মাতৃদিবস মানেই মাকে দামি উপহার দিতে হবে তা নয়। বরং একটা দিন মাকে হেঁশেল থেকে মুক্তি দিন। কোমর বেঁধে আপনিই ধরুন হাতা-খুন্তি। খাস বাঙালি পদ রেঁধে মাকে চমকে দিন। এখনকার বাঙালিরা ফিউশন খাবারে খুব মেতেছে। দেশির সঙ্গে বিদেশি মিশিয়ে নানা ধরনের খাবারের মিলমিশ হচ্ছে। কন্টিনেন্টাল বা ভিন্দেশি না হলেও, বাঙালি রান্নারই সামান্য অদলবদল ঘটিয়ে নতুন কিছু রাঁধতে পারেন। মাছের পদ যদি রান্না করতে হয়, তা হলে মুড়িঘণ্টা রান্না করে মাকে খাওয়াতে পারেন। তাতে ফিউশন টাচ দিতে মিলিয়ে দিন আনারসের টুকরো। আনারস দিয়ে মুড়িঘণ্ট কিন্তু ও পার বাংলার বেশ পছন্দের একটি রান্না। মাতৃদিবসে রেঁধেই দেখুন না, মায়ের অপছন্দ হবে না।
আনারসের মুড়ি ঘণ্ট
উপকরণ
দুটি বড় মাছের মাথা
১টি আলু
আধ কাপ বাসমতী চাল
২ চা চামচ ঘি
২টি তেজপাতা
১ চা চামচ জিরে
২টি দারচিনি
২টি পেস্তা
৪টি লবঙ্গ
২ কাপ আনারসের টুকরো
আধ কাপ পেঁয়াজকুচি
১ চামচ আদা-রসুন বাটা
১ চা চামচ জিরেগুঁড়ো
১ চা চামচ ধনেগুঁড়ো
২-৩টি কাঁচালঙ্কা
২ চামচ কাজুবাদাম বাটা
১ কাপ দুধ
১ চামচ গরমমশলা
প্রণালী
মাছের মাথা ধুয়ে নুন, হলুদ মাখিয়ে নিন। কড়াইতে তেল গরম করে মাছের মাথাগুলো ভাল করে ভেজে নিন। আলু লম্বা করে কেটে নুন, হলুদ মাখিয়ে ভেজে তুলে রাখুন।
আরও পড়ুন:
এ বার কড়াইয়ে ঘি এবং তেল গরম করে পাতলা করে কেটে রাখা আলুগুলি বাদামি করে ভেজে তুলে রাখুন। ওই তেলে তেজপাতা, দারচিনি, লবঙ্গ এবং জিরে ফোড়ন দিয়ে নাড়াচাড়া করে পেঁয়াজ কুচি দিন। পেঁয়াজ বাদামি হয়ে এলে রসুন কুচি এবং আগে থেকে ভিজিয়ে রাখা বাসমতী চাল দিয়ে নাড়াচাড়া করতে থাকুন ১-২ মিনিট।
এর পর ভেজে রাখা আলু, মাছের মাথা, আনারসের টুকরো, অল্প নুন, কাজুবাটা আর কাঁচালঙ্কা দিয়ে দিন। কিছু ক্ষণ নেড়েচেড়ে এক কাপ জল, এক কাপ দুধ দিয়ে কড়াইয়ে ঢাকনা বন্ধ করে ফুটতে দিন। এক বার ঢাকনা সরিয়ে দেখে নিন আলু এবং চাল সেদ্ধ হয়েছে কি না। সেদ্ধ হয়ে গেলে গরমমশলা, ঘি ছড়িয়ে নামিয়ে নিন। গরম ভাতের সঙ্গে বেশ লাগবে।