিষ্টি। জটিল কৌশলের প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন কেবল অল্প চিনি আর কিছু সহজলভ্য উপাদান।
মিষ্টি রুটির চিপস
বাসি রুটিগুলি ত্রিভুজাকার করে কেটে মধু, দারচিনি, অথবা সামান্য ভ্যানিলা এসেন্স দিয়ে মাখিয়ে নিন। এ বার টোস্ট বা এয়ার-ফ্রাই করে নিন টুকরোগুলিকে। সোনালি রং ধরলেই বুঝবেন, খাবার প্রস্তুত। মুচমুচে নাচোসের মতো খেতে হবে বাসি রুটিগুলি। ঘরে নাটেলা বা হুইপড ক্রিম অথবা জ্যাম থাকলে সেগুলিও মাখিয়েও খেতে পারেন। ডিপ হিসেবে কাজ চালানো যেতে পারে।
রুটি দিয়ে নাচোস বানিয়ে খেতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত।
রুটির লাড্ডু
রুটি গুঁড়ো করে, ঘি, চিনি বা গুড়, এক মুঠো কোরানো নারকেল কিংবা ড্রাই ফ্রুটসের সঙ্গে মিশিয়ে ছোট ছোট মিষ্টির বল তৈরি করুন। সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর এই লাড্ডুগুলি সন্তানের টিফিন হিসেবেও বাক্সে পুরে দিতে পারেন। দ্রুত শক্তি জোগাতে সাহায্য করে এই লাড্ডু। প্রিজ়ারভেটিভ ছাড়া খাঁটি, ঘরে তৈরি লাড্ডু।
চকোলেট রুটি কেসাডিয়া
দু’টি বাসি রুটি নিয়ে দু’টিরই এক পিঠে চকোলেট স্প্রেড মাখিয়ে নিন। পিনাট বাটারও লাগাতে পারেন। তার পর দু’টিকে জুড়ে দিয়ে হালকা টোস্ট করে নিয়ে টুকরো টুকরো করে কেটে নিন। মুচমুচে ডেসার্ট স্যান্ডউইচের মতো খেতে হবে। চাইলে সেগুলির উপরে স্ট্রবেরি অথবা আইসক্রিমের স্কুপও দিতে পারেন। বাড়ির ছোটদের কাছে খুবই লোভনীয় হয়ে উঠতে পারে আপনার এই আবিষ্কার।