শীতকাল মানেই বাজারে টাটকা সব্জির বাহার। পালং শাক, মেথি শাক, শিম, মটরশুঁটি, রসুনের শাক— বাজারে গেলেই ব্যাগভর্তি করে সব্জি না কিনলে মন ভরে না অনেকের। শীতের মরসুমি সংক্রমণ ঠেকাতে সব্জির ভূমিকা থাকে অনেকটাই। তাই শীতে মাছ-মাংস-ডিমের পাশাপাশি পালক পনির, মেথি শাকের পরোটা, কড়াইশুঁটির কচুরি না খেলেই নয়। তা ছাড়া রোজ সব্জি খাওয়ার কোনও বিকল্প নেই। কারণ, সব্জিতে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা বিপাকে সাহায্য করে। কিন্তু সব্জির পদ রাঁধার সময় একটু বেশি সতর্ক থাকতে হয়।
অনেক সময়ই দেখা যায় পালক পনির কিংবা পালক চিকেন রান্নার শেষে সবুজ রং আর সবুজ থাকে না, কালচে হয়ে যায়। অথচ সেই পালক পনির রেস্তরাঁয় গিয়ে খেলে সুন্দর সবুজ রং চোখে লাগে। বাড়িতে রান্নার সময় কী ভুল হয়?
পালক পনির বা পালক চিকেন রান্নার সময় সাধারণত পালং শাক ভাপিয়ে নেওয়া হয়। রং ধরে রাখতে হলে এই ভাপানোর প্রক্রিয়াটাই কিন্তু আসল। রেস্তরাঁগুলিতে পালং শাক, ব্রকোলি, কড়াইশুঁটির মতো সবুজ শাকসব্জি ভাপানোর সময় জলে আধ চা চামচ চিনি দিয়ে দেওয়া হয়। এই টোটকা মানলে শাকসব্জি ভাপানোর পরেও রং টিকে থাকবে। ভাপানোর পরে জল ফেলে দিয়ে শাকসব্জিগুলি বরফজলে মিনিট পাঁচেক ডুবিয়ে রাখা হয়। এই দুই পন্থা মানলেই রান্নার পরেও সবুজ শাকসব্জির রঙে তেমন হেরফের হয় না।