মহারাষ্ট্রের এই জনপ্রিয় পদটি এ বার বানিয়ে ফেলুন আপনার হেঁশেলেই। গোটা ধনে, জিরে, শুকনো নারকেলের গুঁড়ো, সাদা তিল, গোলমরিচ, মৌরি, পোস্ত একসঙ্গে গুঁড়ো করে নিতে হবে। এ বার প্রেশার কুকারে সর্ষের তেল গরম করে গোটা গরম মশলা ফোড়ন দিন। পেঁয়াজ, রসুন, আদা, টমেটো বাটা দিয়ে সামান্য নাড়াচাড়া করে নিন। এ বার বানিয়ে রাখা গুঁড়ো মশলা দিয়ে দিন। মাংস দিয়ে কিছু ক্ষণ কষিয়ে নিন। স্বাদমতো নুন, হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো, ফেটানো টক দই দিয়ে নাড়াচড়া করুন। পরিমাণ মতো জল দিয়ে কুকারের ঢাকনা বন্ধ করে সাত থেকে আটটা সিটি পড়লে ঢাকনা খুলে দেখুন। ভাল করে সেদ্ধ হয়ে গেলে ধনেপাতা ছড়িয়ে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন।
চম্পারন মিট
বিহারের এই জনপ্রিয় পদটির বৈশিষ্ট্য হল মাটির হাঁড়িতেই এটি রান্না করা হয়। তবে প্রেশার কুকারে এটি রান্না করলেও মন্দ হয় না! একটি পাত্রে মাংস নিয়ে পেঁয়াজ কুচি, গোটা রসুন, আদা-রসুন বাটা, গোটা গরম মশলা, গোটা গলমরিচ তেজ পাতা, চেরা কাঁচা লঙ্কা, গোটা শুকনো লঙ্কা, টমেটো, ধনে গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো, নুন এবং এক কাপ সর্ষের তেল দিয়ে এক ঘণ্টা মেখে রাখুন। এ বার প্রেশার কুকারে মশলা মাখানো মাংস দিয়ে সামান্য জল দিন। কুকারের ঢাকনা বন্ধ করে সাত থেকে আটটা সিটি পড়লেই তৈরি হয়ে যাবে চম্পারন মিট।
মটন রোগনজোস
পেঁয়াজ, রসুন ছাড়াই বানিয়ে ফেলতে পারেন কাশ্মিরী এই পদ। প্রেশার কুকারে সর্ষের তেল নিয়ে খুব ভাল করে গরম করে নিন। এ বার গোটা গরম মশলা, তেজপাতা, হিং ফোড়ন দিন। এ বার মাংস দিয়ে নাড়াচাড়া করুন। একটি পাত্রে কাশ্মিরী লঙ্কা গুঁড়ো, আমচুর গুঁড়ো, মৌরি গুঁড়ো, শুকনো আদার গুঁড়ো, নুন ও টক দই নিয়ে একটা ঘন পেস্ট তৈরি করুন। মিশ্রণটি মাংসের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। সামান্য কষিয়ে পরিমাণ মতো জল দিয়ে কুকারের ঢাকনা বন্ধ করে সাত থেকে আটটা সিটি পড়লেই তৈরি হয়ে যাবে মটন রোগানজোস।