জলখাবারে হোক বা রাতের খাবারে রুটি ছাড়া চলে না অনেকের। আবার অফিসের টিফিন হোক বা খুদের টিফিন, রুটি-সবজি বা রুটি-চিকেন থাকলে আর কোনও চিন্তা নেই। তবে, রুটির জন্য আটা মাখতে হবে ভেবেই অনেকের জ্বর আসে। অনেকেই একসঙ্গে অনেকটা পরিমাণে আটা মেখে ফ্রিজে ভরে রেখে দেন। দরকার মতো লেচি কেটে রুটি তৈরি করে নিলেই হল।
আটা মাখাটা বেশ ঝক্কির কাজ। তার চেয়ে একটু বেশি করে যদি আটা মেখে রাখা যায়, তা হলে সময় ও শ্রম দুই-ই বাঁচে। তবে, অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় আটা মেখে ফ্রিজে রেখে দিলেও কেমন কালো হয়ে গিয়েছে। আটা মাখার সময় সহজ কিছু কৌশল মেনে চললে আর এমনটা হবে না।
১.আটা মাখার সময় একেবারেই বেশি পরিমাণে জল ব্যবহার করবেন না। বেশ কিছু দিনের জন্য আটা বা ময়দা মেখে রাখতে হলে সব সময় শুকনো করে মণ্ড তৈরি করার চেষ্টা করুন। বিশেষজ্ঞদের মতে, আটায় জলের ভাগ বেশি হলে তা দ্রুত কালো হয়ে যায়।
আরও পড়ুন:
২.অল্প তেল কিংবা ঘি দিয়ে আটা বা ময়দা মাখলে কালো হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। আটার গোলা মসৃণ থাকে এবং অনেক দিন ভালে থাকে। এ ছাড়া, যে কৌটোর মধ্যে আটা রাখবেন, তার গায়ে অল্প সাদা তেল মাখিয়ে রেখে দিতে পারেন। এতে অনেক দিন পর্যন্ত ভাল থাকবে মাখা আটা।
৩.আটা বা ময়দা মাখার সময় গরম জল ব্যবহার করতে ভুলবেন না। আসলে ঠান্ডা জল দিয়ে আটা মাখলে দ্রুত কালো হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সামান্য গরম জল দিয়ে আটা মাখলে তা কালো হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়।
৪.এয়ার টাইট কৌটো ব্যবহার করলে কালো হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়। আসলে বাতাসের মধ্যে যে ভাসমান ব্যাক্টেরিয়া রয়েছে তা মেখে রাখা আটার সংস্পর্শে এলে মাখা আটার উপরিভাগ কালো হতে শুরু করে। তাই সব সময় এয়ার টাইট কৌটো ব্যবহার করুন। পারলে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে মুড়িয়ে এয়ার টাইট কৌটোতে ভরে রাখলে মাখা আটা আরও ভাল থাকবে। এর পর ওই পাত্রটি ফ্রিজে রাখলে আর বাতাস প্রবেশ করতে পারবে না। ফলে কালো হওয়ার ভয়ও আর থাকবে না।